বঙ্গবন্ধু সেতু সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে নিন
বাংলাদেশ পর্যটন শিল্প সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য জানুন বঙ্গবন্ধু সেতু সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্য আপনি কি জানতে চাচ্ছেন ? আজকের যে আর্টিকেলটি আপনি পড়তে যাচ্ছেন তাতে বঙ্গবন্ধু সেতু সম্পর্কে সকল প্রয়োজনীয় তথ্য সুস্পষ্টভাবে আলোচনা করা হয়েছে। আজকের আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ভালোভাবে পড়ুন বঙ্গবন্ধু সেতু সম্পর্কিত সকল প্রয়োজনীয় তথ্য আপনি আজকের এই আর্টিকেলে পেয়ে যাবেন ।
বঙ্গবন্ধু সেতু বাংলাদেশের অন্যতম একটি ব্যয়বহুল সেতু । বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণের ফলে আমরা বিভিন্নভাবে উপকৃত হয়েছি । এ সেতু নির্মাণের ফলে আমাদের যোগাযোগ ও যাতায়াত ব্যবস্থা অনেক সহজ তর হয়েছে। বঙ্গবন্ধু সেতু সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সমূহ আপনার অবশ্যই জানা উচিত। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক বঙ্গবন্ধু সেতু সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ।
পোস্ট সূচিপত্রঃ বঙ্গবন্ধু সেতু সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে নিন
- বঙ্গবন্ধু সেতু সম্পর্কে কিছু কথা
- বঙ্গবন্ধু সেতুর ইতিকথা আলোচনা
- বঙ্গবন্ধু সেতুর নামকরণ হয় যেভাবে
- বঙ্গবন্ধু সেতুর স্থান নির্বাচন
- বঙ্গবন্ধু সেতুর আকার বর্ণনা
- বঙ্গবন্ধু সেতুর বিভিন্ন অংশ বর্ণনা
- বঙ্গবন্ধু সেতুর খুঁটি নির্মাণ
- বঙ্গবন্ধু সেতুর নকশার বিবরণ
- বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে
- বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণের সহযোগী প্রধান কুশীলব
- বঙ্গবন্ধু সেতুর উদ্বোধন
- বঙ্গবন্ধু সেতু ও দেশের সমৃদ্ধি
- আমাদের শেষ বক্তব্য।বঙ্গবন্ধু সেতু সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
বঙ্গবন্ধু সেতু সম্পর্কে কিছু কথা
নদীমাতৃক এদেশের দীর্ঘস্থল পথকে বারবার খন্ড-বিখন্ড করেছে বয়ে যাওয়া পদ্মা মেঘনা যমুনা প্রভৃতি বড় বড় নদী । এদেশের বিশাল দীর্ঘতম যে যমুনা নদীতে ব্রিটিশ আমলেও রেল সেতু নির্মিত হয়নি , তারই বুকে নবনির্মিত বঙ্গবন্ধু সেতু তথা যমুনা সেতুকে এক অলৌকিক সেতু বলে আখ্যায়িত করা যায় । এটি কেবল সেতুই নয়, বাঙালি জাতির একটি স্বপ্ন, একটি আকাঙ্ক্ষা । বঙ্গবন্ধুর সাথে প্রকল্প বাস্তবায়নের মধ্যে দিয়ে দেশের পূর্বাঞ্চলের সাথে উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের এক নিবিড় যোগসূত্র স্থাপিত হচ্ছে । নির্মাণের প্রথম পর্যায়ে থেকে শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও দেশীয় নির্মাণ সংস্থা জড়িত ।
বঙ্গবন্ধু সেতুর ইতিকথা আলোচনা
যমুনা বাংলাদেশের পশ্চিম উত্তর অঞ্চলকে আলাদা করে রেখেছিল। যমুনা নদীর উপর সেতু নির্মাণের যুক্তি দাবিতীয় তাই অনেক পুরনো । যমুনা নদীর উপর সেতু নির্মাণের প্রথম দাবি উঠেছিল ১৯৬৩ সালে। তারই সূত্র ধরে ১৯৬৬ সালের ১১ই জুলাই সম্মানিত প্রাদেশিক সংসদ সদস্য জনাব শামসুল হক এর একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়। এ প্রস্তাবে বলা হয়েছিল "এব্রিজ টু বি কন্ট্রাক্টেড ওভার দা রিভার যমুনা"।
এর সূত্র ধরে বিদেশি বিশেষজ্ঞ কপি এর সম্ভাব্যতার সমীক্ষা পরিচালনা করা হয় ১৯৬৯, ১৯৭৬ এবং ১৯৮২ সালে। পেট্রো বাংলা দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে গ্যাস সরবরাহের জন্য একটি সম্ভাব্যতা যাচাই করে। ব্রিটিশ পেন কল ও বাংলাদেশের বি সি এল-এর রিপোর্টে এককভাবে গ্যাস নেওয়ার পরিবর্তে যমুনা নদীর উপর একটি বহুমুখী সেতুর নির্মাণের সুপারিশ করা হয়। ১৯৮৪ সালে এরশাদ সরকারের মন্ত্রী পরিষদ যমুনা সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত গ্রহন করে।
আরও পড়ুনঃ ভাষা আন্দোলন দিবস সম্পর্কে জেনে নিন
এরশাদ সরকারের তত্ত্বাবধানে ১৯৮৫ সালে সেতুনির্মাণের নির্বাহী সংস্থা যমুনা বহুমুখী সেতু কর্তৃপক্ষ গঠন করা হয়। ১৯৯১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর চারজন অর্থনীতিবিদ পুনরায় অর্থনৈতিক যৌক্তিকতা নিরূপণ করে সেতু নির্মাণের কাজ হাতে নেয়। অতঃপর আরো অনেক যাচাই-বাছাইয়ের পর ১৯৮৪ সালে বিশ্ব ব্যাংক, এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক ও জাপানের সংস্থা জাইকা প্রত্যেকে ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থায়নের অঙ্গীকারের পর সেতু নির্মাণের কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।
বঙ্গবন্ধু সেতুর নামকরণ হয় যেভাবে
সর্বপ্রথম বঙ্গবন্ধু সেতুর নামকরণ করা হয় যমুনা বহুমুখী সেতু প্রকল্প। এ সেতু নির্মাণের ফলে পূর্বাঞ্চলের সাথে পশ্চিমাঞ্চলের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ, রেল যোগাযোগ, গ্যাস সরবরাহ, বিদ্যুৎ সরবরাহ ও টেলি যোগাযোগ নিশ্চিত হয়েছে। বহু লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে, হলে বহু লোকের দারিদ্রতা দূরীভূত হয়েছে, নতুন সড়ক শহরের সভ্যতা ও সাংস্কৃতিকে গ্রামে এনে যুক্ত করেছে। অতঃপর ১৯৯৭ সালে মন্ত্রিপরিষদ বইটাকে সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম অনুসারে যমুনা সেতুর নামকরণ করা হয় 'বঙ্গবন্ধু সেতু' ।
বঙ্গবন্ধু সেতুর স্থান নির্বাচন
অনেক চিন্তাভাবনা করার পর বঙ্গবন্ধু সেতুর স্থান নির্বাচন করা হয়। বঙ্গবন্ধুর সেতুর স্থান নির্দিষ্টকরণের জন্য প্রথমে সাতটি করিডোর নির্বাচন করা হয়। অতঃপর বিভিন্ন প্রকার পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে নদীর পশ্চিম পাড়ে সিরাজগঞ্জের সদর থানার সায়দাবাদ ইউনিয়নের বড় শিমুলিয়া পঞ্চসোনা গ্রাম আর পূর্ব তীর টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতী থানার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দূরিয়া গ্রাম এলাকায় সেতুর স্থান নির্ধারণ করা হয় এবং এটি যোগ্য স্থান বলে বিবেচিত হয়।
বঙ্গবন্ধু সেতুর আকার বর্ণনা
বঙ্গবন্ধু সেতুর আকার সম্পর্কে সকলেরই বিস্তারিত জানা উচিত । বঙ্গবন্ধু সেতুর দৈর্ঘ্য ৪.৮ কিলোমিটার এবং মূল সেতুর প্রস্থ ১৮.৫ মিটার। সড়ক লেন ৪টি, ভায়াডাক্টের দৈর্ঘ্য ১২৮ মিটার, উচ্চতা ৪০ ফুট, মোট স্পিনের সংখ্যা ৪৯ টি। মোট পাইল সংখ্যা ১২১ টি, পায়েলের গড় দৈর্ঘ্য ৪৮ মিটার। পূর্ব তীরে সংযোগ সড়কের দৈর্ঘ্য ১৫.৩ কিলোমিটার। পশ্চিম তীরের সংযোগ সড়কের দৈর্ঘ্য ১৪.৪ কিলোমিটার। পূর্ব ও পশ্চিম তীরে গাইড ব্যান্ডের দৈর্ঘ্য ২.২ কিলোমিটার।
বঙ্গবন্ধু সেতুর বিভিন্ন অংশ বর্ণনা
বঙ্গবন্ধু সেতু একটি জটিল প্রকল্প। অর্থনৈতিক, কারিগরি ও প্রযুক্তিগত দিক থেকে এটি দেশে একক বৃহত্তম কারিগরি প্রকল্প। বঙ্গবন্ধু সেতুর মোট ৮টি অংশ রয়েছে। সেতুটির এই ৮টি অংশ নিচে উল্লেখ করা হলো। যথাঃ
- কন্ট্রাক্ট-১ মূল সেতু
- কন্ট্রাক্ট-২ নদী শাসন
- কন্ট্রাক্ট-৩ পূর্ব তীরের সংযোগ সড়ক
- কন্ট্রাক্ট-৪ পশ্চিম তীরের সংযোগ সড়ক
- কন্ট্রাক্ট-৫ পূর্ব তীরের সংযোগ রেলপথ
- কন্ট্রাক্ট-৬ পশ্চিম তীরের সংযোগ রেলপথ
- কন্ট্রাক্ট-৭ পূর্ব তীরের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ
- কন্ট্রাক্ট-৮ পশ্চিম তীরের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ।
এছাড়াও রয়েছে প্রকল্প এলাকার পুনর্বাসন প্রক্রিয়া।
বঙ্গবন্ধু সেতুর খুঁটি নির্মাণ
খুটির ওপর নির্ভর করে এসে তোর কাঠামো গড়ে ওঠে। বঙ্গবন্ধু সেতুর জন্য মোট ১২১টি খুঁটি বসানো হয়েছে। এ খুটি নির্মাণের জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার হুন্দাই কনস্ট্রাকশন কোম্পানি নিজস্ব ইয়ার্ডে স্টিলের টিউব তৈরি করে।তারপর টিউব ওয়েল্ডিং করে ৩০ মিটার দীর্ঘ খুঁটি তৈরি করা হয়। খুঁটি বসানোর জন্য একটি বিশেষ হাইড্রোলিক হাতুড়ি তৈরি করা হয় এবং নির্দিষ্ট স্থানে স্থাপনে একটি জিগ ব্যবহৃত হয়। ক্রেনের সাহায্যে এক একটি পিলারের মাঝখানে জিগ বসানো হয় এবং যথাস্থানে খুঁটি বসানো হয়। যমুনার বসানো ১২১টি খুঁটি লম্বালম্বি বসানো হলে, ১০ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি সুরঙ্গ তৈরি হতো।
বঙ্গবন্ধু সেতুর নকশার বিবরণ
বঙ্গবন্ধু সেতু মূল নকশা অনুযায়ী সোজাসুজি না হয়ে একটু বাঁকানো। যানবাহনের চালকদের চোখ ধা দিয়ে দিতে পারে এই বিবেচনায় সেতুটি একটু বাঁকানো। মূল নকশা অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু সেতুর খুঁটিগুলো বালু দ্বারা ভরাট করার কথা ছিল। কিন্তু খুটির গুরুত্ব কিছুটা কম হওয়ায় বিশেষজ্ঞরা বালুর পরিবর্তে কনক্রিট ব্যবহারের নির্দেশ দেন। এসে তোর নকশা করা হয়েছে শতবর্ষের বন্যার কথা চিন্তা করে।
বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণে ব্যয় হয়েছে
সে সময় বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সেতু হিসেবে বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণ ব্যয়ও অধিক। সেতুটি নির্মান করতে বহু অর্থ ব্যয় হয়েছে। এসে তোর মোট খরচ ০৬০৩.৭০ কোটি টাকা বা ৬৯৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মানে কোন কাজে, কত টাকা ব্যায় হয়েছে সেটা নিচে বিস্তারিতভাবে তুলে ধরা হলো। যথাঃ
- তার মধ্যে মূল সেতু ৯৮৬.৯৬ কোটি টাকা ।
- নদী শাসন ১১০৭.৬০ কোটি টাকা ।
- পূর্ব তীরের সংযোগ সড়ক ১০৬.০৩ কোটি টাকা ।
- কারিগরি সহায়তা ৯৭.৮২ কোটি টাকা ।
- ভূমি অধিগ্রহণ ৭১.০০ কোটি টাকা ।
- কন্ট্রাক্ট ৭ ও ৮হলো ৩২ দশমিক০০ কোটি টাকা ।
- পরিবেশ ২৪.০০ কোটি টাকা ।
- পুনর্বাসন ১৬৩.২০ কোটি টাকা ।
- অবশিষ্ট টাকা ব্যয় হয় সেতু সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন খাতে ।
এখানে উল্লেখ্য যে, নদী শাসনের ব্যয়ভার মূল সেতু নির্মাণের চেয়ে বেশি । কারণ নদীকে সেতুর নিচ দিয়ে প্রবাহিত করতে না পারলে সে তো টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয় । সেতুর মোট খরচের মধ্যে বিশ্ব ব্যাংক দিয়েছে ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, এডিবি দিয়েছে ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার , জাপান দিয়েছে ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং বাংলাদেশ ব্যয় করেছে .৯৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ।
বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণের সহযোগী প্রধান কুশীলব
যেহেতু বঙ্গবন্ধু সেতু একটি জটিল প্রকল্প তাই একেক ভাবে কোন কৌশল নির্মাণ কাজ করতে সমর্থ হয়নি । বরং এর এক একটি অংশ এক একটি কুশীলব নির্মাণ করেছে । বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণের সহযোগী প্রধান কুশীলব সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলোঃ
- মূল সেতু নির্মাণ-হুন্দাই কনস্ট্রাকশন কোম্পানি (দক্ষিণ কোরিয়া) ।
- নদী শাসন-হ্যামভান ও আর্ড জয়েন্ট ভেঞ্চার (নেদারল্যান্ড) ।
- উভয় তীরের সংযোগ সড়ক-সামওয়ান কর্পোরেশন (দক্ষিণ কোরিয়া) ।
- নির্মাণ তদারকি উপদেষ্টা -আর পি টি /নেভোকা/বিসিএল ।
- ব্যবস্থাপনা উপদেষ্টা-স্যার উইলিয়াম হ্যালক্রো/প্রাইম ওয়াটার ইপিসি ।
- সার্বিক তত্ত্বাবধান-বঙ্গবন্ধু বহুমুখী সেতু কর্তৃপক্ষ ।
বঙ্গবন্ধু সেতুর উদ্বোধন
বঙ্গবন্ধু সেতুর উদ্বোধনের দিন ছিল খুবই আনন্দঘন একটি দিন । এ সেতু উদ্বোধনের জন্য বাংলাদেশের মানুষ অনেক বিচলিত ছিল । কারণ বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণের ফলে পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক সহজতর হয় । তাই বাংলাদেশের মানুষ বিশেষ করে পূর্বাঞ্চলে পশ্চিমাঞ্চলের মানুষ বঙ্গবন্ধু সেতু উদ্বোধনের জন্য ব্যাপক বিচলিত ছিল ।
১৯৯৮ সালের ২৩ জুন বঙ্গবন্ধু সেতু উদ্বোধনের দিন ধার্য করা হয় । বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সেতুটি উদ্বোধন করেন । এদিন থেকেই সেতুর উপর দিয়ে খুলনা, রাজশাহী ও সৈয়দপুর থেকে তিনটি দ্রুতগামী ও বিলাসবহুল ট্রেন চলাচল করে । উন্নততর যাত্রী সেবা ও নিরাপত্তার নিশ্চয়তা সংবলিত এ পদক্ষেপ সমূহ রেল যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সূচনা ঘটায় । এ ছাড়া বাস , ট্রাক ও অন্যান্য যানবাহন চলাচলের মাধ্যমে দেশের দুই অঞ্চলের মধ্যে নতুন যোগসূত্র রচিত হয়।
বঙ্গবন্ধু সেতু ও দেশের সমৃদ্ধি
বঙ্গবন্ধু সেতু নির্মাণের মাধ্যমে দেশের পূর্বাঞ্চলে পশ্চিমাঞ্চলের মধ্যে দ্রুত অধিক লোকের যাতায়াত ও মালামাল পরিবহনের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে । এতে ভোগ্য পণ্যের পরিবহন মূল্য কমে যায় । শিল্পপতিগণ উৎসাহিত হন এবং বিনিয়োগ ও উৎপাদন বৃদ্ধি পায় । বঙ্গবন্ধু সেতুর মাধ্যমে পশ্চিমাঞ্চলে বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ এবং এলাকার আর্থসামাজিক উন্নয়নের প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাখছে । এগুলো এ অঞ্চলের শিল্পায়নে ব্যাপক নব দিগন্তের সূচনা করেছে তা নয় বরং জ্বালানিরুপে ব্যবহৃত হয়ে এ অঞ্চলের গাছপালা রক্ষা করছে । যার ফলে প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখছে । বঙ্গবন্ধু সেতুর কল্যাণে যোগাযোগ ও পরিবহনে এবং আর্থসামাজিক উন্নয়নের সমগ্র বাংলাদেশের সমৃদ্ধি বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে কোন সন্দেহ নেই ।
আমাদের শেষ বক্তব্য
বঙ্গবন্ধু সেতু তথা যমুনা বহুমুখী সেতু বাস্তবায়িত হওয়ায় দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে। দেশের কৃষি, শিল্প , ব্যবসায়-বাণিজ্য , মালামাল পরিবহন প্রভৃতি ক্ষেত্রে এক অভূতপূর্ব উন্নতি সাধিত হচ্ছে , যা দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করছে । কাজে আমাদের দরিদ্র দেশের প্রেক্ষাপটে বঙ্গবন্ধু সেতুর প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম ।
বঙ্গবন্ধু সেতু সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি । আশা করছি আমাদের আর্টিকেলটি আপনার ভালো লেগেছে। আপনার যদি তথ্য গুলো ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বন্ধু-বান্ধব বা পরিচিতদের সাথে শেয়ার করবেন । আর আপনার মূল্যবান মতামত আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাবেন। এরকম আরো গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় তথ্য পেতে রেগুলার আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন । নিশ্চয়ই আমাদের পাশে থাকবেন। ধন্যবাদ
ট্রাসটেডএয়ার্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url