OrdinaryITPostAd

অনলাইন শিক্ষার গুরুত্ব এবং অনলাইন শিক্ষার সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে জানুন

ছাত্র জীবনে টাকা আয় করার উপায়আপনি যদি অনলাইন শিক্ষার গুরুত্ব এবং অনলাইন শিক্ষার সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আপনি একদম ঠিক জায়গায় এসেছেন। আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্যই। আজকের আর্টিকেলে আমি অনলাইন শিক্ষার গুরুত্ব এবং অনলাইন শিক্ষার সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। ধৈর্য সহকারে পুরো আর্টিকেলটি পড়ুন তাহলে অনলাইন শিক্ষার গুরুত্ব এবং অনলাইন শিক্ষার সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে  জানতে পারবেন। 

অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য জেনে নিন

অনলাইন শিক্ষা এমন একটি শিক্ষা পদ্ধতি যার সম্পর্কে সকলেরই জানা উচিৎ। আপনি যদি অনলাইন শিক্ষার গুরুত্ব ও অনলাইন শিক্ষার সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে ভারোভাবে জানতে পারেন তাহলে আপনার অনলাইন শিক্ষার প্রতি আগ্রহ বেড়ে যাবে । চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক অনলাইন শিক্ষার গুরুত্ব এবং অনলাইন শিক্ষার সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে। 

পেইজ সূচীপত্রঃ অনলাইন শিক্ষার গুরুত্ব এবং অনলাইন শিক্ষার সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে জানুন

অনলাইন শিক্ষা কী ?

পৃথিবী ব্যাপী কখনো কখনো এমন ভয়াবহ সমস্যা সৃষ্টি হয় যাতে সারা পৃথিবীর প্রায় অচল হয়ে পড়ে। তখন মানুষকে নিজেদের সক্রিয় অস্তিত্ব রক্ষার জন্য বিকল্প কিছু খুঁজে নিতে হয়। শিক্ষাক্ষেত্রও পৃথিবী ব্যাপী দিনে দিনে প্রযুক্তি বা এডুটেক-এর প্রসার ঘটে চলেছে।উদ্ভাবিত হচ্ছে নতুন কিছু ধারনা, কিছু নতুন কৌশল। এমন একটি প্রযুক্তি কৌশল অনলাইন শিক্ষা, যা স্থবির শিক্ষাক্ষেত্রেকে প্রাণবন্ত করার জন্য বিশেষ ভূমিকা রা খতে সচেষ্ট রয়েছে ।

আরো পড়ুনঃ গুগল এডসেন্স কি? এডসেন্স থেকে কি ইনকাম হয়?

অনলাইন শিক্ষা হল এমন একটি নমনীয় শিক্ষা কার্যক্রম যা ইন্টারনেট প্রযুক্তির মাধ্যমে ঘরে বসেই গ্রহণ করা যায়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় অনলাইন লাইভ শিক্ষা কার্যক্রমই হলো অনলাইন স্কুল। এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলমান ক্লাসগুলো ধারণকৃত থাকে সেখান থেকেও শিক্ষার্থীরা যার যখন যেটুকু দরকার তা সুযোগ মতো গ্রহণ করতে পারে ।

অনলাইন শিক্ষার বিতর্ক 

অনলাইন শিক্ষার প্রেক্ষাপট আলোচনা

সাধারণভাবে যারা কর্মব্যস্ত সময় কাটান, চাকরি বা ব্যবসায়ী করেন তারা উচ্চশিক্ষা, প্রশিক্ষণ বা দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য অনলাইন শিক্ষার প্রতি বেশি আগ্রহী। তাছাড়া দীর্ঘদিনের দেশীয় বা বৈশ্বিক সংকট থাকার কারণে অনলাইন স্কুল কার্যক্রম গ্রহণ করা আবশ্যক হয়ে পড়ে। বিশেষ কোন বিষয়ের প্রতি আগ্রহ থাকলেও অনলাইন স্কুল অত্যন্ত কার্যকর। ইংরেজি ভাষা, বিজ্ঞানের কোন বিষয়, ব্যবসা, শিল্প, প্রযুক্তি, গণিত, ইতিহাস, সাহিত্য, হাতের কাজ, ফুল চাষ, পোশাক তৈরি, কুটির শিল্প, অটোমোবাইল, ইঞ্জিনিয়ারিং, ল্যাপটপ সার্ভিসিং, গাড়ি মেরামত, গ্রাফিক্স ইত্যাদি বিষয়ে অনলাইন শিক্ষা বেশ কিছু বছর ধরে কার্যকর রয়েছে।

 ১৯৮৯ সালে প্রথম ইউনিভার্সিটি অব ফিনিকলের মাধ্যমে অনলাইন শিক্ষা যাত্রা শুরু। ২০০৮ সালে সালমান খানের খান অ্যাকাডেমী অনলাইন শিক্ষার মাধ্যমকে ভিন্ন মাত্রায় নিয়ে যায়। এরপর একে একে যুক্ত হয় ইউডেমি, টেড, এডেসক, কোর্সেরা প্রভৃতি। ২০১৫ সালে বাংলাদেশে গড়ে ওঠে ১০ মিনিট স্কুল। স্বাভাবিক বা নির্ধারিত কাজকর্মের ফাকে বা অবসরে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম গ্রহণের প্রবণতা আমাদের দেশেও এখন বেশ উৎসাহ ব্যাঞ্জক।

শিক্ষাক্ষেত্রে করোনার প্রভাব 

শিক্ষা ক্ষেত্রে করোনার প্রভাব নিঃসন্দেহে নেতিবাচক। ৭ / ৮ মাস ধরে সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল এই করোনার কবলে পড়ে। ফলে উলট পালট হয়ে গেছে পুরো শিক্ষা ক্যালেন্ডার, বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে শিক্ষা কার্যক্রম। ইতোমধ্যে অনেক শিক্ষার্থীর মধ্যে আচরণগত পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। করোনা ভাইরাসে নিজে বা পরিবারের কারো আক্রান্ত হওয়ার ভয়, পড়াশোনা ও পরীক্ষা নিয়ে দুশ্চিন্তা, খেলাধুলা বন্ধ হওয়া, বন্ধুদের সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ না হওয়ায় অস্থিরতা এখন নিত্যনৈমিত্তিক ভাবনার বিষয়। 

এসব কারণে কারো কারো মধ্যে দেখা যাচ্ছে তীব্র মন খারাপ, বিরক্তি আর ক্রোধের প্রকাশ। এর প্রভাব পড়ছে পরিবারে ও সমাজে। পরিবার ও সমাজে এক অস্বস্তিকর অবস্থা্র সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষক-কর্মচারী এমনকি অভিভাবকদের পিঠেও দেয়াল ঠেকে গেছে ছিলেন। তারা না পারছেন সংসারের খরচ চালাতে, না পারছেন ছেলে মেয়েদের সংকট মোচন করতে। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং তাদের ভবিষ্যতের প্রশ্নে শিক্ষা সংশ্লিষ্টকর্তা ব্যক্তিরা রীতিমতো দ্বন্দ্বের মধ্যে ছিলেন। সবার কপালে দেখা গেছে দুশ্চিন্তা আর অনিশ্চিতের রেখা।

ইউনেস্কোর প্রেস রিলিজ সম্বন্ধে

ইউনেস্কো প্রেস রিলিজ জানিয়েছিলেন যে, কোভিড ১৯-এর পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় বিশ্বের ১৬৫ টি দেশের ১.৫ বিলিয়ন শিক্ষার্থী পড়াশোনা থেকে বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এ সংস্থাটি সদস্য রাষ্ট্রগুলোর জন্য যে গাইডলাইন প্রকাশ করেছে তাতে দূর শিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এতে গুরুত্বের সঙ্গে উল্লেখ করা হয়েছে ডিজিটাল টুল ব্যবহার করে শিক্ষককে ক্লাস নিতে হবে এবং টিভি অথবা অন্য কোন মাধ্যমে তা সম্প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। 

অনলাইন শিক্ষার গুরুত্ব আলোচনা

প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যবস্থা কোভিড ১৯-এর কারনে মারাত্মক স্থবির অবস্থায় ছিল। শিক্ষার্থী, শিক্ষক কর্মচারী, অভিভাবক, শিক্ষক গবেষক, ও শিক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা এই দীর্ঘ সময়ের স্থবিরতা এবং এর মারাত্মক প্রভাব নিয়ে  চিন্তিত ও উদ্বিগ্ন। এই সংকট থেকে উত্তরণের জন্য অনলাইন স্কুল কার্যক্রমের বিকল্প নেই।

আরো পড়ুনঃকিভাবে ফরেক্স ট্রেডিং করে আয় করবেন 

 শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় যুক্ত রাখতে এবং তাদের মানসিক সাপোর্টের জন্য অনলাইন ক্লাসই হতে পারে একমাত্র কার্যকর পদ্ধতি। তখন অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম পদ্ধতি অবলম্বন করা হলো শিক্ষা ক্ষেত্রে। তাই কোভিড ১৯-এর কারণে শুধু বাংলাদেশ নয় পুরো পৃথিবী শিক্ষাব্যবস্থা যখন স্থির অচল হয়ে পড়েছিল তখন অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম পদ্ধতি সে অচল শিক্ষা ব্যবস্থাকে কিছুটা হলেও সচল করতে শুরু করে। এজন্য অনলাইন শিক্ষার গুরুত্ব আমাদের স্বীকার করতেই হবে।

পৃথিবীর দেশে দেশে অনলাইন শিক্ষা

বিশ্বে ধনী গরিব প্রায় প্রতিটি দেশে মাইক্রোসফট , ফেসবুক, জুম, জিএসএমএ, গুগল, কোর্সেরার মতো মাধ্যমগুলো ব্যবহার করে কোভিড ১৯ সময়কালে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিল। শিক্ষার্থীদের ঘরে রাখতে, লেখাপড়ার সম্পৃক্ত করতে তথা মানসিক স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে অনলাইন স্কুল কার্যক্রম সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে--- এই ব্যাপারে সবাই আশাবাদী ছিল। এই বিষয়ে কয়েকটি দেশের উদাহরণ দেওয়া যেতে পারে।

 ইথিওপিয়া সরকারিভাবে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ই টেক্সটবুক বিতরণ করেছিল। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ ভ্যালেন্টাইনে সরকারিভাবে ই লার্নিং পোর্টালের মাধ্যমে বিষয়ে ও শ্রেণী ভিত্তিক বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা উপকরণ শিক্ষার্থীদের দিয়েছে। আফগানিস্তান টেলিভিশন ও ইউটিউবে শিক্ষা চ্যানেলের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম চালু রেখেছে। সংক্রমণ একটি নির্ধারিত মাত্রায় কমার সঙ্গে সঙ্গে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চালু করেছে এবং অব্যাহত রেখেছিল। ইউরোপ আমেরিকা ছাড়াও অনেক উন্নত দেশেই এখন এটি জনপ্রিয় মাধ্যম। কারণ শিক্ষা ব্যবস্থায় অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাপক অবদান রাখতে সক্ষম হয়েছে। 

বাংলাদেশে অনলাইন স্কুলের যাত্রা

সময়ের জনপ্রিয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বলতে এখন অনলাইন স্কুলকেই বোঝায়। ইন্টারনেটের সহজলভ্যতায় অনলাইন স্কুলের প্রতি ক্রমশ শিক্ষার্থীদের আগ্রহ বাড়ছে। বাংলাদেশ অনলাইন স্কুলে যাত্রা শুরু করেছে '১০ মিনিট স্কুল' -এর মাধ্যমে। ২০১৫ সালে গড়ে উঠে '১০ মিনিট স্কুল'। ফেসবুকের লাইভ ফিচার ব্যবহার করে ২০১৬ সালের জুন থেকে এই প্রতিষ্ঠানটি লাইভ ক্লাসের আয়োজন করে আসছে। এরপর ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে রেপটো এডুকেশন সেন্টার, ই-শিখন-কম, স্টাডিপ্রেস, ই স্কুল, এডুকার্নিভাল, এডুকেশন পিডি  অফ বাংলাদেশ, রেপটো এডুকেশন সেন্টার ইত্যাদি।

 এসব প্রতিষ্ঠান নিয়মিত একাডেমি ক্লাস ছাড়াও অন্যান্য নানা বিষয়ে লাইভ ক্লাস নিয়ে থাকে। এসব প্লাটফর্মে ছাত্র শিক্ষক সবাই সবাইকে দেখতে পায়, শুনতে পায়, প্রশ্ন করে এবং উত্তরও পেয়ে যায় । এর ফলে অনলাইন স্কুলগুলো এখন শিক্ষার্থীদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। এর একটি বড় সুবিধা হল স্মার্টফোনের মাধ্যমে যে কোন স্থান থেকে এই শিক্ষা গ্রহণ করা যায়। তাই অনলাইন স্কুল বাংলাদেশে অনেক জনপ্রিয়তা অর্জন করে। বাংলাদেশে এখন অসংখ্য শিক্ষার্থী অনলাইন ক্লাস করছে এবং অসংখ্য শিক্ষক অনলাইনে ক্লাসও নিচ্ছে।

বর্তমানে বাংলাদেশে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম পদ্ধতির অবস্থা 

বর্তমানে বাংলাদেশে স্কুল, কলেজ, ইউনিভার্সিটি সহ সকল ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা আছে এবং শিক্ষা বোর্ড কতৃক অনুমোদিত নিয়মে সকল শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবেই চলছে। কিন্তু তারপরেও দেশে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমগুলো চালু আছে। আপনি ইচ্ছা করলেই আপনার বাচ্চাদের জন্য বা নিজেদের জন্য বিভিন্ন ধরণের ক্লাশ বা বিভিন্ন ধরণের কোর্স অনলাইনে পেয়ে যাচ্ছেন। যে ক্লাশগুলো ঘরে বসেই করতে পারবেন বাইরে যাওয়ার ঝামেলা ছাড়াই। 
এগুলোর মধ্যে কিছু কিছু ক্লাশ আছে যার মূল্য পরিশোধ করতে হয় আবার কিছু কিছু ক্লাশ আছে যেগুলো বিনামূল্যে বা কিছু ছাড় সহকারে পেয়ে যাবেন। আবার আপনি দেশের বাইরেও অনলাইন ক্লাশ করতে পারবেন নিজের ঘরে বসেই মোবাইল, ট্যাব, ল্যাপটপ প্রভৃতি ব্যবহার করে। আপনি কোন উচ্চ শিক্ষা অর্জন করতে চাইলেও দেশে বা দেশের বাইরে থেকে অনলাইন শিক্ষার মাধ্যমে অনলাইন ডিগ্রী অর্জন করতে পারবেন। এভাবে অনলাইন শিক্ষার মাধ্যমে আপনার সুবিধামতো পড়াশুনা চালিয়ে যেতে পারবেন।

অনলাইন শিক্ষার সুবিধা সমূহ

অনলাইন শিক্ষার সুবিধা সমূহ

অনলাইন শিক্ষা এখন এতই জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে যে, বিপুল পরিমাণ শিক্ষার্থী এ অনলাইন ক্লাসের দিকে ঝুকে পড়েছে। আর অনলাইনে অনলাইন ক্লাসগুলো এমন ভাবে ছড়িয়ে পড়েছে যে শিক্ষার্থীরা খুব সহজেই এ ক্লাসগুলোতে অংশগ্রহণ করতে পারছি কোন ঝামেলা ছাড়ায়। অনলাইন ক্লাসগুলো অনেক শিক্ষার্থীর কাছে দারুন প্রিয় হয়ে উঠেছে। অনলাইন শিক্ষার আরো অনেক সুবিধা রয়েছে। অনলাইন ক্লাসের সুবিধা সমূহ নিচে তুলে ধরা হলো-

  • বিশ্বের যে কোন স্থান থেকে অনলাইন ক্লাসে অংশ নেয়া যায়।
  • স্কুল বা কলেজে যেতে হয় না বলে যাতায়াতের সময় ও অর্থ দুটোই বেঁচে যায়। 
  • ক্লাস লেকচার এক মিনিটের কপি করে যার যার কম্পিউটার, মোবাইল, প্রোফাইলে, সেভ করে রাখা যায়। তাই খাতায় লিখে নোট করার কোন ঝামেলা থাকে না।
  • একাডেমিক ক্লাসে একদিন উপস্থিত হতে না পারলে ওই দিনের লেকচার পরে আবার বোঝার সুযোগ থাকে না। কিন্তু অনলাইন ক্লাসের লেকচার ছাত্রছাত্রীর নির্দিষ্ট পেজে সুরক্ষিত থাকে। 
  • অনলাইন ক্লাসের নির্ধারিত পাঠিয়ে টিউটোরিয়াল ভিডিও আপলোড করেও বোঝানো যায়।
  • ক্লাস রুমের তুলনায় অনলাইনে শিক্ষার সময় শিক্ষার্থীরা অনেক বেশি মনোযোগী থাকে।
  • কোন শিক্ষার্থী যদি কোন কারণে নির্দিষ্ট সময়ে ক্লাস করতে না পারে তাহলে ক্লাস ভিডিওটি যেহেতু সুরক্ষিত থাকে তাই পরবর্তীতে যে কোন সময় সে ক্লাস ভিডিওটি দেখে ক্লাস কমপ্লিট করতে পারে।
  • ক্লাস ভিডিওটি শিক্ষার্থীর পেজে সুরক্ষিত থাকার কারণে ক্লাস ভিডিওর ভিতরে কোন অংশ বুঝতে না পারলে বারবার ক্লাস ভিডিওটি প্লে করে যে অংশটি বুঝতে পারেনি সে অংশটি ভালোভাবে বুঝে কমপ্লিট করতে পারে।

অনলাইন শিক্ষার অসুবিধা সমূহ

করোনা মহামারী দুঃসময়ে অনলাইন শিক্ষা অপরিহার্য হলেও,  এ শিক্ষা ব্যবস্থার সমস্যা ও বেশ প্রকট । অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমের কিছু সুবিধা থাকলেও কিছু অসুবিধাও লক্ষণীয়। যে অসুবিধা গুলো শিক্ষার্থীদের অনেক বিভ্রান্তিতে ফেলতে পারে। অনলাইন শিক্ষার অসুবিধা সমূহ নিচে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো-

  • যেসব শিক্ষার্থীর ল্যাপটপ,কম্পিউটার,মোবাইল,ইন্টারনেট সুবিধা নেই তারা অনলাইন শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
  • অনলাইন ক্লাসের বড় সমস্যা হল অনেক শিক্ষার্থীর স্মার্টফোন নেই। 
  • স্মার্ট ফোন থাকলেও অনলাইন ক্লাস করার জন্য যে পরিমাণ ডেটার প্রয়োজন সেই মূল্যে রিচার্জ করা অনেকের পক্ষেই সম্ভব নয়।
  •  তাছাড়া নেটওয়ার্কের সমস্যা রয়েছে। বহু জায়গায় ইন্টারনেটের সংযোগ তেমন থাকে না খুব উঠানামা করে। ফলে অনলাইন ক্লাস করতে হয় শিক্ষার্থীদের সমস্যায় পড়তে হয় ।
  • স্মার্টফোন ব্যবহারেও অনেক শিক্ষার্থী শিক্ষক অভিভাবকের তেমন দক্ষতা নেই। 
  • স্মার্টফোনের ডিজিটাল স্ক্রিনের প্রতি নির্ভরতা বাড়ার কারণে অনেকেরই চোখের সমস্যা হচ্ছে।
  • অনেক শিক্ষার্থী ক্লাস বা হোমওয়ার্ক করার নামে গেম খেলছে, চ্যাট করছে।
  • অনেক শিক্ষার্থীর স্কুল সাইজের লগইন করতে হিমশিম খাচ্ছে, দীর্ঘ সময় লাগছে। সেজন্য শিক্ষার্থীরা বিরক্ত হচ্ছে।
  • গ্রাম এলাকায়  অনেক বাড়িতেই টিভি সেট নেই। অনেক সময় বিদ্যুৎ থাকে না। ফলে টেলিভিশনের মাধ্যমে শিক্ষাদান কর্মসূচিও তেমন কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না। 
  • শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ফি সহ অন্যান্য ফ্রি বা খরচ দেওয়ার সামর্থ্য এখন অনেকেরই নেই। তাহলে অনলাইন ক্লাসের খরচ চালাবে কিভাবে ?
  • এই মহামারী করোনার সময় অস্তিত্ব টিকে রেখে সুস্থ থাকায় যখন বড় চলে তখন এসব ব্যয়বহুল খরচ জোগাড় করা সত্যিই অসম্ভব।

অনলাইন শিক্ষার অসুবিধা বা সমস্যা দূরীকরণের উপায়

অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম পদ্ধতি চালানোর জন্য যে সব অসুবিধা বা সমস্যা রয়েছে সেগুলো দূরীকরণের জন্য কিছু উপায় রয়েছে, যে উপায়গুলো অবলম্বন করলে অনলাইন শিক্ষা অসুবিধা বা সমস্যা দূরীকরণ সম্ভব। অনলাইন শিক্ষার কার্যক্রম পদ্ধতি কার্যকর রাখতে হলে আমাদের অনলাইন শিক্ষার অসুবিধা বা সমস্যা গুলো দূরীকরণের উপায় অবশ্যই অবলম্বন করা উচিত। নিচে অনলাইন শিক্ষার অসুবিধা বা সমস্যা দূরীকরণের উপায় উল্লেখ করা হলো-

  1. প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রযুক্তি ও ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন করে সময়োপযোগী করে গড়ে তোলা।
  2. বেসরকারি/এমপিও ভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন ভাতা নিয়মিত পরিশোধের ব্যবস্থা করা।
  3. শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি, সেমিস্টার ফি মওকুফ করা বা কমানোর ব্যবস্থা করা।
  4. অনলাইন ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য শিক্ষার্থীদের বিনা পয়সায় ইন্টারনেট ব্যবহার করার সুযোগ নিশ্চিত করা।
  5. এক্ষেত্রে সরকারি ব্যবস্থাপনায় স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডারদের সঙ্গে এ সংক্রান্ত চুক্তি সম্পাদন করা। 
  6. যারা একেবারে অসচ্ছল তাদের প্রয়োজনমতো অ্যান্ড্রয়েড স্মার্ট মোবাইল ফোন সেট সরবরাহ করা।

লেখকের শেষ বক্তব্য।অনলাইন শিক্ষার গুরুত্ব এবং অনলাইন শিক্ষার সুবিধা ও অসুবিধা

দীর্ঘদিন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছেড়ে বাড়িতে, বাসায় বসে থাকা শিক্ষার্থী ও অভিভাবক উভয়ের পক্ষে কঠিন। শিক্ষার্থীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরে যাওয়ার অপেক্ষার প্রহর গুনছে কিন্তু করোনা মহামারীর কারণে সেটি সম্ভব হচ্ছিল না। তাই বিকল্প ব্যবস্থা অর্থ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে অনলাইন ক্লাস নেওয়ার তাগিদ দেয়া হয়েছিল । অনলাইন শিক্ষার গুরুত্ব এখনো অব্যাহত রয়েছে। শিক্ষার্থীরা ঘরে বসেই অনলাইন ক্লাসও পরীক্ষার সুবিধা গ্রহণ করে সচ্ছন্দে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে পারবে, যদি অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম পদ্ধতি অব্যাহত থাকে। তাছাড়া অনলাইন স্কুল পরিচালিত বিভিন্ন বিষয়ের ক্লাস থেকেও শিক্ষার্থীরা সুবিধা নিতে পারবে। এর ফলে শিক্ষার্থীদের দুশ্চিন্তা কমবে, সময় ভালো কাটবে এবং  নিশ্চিন্ত হবে অভিভাবকেরা। 

আশা করছি উপরের লেখাগুলো প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত খুব ভালোভাবে পড়েছেন এবং অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম সম্পর্কে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো পেয়েছেন।ভাটিকেলটি দ্বারা আপনি যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার পরিচিত ও বন্ধুবান্ধবের সাথে শেয়ার করুন এবং আমাদের পাশে থাকুন। আপনাদের অনুপ্ররণা আরো ভালো কনটেন্ট উপহার দেয়ার জন্য আমাদের অনুপ্রেরণা যোগাবে। এই রকম আরো প্রযোজনীয় তথ্য জানার জন্য প্রতিদিন আমাদের  ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন।







এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ট্রাসটেডএয়ার্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪