OrdinaryITPostAd

সফল ফ্রিল্যান্সার হতে চাইলে সেরা ৮টি টিপস ফলো করুন

ছাত্র জীবনে টাকা আয় করার উপায়  ফ্রিল্যান্সার হতে চাই এখন অনেকেই। কিন্তু সবাই সফল ফ্রিল্যান্সার হতে পারেনা তাই সফল ফ্রিল্যান্সার হতে চাইলে সেরা ৮টি টিপস ফলো করুন। এই টিপস গুলো ফলো করলে আপনি অবশ্যই একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে পারবেন।

সফল ফ্রিল্যান্সার হতে চাইলে সেরা ৮টি টিপস

ফ্রিল্যান্সিং করে সফলতা অর্জন করা অতটাও সহজ বিষয় নয়। ফ্রিল্যান্সিং করে একটি মানসম্মত জায়গায় পৌছাতে হলে আপনাকে অবশ্যই সফল ফ্রিল্যান্সার হতে হবে। আর তাই সফল ফ্রিল্যান্সার হতে চাইলে সেরা ৮ টি টিপস ফলো করুন।আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করেছি সফল ফ্রিল্যান্সার হতে চাইলে সেরা ৮ টি টিপস নিয়ে।

পোস্ট সূচীপত্রঃ সফল ফ্রিল্যান্সার হতে চাইলে সেরা ৮টি টিপস ফলো করুন 

ফ্রিল্যান্সিং কি ? 

ফ্রিল্যান্সিং হলো প্রকৃতপক্ষে একটি পেশা। যে পেশায় ইন্টারনেটের মাধ্যমে কাজ সম্পন্ন করা হয় এবং অর্থ আয় করা হয়। এটি একটি স্বাধীন পেশা। এখানে কোন বাধ্যবাধকতা থাকে না। আপনার সময় মত এবং ইচ্ছামত আপনি ক্লায়েন্টের কাজ করে দিতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং হলো এমন একটি কাজের ধরন যেখানে আপনি কোন নির্দিষ্ট কোম্পানির স্থায়ী কর্মচারী না হয়ে নিজের ইচ্ছামত বিভিন্ন ক্লাইন্টের জন্য কাজ করে টাকা উপার্জন করতে পারেন। আপনি যে কাজে দক্ষ এসে কাজের বিষয়ে ক্লাইন্টের সাথে কথা বলে আপনি ক্লায়েন্টের কাজগুলো করে দিতে পারেন। এক্ষেত্রে কাজের বিনিময়ে ক্লাইন্ট আপনাকে আপনার কাজের ধরন ও পরিমাপ অনুযায়ী টাকা পরিশোধ করবে।

আরো পড়ুনঃ কিভাবে ফরেক্স ট্রেডিং করে আয় করবেন।

এককথায়, ফ্রিল্যান্সিং হল একটি স্বাধীন পেশা। এখানে আপনি নিজে বস, নিজেই কর্মচারী। আপনি নিজেই আপনার কাজে সিদ্ধান্ত গুলো নিয়ে নিজের কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন। আপনি নিজেই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন যে, আপনি কখন, কোথায় ও কিভাবে আপনার কাজগুলো করবেন। আর কাজ করার বিনিময়ে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। এজন্য ফ্রিল্যান্সিংকে একটি স্বাধীন পেশা বলা হয়। 

ফ্রিল্যান্সিং কি সেটা আপনি জেনেছেন। কিন্তু আপনি সফল ফ্রিল্যান্সার হতে চাইলে সেরা ৮টি টিপস ফলো করুন।

ফ্রিল্যান্সার হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় গুণাবলী 

ফ্রিল্যান্সারের কিছু প্রয়োজনীয় গুণাবলী থাকা খুবই জরুরী। আপনি যদি সফল ফ্রিল্যান্সার হতে চান তাহলে আপনার মধ্যে এসব গুণাবলী অবশ্যই থাকতে হবে। প্রয়োজনে এসব গুণাবলী আপনার মধ্যে না থাকলে আপনি সফল ফ্রিল্যান্সার হতে পারবেন না। আজকে আমি আপনাদেরকে জানাবো সেসব প্রয়োজনে গুণাবলী সম্পর্কে। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক ফ্রিল্যান্সার হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় যেসব গুণাবলী আপনার মধ্যে থাকা জরুরী। 

  • ফ্রিল্যান্সার হতে হলে আপনার মত সৃজনশীলতা থাকতে হবে। নতুন নতুন ধারণা তৈরি করার ক্ষমতা আপনার মধ্যে থাকতে হবে। 
  • যেকোনো সমস্যায় পড়লে সেটা নিয়ে ঘাবড়ে গেলে চলবে না। সে সমস্যা সমাধানে দক্ষতা আপনার মধ্যে থাকতে হবে। প্রয়োজনে আপনি অভিজ্ঞ ফ্রিল্যান্সারদের  সাহায্য নিতে পারেন। 
  • নিজের কাজ নিজে নিজে করার ক্ষমতা, দক্ষতা ও জ্ঞান বুদ্ধি থাকতে হবে। অন্যের উপর নির্ভরশীল কম হতে হবে। 
  • আপনি যদি ফ্রিল্যান্স হতে চান তাহলে আপনার মধ্যে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার ক্ষমতা ও দায়িত্ববোধ থাকতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করতে না পারলে ক্লায়েন্ট অসন্তুষ্ট হতে পারে। তে অবশ্যই আপনাকে সময়ের প্রতি সচেতন থাকতে হবে।
  • ক্লাইন্ট যখন আপনাকে একটি কাজ দিবে তখন অবশ্যই আপনার সাথে কথা বলে তারপর আপনাকে কাজটি দিবে। তাই ক্লাইন্টকে হ্যান্ডেলিং করার ক্ষমতা আপনার থাকতে হবে। ক্লাইন্ট যাতে নিজে সন্তুষ্ট হয়ে আপনাকে কাজটি দেয়। সেভাবে ক্লাইন্টের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।  আর ক্লায়েন্টের মেসেজের উত্তর সাথে সাথে দেয়ার জন্য সচেতন থাকতে হবে। 
ফ্রিল্যান্সার হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় গুণাবলী জানার পর ফ্রিল্যান্সিং এর সফলতা অর্জনের জন্য আপনি সফল ফ্রিল্যান্সার হতে চাইলে সেরা ৮ টি টিপস ফলো করুন।

ফ্রিল্যান্সার হতে চাই

ফ্রিল্যান্সার হতে চাই- এই রকম একটা দুর্দান্ত সিদ্ধান্ত আপনার জীবনের উন্নতির পথ অবশ্যই উন্মোচন করবে।সেজন্য আপনার দরকার প্রচুর ধৈর্য ও কঠোর পরিশ্রম। নিজের পছন্দ অনুযায়ী এবং নিজের সময় অনুযায়ী কাজ করে যে আপনি উপার্জন করতে পারবেন এর চাইতে সুখের ব্যাপার আর কি হতে পারে ? ফ্রিল্যান্সিং করে ব্যাপক সফলতা আনো সম্ভব কিন্তু এর জন্য আপনাকে কয়েকটি পদক্ষেপ অনুসরণ করতে হবে। কোন পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করে ফ্রিল্যান্সিং করলে আপনি একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে পারবেন সেগুলো নিচে তুলে ধরা হলো- 

১ম পদক্ষেপ- নিজের দক্ষতা চিনুনঃ সর্বপ্রথমে আপনাকে নিজের দক্ষতা চিনতে হবে। ফ্রিল্যান্সিং এর কোন বিষয়টাতে আপনি দক্ষতা এবং ভালোলাগার সাথে কাজ করতে পারবেন সেটা আগে আপনাকে বুঝতে হবে। এই শেক্টরের যে কাজে আপনি আনন্দ পাবেন বা যে কাজ আপনি আনন্দ সহকারে করতে পারবেন সেই কাজটা খুঁজুন। কারণ যে কাজে আপনার দক্ষতার সাথে আগ্রহ থাকবে সেই কাজে আপনি সফলতা অর্জন করতে পারবেন। তাই নিজের শক্তিটাকে খুঁজে বের করুন। যে দক্ষতার উপর আপনি আস্থা রাখতে পারবেন সেটাই সবার আগে আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে।

আরো পড়ুনঃ গুগল এডসেন্স কি? এডসেন্স থেকে কি ইনকাম হয়?

২য় পদক্ষেপ - নিজের দক্ষতা বাড়ানঃ নিজের দক্ষতা খোঁজার পর সে দক্ষতা কিভাবে বাড়ানো যায় সে চেষ্টা করতে থাকতে হবে। এজন্য আপনি বিভিন্ন অনলাইন ক্লাস করতে পারবেন। অনলাইনে আপনি অনেক ধরনের পেইড অথবা ফ্রি ক্লাস পেয়ে যাবেন। দক্ষতা বাড়ানোর জন্য অনলাইন কোর্স যেমন- কোর্সেরা, ইউডেমি, স্কিলশের ইত্যাদি প্লাটফর্ম বেছে নিতে পারেন। ফ্রি টিউটোরিয়াল করতে ইউটিউব, ব্লগ ইত্যাদি দেখে এবং এসব দেখে নিয়মিত প্রাকটিস করেন। যত প্রাকটিস করবেন তত আপনার দক্ষতা বাড়বে। আবার, কোনো অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ফ্রিল্যান্সারকে আপনার মেন্টর হিসেবেও ধরতে পারেন। 

৩য় পদক্ষেপ- নিজের পোর্টফোলিও তৈরি করুনঃ আপনার সবচেয়ে ভালো কাজের নমুনা দিয়ে একটি পোর্টফোলিও তুলে ধরুন। যেটা দেখে আপনার ক্লাইন্ট আপনাকে কাজ দিতে আগ্রহী হবে। নিজের একটি চমৎকার ও ব্যবহার উপযোগী ওয়েবসাইট তৈরি করুন। নিজের একটি স্বতন্ত্র ব্রান্ড তৈরি করুন, যেটার জন্য রেগুলার কঠোর পরিশ্রম করতে হবে আপনাকে।

৪র্থ পদক্ষেপ- রেজিস্ট্রশন করুন ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মগুলোতেঃ বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্মগুলোতে যেমন-আপওয়ার্ক, ফাইবার, ফ্রিল্যান্সার, বাংলাদেশের লোকাল প্লাটফর্ম ইত্যাদিতে আপনার নিজের পরিচয় দিয়ে রেজিষ্ট্রেশন করুন। 

  • আপওয়ার্ক- আপওয়ার্ক হচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং প্লাটফর্ম। 
  • ফাইবার-ফাইবার দিয়ে আপনি আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন। কারণ ছোট ছোট কাজগুলো দিয়ে এখানে শুরু করা যায়।
  • ফ্রিল্যান্সার- বিভিন্ন ধরণের প্রকল্প পেতে পারবেন এই প্লাটফর্মে।
  • বাংলাদেশের বিভিন্ন লোকাল প্লাটফর্ম- বাংলাদেশের বেশ কিছু লোকাল প্লাটফর্ম রয়েছে যেখানে আপনি কাজ পেতে পারেন।

৫ম পদক্ষেপ- ক্লাইন্টকে প্রস্তাব দিনঃ আপনার ক্লায়েন্টের চাহিদা কি বা আপনার ক্লাইন্ট আপনার কাছে থেকে কি ধরনের কাজ চাচ্ছেন সেটা আগে ভালোভাবে বুঝুন তারপর ক্লায়েন্টের চাহিদা অনুযায়ী তাকে প্রস্তাব দিন। আপনার দক্ষতা, কাজের পরিমাণ এবং কাজের মান অনুযায়ী আপনার কাজের দাম নির্ধারণ করুন এবং সেই সাথে আপনি কত দিনে আপনার ক্লাইন্টকে কাজটি ডেলিভারি দিতে পারবেন সেটার জন্য নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করুন।

৬ষ্ঠ পদক্ষেপ- নেটওয়ার্ক তৈরি করুনঃ সোসাল মিডিয়া যেমন-ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, লিংডিন, পিন্টারেস্ট ইত্যাদি প্লাটফর্মে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সাদের সাথে যোগাযোগ করুন। বাংলাদেশে যেসব ফ্রিল্যান্সিং ইভেন্ট হয় সেসব ইভেন্টে যোগ দিন এবং বিভিন্ন ফোরামে অংশগ্রহণ করুন।এতে আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি পাবে। 

৭ম পদক্ষেপ- নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করুনঃ রেগুলার ক্লাইন্টের সাথে যোগাযোগ রাখবেন। আপনার কাজের গুণগত মান ঠিক রেখে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ক্লাইন্টের কাছে আপনার কাজ ডেলিভারি দিবেন। এতে ক্লাইন্ট আপনার উপর খুশি থাকবে এবং আপনাকে পুনরায় কাজ দিবে। তবে আপনার খুব বেশি সমস্যা থাকলে ক্লাইন্টের সাথে কথা বলে সময় কিছুটা বাড়াতে পারেন।

 উপরের পদক্ষেপগুলো ভালোভাবে বুঝে সে অনুযায়ী কাজ করার পর সফল ফ্রিল্যান্সার হতে চাইলে সেরা ৮টি টিপস ফলো করুন। 

সফল ফ্রিল্যান্সার হতে চাইলে সেরা ৮টি টিপস

সফল ফ্রিল্যান্সার হতে চাইলে সেরা ৮টি টিপস

নিজের দক্ষতা যত বাড়াবেন সফলতা তত আপনার হাতে ধরা দিবে। এজন্য সফল ফ্রিল্যান্সার হতে চাইলে সেরা ৮টি টিপস ফলো করুন। সফল ফ্রিল্যান্সার হওয়ার জন্য কিছু দারুন টিপস নিজে তুলে ধরা হলো-

  1. আপনার অনেক সুন্দর ও ভালো মানের একটি প্রোফাইল তৈরি করুন। আপনার কাজে দক্ষতা যাতে এই প্রোফাইল স্পষ্টভাবেই তুলে ধরতে পারে যাতে করে ক্লাইন্ট আপনার প্রোফাইল দেখে আপনাকে কাজ দেয়ার জন্য আগ্রহী হয়।
  2. আপনার দক্ষতা কাজের মান এবং সময় অনুযায়ী আপনার কাজের সঠিক দাম নির্ধারণ করুন। 
  3. ক্লাইন্টের সাথে সর্বদা ভালো যোগাযোগ বজায় রাখুন। ক্লাইন্ট আপনাকে নক করার সাথে সাথে রিপ্লাই দেয়ার চেষ্টা করুন।
  4. ক্লাইন্টকে সময়মতো একটি মান সম্মত কাজ ডেলিভারি দিন।
  5. ধৈর্য ধরে কাজ করতে থাকলে সফলতা অবশ্যই আসবে। কারণ সফলতা এক রাতে আসেনা। ধৈর্য সহকারে কাজ করতে থাকুন।
  6. পরিশ্রম করুন, কোনো কাজ পছন্দ হলে আপনার হাতে কাজ থাকা সত্ত্বেও কাজটি করতে সম্মত হোন। পরিশ্রম করলে সফলতা আসবেই।
  7. ক্লাইন্টকে আকৃষ্ট করতে সৃজনশীল হোন, নতুন নতুন আইডিয়া নিয়ে কাজ করুন। 
  8. নিজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বাড়াতে অধিক ক্লাইন্টের  সাথে কাজ করুন। এতে আপনি নতুন নতুন দক্ষতা অর্জন করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিং এর বিষয়বস্তু 

ফ্রিল্যান্সিং এর বিষয়বস্তু বিস্তৃত। ফ্রিল্যান্সিংয়ের বিষয়বস্তু সম্পর্কে আলোচনা করা কঠিন। ফ্রিল্যান্সিং এর বিষয়বস্তু অনেক বিস্তৃত। জন্য কোন ছোট সেক্টর না, এটি অনেক বড় একটি সেক্টর। এখানে বিভিন্ন বয়সের, বিভিন্ন ধরনের মানুষ, বিভিন্ন পেশায় কাজ করতে পারবে। নিচে ফ্রিল্যান্সিং এর বিষয়বস্তুগুলো তুলে ধরা হলো-

দক্ষতাঃ ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য আপনার নির্দিষ্ট কোন যোগ্যতার প্রয়োজন নেই। যেসব বিষয় নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং করা হয় তার যেকোনো একটি বিষয়েই আপনি পারদর্শী হলেই সফল ফ্রিল্যান্সার হতে পারবেন। 

উদাহরণস্বরঃ 

  • লেখালেখি 
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন 
  • প্রোগ্রামিং 
  • ভিডিও এডিটিং 
  • ডাটা এন্ট্রি 
  • সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং 
  • ভয়েস ওভার 

ক্লাইন্টঃ ক্লাইন্ট যে কেউ হতে পারে। ক্লায়েন্ট একজন ব্যক্তি হতে পারে, হতে পারে ছোট কোন কোম্পানি আবার বড় কোন কর্পোরেশনও হতে পারে। 

প্রকল্পঃ আপনার পছন্দমত আপনি যেকোনো ধরনের প্রকল্প নিয়ে কাজ করতে পারেন। যেমন-

  • একটি ওয়েবসাইট তৈরি। 
  • এটি ব্লক পোস্ট লেখা। 
  • একটি লোগো ডিজাইন করা। 
  • একটি ভিডিও এডিট করা। 

পারিশ্রমিকঃ আপনি প্রতিটি প্রকল্পের জন্য আলাদা আলাদা করে পারিশ্রমিক পাবেন। আপনার পারিশ্রমিক নির্ভর করবে আপনার কাজের পারদর্শিতা, অভিজ্ঞতা কাজের পরিমাপ, প্রকল্পের জটিলতা ইত্যাদির উপর। প্রকল্প যেটাই হোক না কেন সেটা আপনাকে ভালোভাবে শিখতে হবে, জানতে হবে এবং বুঝতে হবে। 

প্ল্যাটফর্মঃ সারা বিশ্বের ফ্রিল্যান্সিং এর বেশ কয়েকটি প্লাটফর্ম রয়েছে। আপনি আপনার পছন্দমত প্লাটফর্মে কাজ করতে পারবেন। বিভিন্ন প্লাটফর্মে আপনি আপনার কাজ খুঁজে পাবেন। যেমন -

  • আপ ওয়ার্ক।
  • ফাইবার।
  • ফ্রিল্যান্সার। 
  • বাংলাদেশের বিভিন্ন প্লাটফর্ম। 

কাজের চুক্তিঃ ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য ক্লায়েন্টের সাথে কাজের চুক্তি করা হয়। এই চুক্তিতে কাজের বিস্তারিত আলোচনা থাকে অর্থাৎ ক্লায়েন্ট কি ধরনের কাজ নিবেন, আর কাজের সময়সীমা ও পারিশ্রমিকের কথা পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা থাকে। 

সফল ফ্রিল্যান্সার হতে চাইলে সেরা ৮টি টিপস ফলো করুন। তাহলে ফ্রিল্যান্সিং করে আপনি আপনার কাঙ্খিত ফলাফল পেতে পারেন।

ফ্রিল্যান্সিং এর সুবিধা গুলো কি কি 

ফ্রিল্যান্সিং এখনকার দিনে ক্যারিয়ার গড়ার পথ হিসেবে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কেননা এই পথ আপনার ক্যারিয়ার একটি উচ্চ স্থানে নিয়ে যেতে সক্ষম। ক্যারিয়ার গড়ার ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিং এর সুবিধা অনেক। ফ্রিল্যান্সার হতে চাইলে ফ্রিল্যান্সিং এর সুবিধা গুলো কি কি সে সম্পর্কে আপনারা অবশ্যই জানা দরকার। চলুন তাহলে ফ্রিল্যান্সিং এর সুবিধা গুলো কি কি সে সম্পর্কে আলোচনা করা যাক-

  1. ফ্রিল্যান্সিং করলে আপনার নিজের সময় আপনি ইচ্ছামত কাজে লাগাতে পারবেন। আপনি দিনের যেকোনো সময় কাজ করতে পারবেন। আবার আপনি যদি রাতে কাজ করতে আগ্রহী হোন তাহলে রাতেও কাজ করতে পারবেন।  
  2. আপনার পছন্দ মত ঘরে বাইরে বা যে কোন জায়গা থেকে আপনি কাজ করতে পারবেন। কাজের জায়গা আপনার পছন্দ মত বেছে নিতে পারবেন। 
  3. আপনি একাধিক ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করতে পারবেন যার ফলে আপনার আয় বাড়াতে পারবেন।
  4. আপনার কাজের জন্য আপনার কাজের ধরণ অনুযায়ী আপনি কত টাকা নিবেন সেটা নিজেই নির্ধারণ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনার আর্থিক স্বাধীনতা রয়েছে।
  5. বিভিন্ন ক্লাইন্টের সাথে বিভিন্ন ধরণের কাজ করে আপনি নিজের দক্ষতা বৃদ্ধি করতে পারবেন। এভাবে দক্ষতা অর্জন করে আপনি এক সময় কাজে এক্সপার্ট হয়ে উঠবেন।
  6. এই সেক্টরে যেহেতু আপনি অনেক ধরণের কাজ করবেন তাই আপনার সৃজনশীলতাও বৃদ্ধি পাবে।
  7. আপনি একই করতে বাধ্য নন, আপনার পছন্দ মতো বিভিন্ন কাজ করতে পারবেন। তাই আপনার কাজ হবে বৈচিত্র্যপূর্ণ এবং এটা করে নিজেকে চ্যালেঞ্জ করে নিজেকে প্রমাণ করতে পারবেন।
  8. বিশ্বব্যাপি কাজ করতে পারবেন। সারা বিশ্বের যেকোনো ক্লাইন্টের সাথে কাজ করতে পারবেন আপনার পছন্দ অনুযায়ী। 
  9. দীর্ঘদিন ধরে অসংখ্য কাজ করার ফলে আপনার একটি সুন্দর ও দক্ষতাসম্পন্ন পোর্টফোলিও তৈরি করতে পারবেন। যা আপনার ভবিষ্যত ক্যারিয়ার গঠনে সহায়তা করবে। 
  10. আপনি নিজের সিদ্ধান্তে কাজ করবেন, আপনার উপর কারো কোনো জোর বা মানসিক চাপ থাকবে না ফলে আপনি থাকবেন মানসিক শান্তিতে।

ফ্রিল্যান্সিং এর কিছু ঝুঁকি 

আজকের দিনে অনেকেই ফ্রিল্যান্সার হতে চাই। কারণ ফ্রিল্যান্সিং করে ভালো ইনকাম করার মাধ্যমে একটি উচ্চমানের ক্যারিয়ার তৈরি করা যায়। ফ্রিল্যান্সিং এর ব্যপক সুবিধা রয়েছে সেটা আমরা সবাই জানি। কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং কিছু ঝুঁকি রয়েছে সেটা কি জানেন। নিচে ফ্রিল্যান্সিং এর ঝুঁকিগুলো তুলে ধরা হলোঃ
  • ফ্রিল্যান্সিং এ কাজ সব সময় একই রকম থাকে। কখনো কাজ বেশি হবে আবার কখনো কাজ কম হবে। তাই ইনকাম ও সব সময় একই রকম থাকবে না। কখনো ইনকাম বেশি হবে আবার কখনো কম।
  • অনেক সময় কাজের চাপ বেশি হয়ে যায়। তখন একই রকম ভাবে বসে থেকে কাজ করে আপনার স্বাস্থ্য ঝুঁকি দেখা দিতে পারে। আবার মাঝে মাঝে কাজের বেশি প্রেশার হওয়ার কারণে মানসিকভাবেও অস্থির হতে পারেন।
  • ফ্রিল্যান্সিং করলে আপনাকে একা একা কাজ করতে হবে। এজন্য আপনি একাকীত্ব অনুভব করতে পারেন। অনেকেই আছে যারা সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে কাজ করতে পছন্দ করে। একা একা থাকা তেমন পছন্দ করেন না। 
  • ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে হলে আপনার নিজের জন্য কিছু টাকা খরচ করতে হয়। এজন্য কিছু অর্থায়ন প্রয়োজন, যেটা অনেকেরই নাও থাকতে পারে।
  •  আপনি ছুটিতে গেলে বা অসুস্থ হয়ে পড়লে বেশি কাজ না করতে পারার কারণে কাজের সংখ্যা কমে যেতে পারে। 
  • এখন ফ্রিল্যান্সিং কাজের বাজারে অনেক প্রতিযোগিতা চলছে। এজন্য কাজ পেতে অনেক চেষ্টা করতে হয় আবার মাঝে মাঝে অনেক ঝামেলায় পড়তে হয়। 
  • যেহেতু সব ক্লাইন্ট একরকম না তাই কাজের পেমেন্ট নিয়ে আপনাকে মাঝে মাঝে হয়তোবা ঝামেলায় পড়তে হতে পারে বা কাজের মান সম্পর্কেও ক্লায়েন্টের অভিযোগ থাকতে পারে। 
  • এই কাজে অনেক প্রতিযোগিতা থাকার কারণে সব সময় সকল পরিস্থিতিতে আপনাকে আপডেট থাকতে হয়। 
 ফ্রিল্যান্সিং এর কিছু ঝুঁকি কিন্তু অবশ্যই রয়েছে। তাই সফল ফ্রিল্যান্সার হতে চাইলে সেরা ৮টি টিপস ফলো করুন। 

ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে সহজ কাজ

ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে সহজ কাজ

ফ্রিল্যান্সার হতে চাইলে ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে সহজ কাজ দিয়ে শুরু করা উচিৎ । কারণ শুরুটা সহজ কাজ দিয়ে হলে পথ চলাটা হবে মসৃন। আজকে আমি আপনাদের সাথে ফ্রিল্যান্সিং এর কয়েকটি সহজ কাজ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। তাহলে আপনি নিজেই ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে সহজ কাজ কোনটি সেটা বুঝতে পারবেন এবং কোন কাজ দিয়ে আপনার শুরু করা উচিৎ সেই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। নিচে ফিনান্সিং এর কয়েকটি কাজ নিয়ে আলোচনা করা হলো-

আরো পড়ুনঃ ফরেক্স ট্রেডিং কেন নতুনদের জন্য সেরা প্লাটফর্ম ।

  • ডাটা এন্ট্রিঃ আপনি যদি দ্রুত টাইপ করতে পারেন এবং তথ্য সংগ্রহ করতে পারেন তাহলে ডাটা এন্ট্রি হবে আপনার জন্য অনেক সহজ কাজ। এই কাজে আপনাকে বিভিন্ন জায়গা থেকে ডাটা সংগ্রহ করতে হবে।
  • আর্টিকেল রাইটিংঃ আপনি যদি লিখাতে পারদর্শী হয়ে থাকেন তাহলে বাংলা অথবা ইংরেজি বিভিন্ন রকম আর্টিকেল লিখে অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন। এজন্য আপনি যে ভাষায় আর্টিকেল লিখবেন সে ভাষাজ্ঞান থাকতে হবে আপনার।
  • সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্টঃ আপনি যদি সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে আগ্রহী ও পারদর্শী হোন তাহলে ব্যবসায়ী এবং ব্যাক্তিদের জন্য বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া একাউন্ট ম্যানেজ করে আয় করতে পারবেন।
  • গ্রাফিকস ডিজাইন (বেসিক)ঃ আপনি কিছু টুলস ব্যবহার করে যেমন- ক্যানভা কিংবা আরো কিছু সহজ টুলস আছে যেগুলো ব্যবহার করে লোগো, ব্যানার, ফ্লায়ার ডিজাইন করে ইনকাম করতে পারবেন। 
  • ভিডিও এডিটিংঃ ভিডিও এডিট করার জন্য বিভিন্ন সফটওয়্যার রয়েছে। আপনার কাছে যদি ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার থাকে তাহলে সেই সফটওয়্যার ব্যবহার করে ছোট ছোট ভিডিও এডিটিং করে ইনকাম করতে পারবে। 
  • ভয়েসওভারঃ পৃথিবীর যেকোন জায়গা থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে আপনার ভয়েস দিয়ে কথা বলে আপনি ইনকাম করতে পারবেন। এক্ষেত্রে আপনি দৃশ্যমান হবেন না, শুধুমাত্র আপনার ভয়েসওভার দিয়ে আয় করতে পারবেন। 

বিঃদ্রঃ (উপরে ফ্রিল্যান্সিং এর বেশ কয়েকটি কাজ নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেছি। এগুলো কাজের মধ্যে যেটি  ফ্রিল্যান্সিং এর সবচেয়ে সহজ কাজ বলে আপনার মনে হচ্ছে বা যে কাজে আপনার দক্ষতা রয়েছে আপনি সে কাজটি আপনার বেছে নেয়া উচিৎ। আর এই কাজে সফলতা অর্জন করতে হলে অথবা সফল ফ্রিল্যান্সার হতে চাইলে সেরা ৮টি টিপস ফলো করুন।) 

লেখকের শেষ কথা 

আপনি সফল ফ্রিল্যান্সার হতে চাইলে সেরা ৮টি টিপস ফলো করুন । তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার কোন কাজে দক্ষতা রয়েছে। আপনি কোন কাজটি দিয়ে শুরু করলে সহজে একজন সফল ফ্রিল্যান্সার হতে পারবেন। কারণ একটা সঠিক কাজ বেছে নেওয়া একজন সফল ফ্রিল্যান্সারের প্রথম পদক্ষেপ। তাই ফ্রিল্যান্সার হতে চাইলে আপনাকে ফ্রিল্যান্সিংয়ের সবচেয়ে সহজ কাজ কোনটি সেটা বেছে নিতে হবে। আর এ বিষয়ে আপনাদের সঠিক তথ্য দেয়ার জন্য আজকে আমার এই আর্টিকেলটি লেখা। 

আশা করছি, উপরের আর্টিকেলটি আপনি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েছেন। আর্টিকেলটি পড়ে আপনি নিশ্চয়ই আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো পেয়েছেন। আর নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন যে, কেউ সফল ফ্রিল্যান্সার হতে চাইলে সেরা ৮টি টিপস ফলো করতে পারে।  আর্টিকেলটি সম্পর্কে আপনার মূল্যবান মতামত দিন আমাদের কমেন্ট বক্সে। আর্টিকেলটি পড়ে আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার পরিচিত বন্ধুবান্ধবদের সাথে শেয়ার করুন। এরকম আরো গুরুত্বপূর্ণ ও নতুন নতুন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটটির রেগুলার ভিজিট করুন। আপনাদের উৎসাহ পেলে নিশ্চয়ই  আরো ভালো ভালো লিখা উপহার দিতে পারবো। 











এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ট্রাসটেডএয়ার্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪