OrdinaryITPostAd

নবাব সিরাজউদ্দৌলার স্ত্রীর নাম কি

নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয়ের কারণ - নবাব সিরাজউদ্দৌলার রাজনৈতিক বিপর্যয়নবাব সিরাজউদ্দৌলার স্ত্রীর নাম কি হতে পারে এই নিয়ে অনেকের কৌতূহলের শেষ নেই। কারণ নবাব সিরাজউদ্দৌলার বেশ কয়েকজন স্ত্রী এর মধ্যে লুৎফুন্নেসা বেগম তার প্রধান সহধর্মিনী এবং তাদের প্রথম সন্তান ছিল উম্মে জোহরা বেগম।
নবাব-সিরাজউদ্দৌলার-শ্বশুরের-নাম-কি
সিরাজউদ্দৌলার আরো দুজন স্ত্রী ছিল যাদের নাম ছিল বেগম জায়েবুন্নেছা এবং উমদাতুন্নেছা বেগম। কিন্তু সকল স্ত্রীগণের মধ্যে তার সবচাইতে প্রিয়তমা স্ত্রী হিসেবে লুৎফুন্নেসা বেগম ছিল অন্যতম।

পেইজ সূচিপত্র

নবাব সিরাজউদ্দৌলার স্ত্রীর নাম কি

নবাব সিরাজউদ্দৌলার স্ত্রীর নাম জানার আগ্রহ অনেকের মধ্যে থাকতে পারে। কারণ অনেকেই পূর্বের ইতিহাস নিয়ে জানতে চায় বিশেষ করে যেহেতু নবাব সিরাজউদ্দৌলা বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব ছিলেন। তাই তার পরিবার সম্পর্কেও জানার আগ্রহের শেষ নেই। নবাব সিরাজউদ্দৌলার প্রিয়তমা স্ত্রী ছিল লুৎফন্নেসা বেগম। তার সাথে বিবাহের প্রথম যাত্রা খুব বেশি সহজ ছিল না। যদিও নবাব সিরাজউদ্দৌলার আরও দুজন স্ত্রী ছিল। তার সবচাইতে প্রিয়তমা স্ত্রী লুৎফুন্নেসা এর সাথে বিবাহের প্রথম যাত্রা শুরু হয়।
নানীজান বেগম শরিফুন্নেছার সময়কাল থেকে অর্থাৎ নবাব সিরাজউদ্দৌলার স্ত্রীর নাম কি? লুৎফুন্নেছা বেগম নবাব সিরাজউদ্দৌলার নানীজানের পরিচারিকা হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। ঠিক তখন থেকেই নবাব সিরাজউদ্দৌলা তার সৌন্দর্যে অনেক বেশি মুগ্ধ হয়ে যান এবং তার নানীর কাছ থেকে ব্যক্তিগত হেফাজতে তাকে পাঠিয়ে দেন। এরপর থেকে নবাব সিরাজউদ্দৌলার সাথে লুৎফুন্নেসার সম্পর্ক ধীরে ধীরে গভীর হতে থাকে। সেই মুহূর্তে তারা একে অপরের বিবাহ সম্পন্ন করেন। যদিও সিরাজউদ্দৌলার পূর্ব থেকেই বেগম জায়েবুন্নেছা এবং উমদাতুন্নেছা বেগম নামের আরো দুজন স্ত্রী ছিল।

নবাব সিরাজউদ্দৌলার কয়জন স্ত্রী ছিল

নবাব সিরাজউদ্দৌলার স্ত্রীর সংখ্যা ঠিক কতজন ছিল তা আপনাদের মধ্যে অনেকেরই কৌতূহল বোধ হতে পারে। কিন্তু যদি বাংলাদেশের স্বাধীন নবাব সম্পর্কে সঠিক ধারণা থাকে তাহলে কিন্তু কোন সমস্যাই থাকে না। অনেকের মাঝে বিতর্কের সৃষ্টি হয় যা খুব সহজেই এড়িয়ে চলা যায়। অর্থাৎ নতুন প্রজন্মের জন্যেও বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলার ইতিহাস নিয়ে সঠিক ধারণা দিতে সুবিধা হতে পারে। তাহলে চলুন নবাব সিরাজউদ্দৌলার স্ত্রীদের সংখ্যা প্রায় কতজন হতে পারে সেই সম্পর্কে একটি ধারণা নিয়ে আসা যাক।
  • নবাব সিরাজউদ্দৌলার সবচেয়ে প্রিয়তমা স্ত্রী ছিল লুৎফুন্নেছা বেগম।
  • যেহেতু লুৎফুন্নেছা বেগম সিরাজউদ্দৌলার নানীজানের একজন পরিচারিকা হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন।
  • তাই সেই সময় লুৎফুন্নেছার সৌন্দর্যে নবাব সিরাজউদ্দৌলা খুব বেশি মুগ্ধ হয়ে যান।
  • যেহেতু একে অপরের প্রেমে পড়ে ধীরে ধীরে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়।
  • এর পরিক্রমায় পরবর্তীতে লুৎফুন্নেছা বেগম এবং নবাব সিরাজউদ্দৌলার বিবাহ সম্পন্ন হয়।
  • পূর্বে লুৎফুন্নেছা বেগমের নাম ছিল রাজকুনোয়ারি এবং তিনি তখন একজন হিন্দু নারী ছিলেন।
  • পরবর্তীতে বিবাহের পরে নবাব সিরাজউদ্দৌলা তার নতুন নাম রাখেন লুৎফুন্নেছা বেগম।
  • লুৎফুন্নেছা বেগমকে বিবাহের পূর্বে নবাব সিরাজের আরও দুজন স্ত্রী ছিল।
  • যাদের একজনের নাম ছিল বেগম জায়েবুন্নেছা এবং অপরজনের নাম ছিল উমদাতুন্নেছা বেগম।

নবাব সিরাজউদ্দৌলার স্ত্রী কয়টি

সিরাজউদ্দৌলার স্ত্রী কতজন ছিলেন তার সম্পর্কে জানা থাকলে খুব সহজেই আপনি যে কাউকে এই সম্পর্কে সঠিক ধারণা দিতে পারবেন। নবাব সিরাজউদ্দৌলার স্ত্রীর সংখ্যা ছিল মোট তিনজন যার মধ্যে সবচেয়ে প্রিয়তমা স্ত্রী ছিল লুৎফুন্নেছা বেগম। তৃতীয় স্ত্রী লুৎফুন্নেছা বেগমকে বিবাহ করার পূর্বে নবাব সিরাজের আরো দুজনের স্ত্রী ছিলেন যাদের নাম ছিল বেগম জায়েবুন্নেছা এবং উমদাতুন্নেছা বেগম। নবাব সিরাজউদ্দৌলা তার নানীজানের কাছে আসা যাওয়ার সময় এক পরিচারিকার প্রেমে পড়ে যান যার নাম ছিল রাজকুনোয়ারি।
নবাব-সিরাজউদ্দৌলার-স্ত্রীর-নাম-কি
যিনি একজন হিন্দু নারী ছিল এবং নবাব সিরাজের নানীজান বেগম শরিফুন্নেছার একজন পরিচারিকা হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন। ঠিক সেই সময় থেকে হঠাৎ করেই নবাব সিরাজউদ্দৌলা সেই রাজকুনোয়ারি এর সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে যান এবং নানী জানার কাছ থেকে তাকে হেফাজতে পাঠানোর চেষ্টা করেন। হেফাজতে পাঠানোর পর লুৎফুন্নেছার সাথে নবাব সিরাজের ঘনিষ্ঠ গভীর হতে শুরু করে। যার ফলশ্রুতিতে পরবর্তীতে নবাব সিরাজউদ্দৌলা এবং লুৎফুন্নেছা বেগমের বিবাহ হয়ে যায়। শুধু তাই নয় লুৎফুন্নেছা বেগম নবাব সিরাজউদ্দৌলার প্রধান সহধর্মিনী হিসেবে নির্বাচিত হন এবং তাদের প্রথম সন্তান উম্মে জোহরা বেগমের জন্ম হয়। 

নবাব সিরাজউদ্দৌলার দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম কি

নবাব সিরাজউদ্দৌলার দ্বিতীয় স্ত্রী এর নাম কি ছিল অথবা কে ছিলেন এই নিয়ে ইতিহাসবিদদের মধ্যে অনেক বিতর্ক রয়েছে। ইতিহাসে নবাব সিরাজউদ্দৌলার স্ত্রীর নাম কি? কারণ এখানে উল্লেখ রয়েছে যে তৃতীয় স্ত্রী বেগম লুৎফুন্নেসা ছিলেন আবার কোথাও নবাব সিরাজউদ্দৌলার দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে বেগম লুৎফুন্নেছাকে উল্লেখ করা হয়েছে। তাই যেহেতু এখানে অনেক মতভেদ রয়েছে তাই অনেকের ধারণা মতে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে বেগম লুৎফুন্নেছা নবাব সিরাজউদ্দৌলার স্ত্রী ছিলেন।

পলাশীর যুদ্ধে নবাব সিরাজউদ্দৌলার সাথে মীরজাফর বিশ্বাসঘাতকতা করেন। পরবর্তীতে নবাব সিরাজউদ্দৌলার সুন্দরী স্ত্রী লুৎফুন্নেছা বেগমের দিকেও বদনজর দিয়েছিলেন এবং বিবাহের আগ্রহ দেখিয়েছিলেন। কিন্তু বেগম লুৎফুন্নেছা এর প্রতি উত্তরে বলেছিলেন, যেই ব্যক্তি হাতির পিঠের সওয়ার হয়ে গেছে সে কখনো গাধার পিঠে সওয়ার করবে না। পরবর্তীতে বেগম লুৎফুন্নেছাকে সিরাজউদ্দৌলার কবরের পাশে সমাহিত করা হয়েছিল।

সিরাজউদ্দৌলার বাবার নাম কি

নবাব সিরাজউদ্দৌলার বাবার নাম কি এটা জানা কিন্তু খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যায় যখন আপনি বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সম্পর্কে ইতিহাস ঘাটতে যাবেন। কারণ সিরাজউদ্দৌলার পরিবারে নবাব সিরাজউদ্দৌলার স্ত্রীর নাম কি? এখানে যেই সকল ব্যক্তিগণ রয়েছেন তার মধ্যে তার বাবাও একজন ছিলেন যার নাম ছিল জয়েনউদ্দিন আহম্মেদ খান। নবাব সিরাজউদ্দৌলা আলীবর্দী খানের নাতি হিসেবে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। নিম্নরূপে চলুন বিস্তারিত দেখি।
  • আলীবর্দী খানের কোন পুত্র সন্তান না থাকায় তিনি তার তিন কন্যাকে তার নিজের বড় ভাইয়ের তিন পুত্রের সাথে বিবাহ দেন।
  • এরই মধ্যে জয়েন উদ্দিন আহম্মেদ এর সাথে ছোট মেয়ে আমেনা বেগমের বিবাহ সম্পন্ন করেন।
  • যার মধ্যে আমেনা বেগমের দুই পুত্র এবং এক কন্যা হয়।
  • সেই দুই পুত্রের মধ্যে নবাব সিরাজউদ্দৌলা একজন যিনি প্রথম ছেলে ছিলেন এবং আলীবর্দী খার শাসনভার এর দায়িত্ব পালন করেন।
  • পরবর্তীতে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব হিসেবে নবাব সিরাজউদ্দৌলা পলাশীর প্রান্তরে যুদ্ধ করে হেরে যান।
  • পলাশীর প্রান্তরে নবাব সিরাজউদ্দৌলা এর সাথে মীরজাফর বিশ্বাসঘাতকতা করেন যার কারণে বাংলার শেষ স্বাধীন নবাবের পতন এখানেই ঘটে।
  • রবার্ট ক্লাইভের নেতৃত্বে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলার শাসনভার পরবর্তীতে গ্রহণ করেন।

সিরাজউদ্দৌলার মায়ের নাম কি

সিরাজউদ্দৌলার মায়ের নাম কি ছিল? আমেনা বেগম যিনি আলীবর্দী খাঁর তৃতীয় কন্যা ছিলেন। নবাব সিরাজউদ্দৌলার আরও দুইজন খালা ছিলেন যাদের মধ্যে একজন ছিলেন ঘসেটি বেগম এবং মেজ খালা ছিলেন শাহ বেগম। নবাব আলীবর্দী খার যেহেতু কোন পুত্র সন্তান ছিল না তিনি পরবর্তীতে তার তিন কন্যাকে তার বড় ভাই হাজী আহম্মেদের তিন পুত্র এর সাথে বিবাহ দেন। হাজী আহম্মেদ এর প্রথম পুত্র নোয়াজিশ মোহাম্মদের সাথে বড় মেয়ে ঘসেটি বেগমের বিয়ে হয়।
নবাব-সিরাজউদ্দৌলার-খালার-নাম-কি
সাইয়েদ আহম্মেদ এর সাথে আলীবর্দী খানের মেজো মেয়ে শাহ বেগমের বিবাহ দিয়েছিলেন এবং ছোট মেয়ে আমেনা বেগম এর বিবাহ জয়েনউদ্দিন আহম্মেদের সাথে দেন যিনি নবাব সিরাজউদ্দৌলার মাতা ছিলেন। আমেনা বেগমের দুই পুত্র এবং এক কন্যা সন্তান ছিল যার মধ্যে প্রথম পুত্র ছিলেন নবাব সিরাজউদ্দৌলা। কিন্তু নবাব সিরাজউদ্দৌলার স্ত্রীর নাম কি? যিনি বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব হিসেবে জীবনের একটা সময় দায়িত্ব পালন করে গিয়েছেন। ১৭৫৭ সালে পলাশীর প্রান্তরে নবাব সিরাজউদ্দৌলা মীরজাফরের চক্রান্তে ফেঁসে গিয়ে পরাজিত হয় যা বাংলার এক করুণ অধ্যায়।

নবাব সিরাজউদ্দৌলার খালার নাম কি

নবাব সিরাজউদ্দৌলার খালার নাম কি ছিল? অর্থাৎ ঘসেটি বেগম যিনি আলীবর্দী খাঁনের প্রথম কন্যা ছিলেন। যেহেতু নবাব সিরাজউদ্দৌলা এর নানা ছিলেন আলীবর্দী খাঁ এবং আলীবর্দী খাঁর কোন পুত্র সন্তান না থাকায় তিনি তার তিন কন্যা সন্তানকে বড় ভাই হাজী আহম্মেদের তিন পুত্রের সাথে বিবাহ দিয়েছিলেন। নবাব সিরাজউদ্দৌলা এর প্রথম খালা ঘষেটি বেগম পলাশীর প্রান্তরে মীরজাফরের সাথে হাত মিলিয়ে পরিকল্পিত চক্রান্ত করে যুদ্ধে হারিয়ে দিয়েছিলেন।

পরবর্তীতে যদিও ঘসেটি বেগমের জীবন খুব বেশি আনন্দে কাটেনি। কিন্তু বাংলার শেষ স্বাধীন নবাবের বিরুদ্ধে যেই ক্ষতি তিনি করেছিলেন তা কখনোই বাংলার মানুষ আর ফিরে পাবে না। নবাব সিরাজউদ্দৌলা এর জন্মের পর থেকেই আলীবর্দী খাঁ বাংলার শাসন বার নিয়ে এক ভবিষ্যৎ স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন। সিরাজউদ্দৌলার খালার চক্রান্তে শেষ স্বাধীন নবাবের জয় বাংলার মাটিতে হারিয়ে যায় এবং এক কাল অধ্যায়ের সৃষ্টি হয়।

নবাব সিরাজউদ্দৌলার নানার নাম কি

নবাব সিরাজউদ্দৌলার নানার নাম নবাব আলীবর্দী খাঁ যিনি নবাব সিরাজউদ্দৌলার পূর্বে নবাবের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তার হাত ধরে বাংলার ইতিহাসে উড়েছিল জয়ের পতাকা। কিন্তু তার কোন ছেলে না থাকায় তিনি সরাসরি তার কোন পুত্রকে নবাবি দিয়ে যেতে পারেন নি। তার যেহেতু তিন কন্যা সন্তান ছিল তাই সেই তিন কন্যা সন্তানের সাথে তার বড় ভাই এর তিন ছেলের বিবাহ দিয়েছিলেন। সেখানেই তার ছোট মেয়ের ঘরে জন্ম হয় নবাব সিরাজউদ্দৌলা। নবাব সিরাজউদ্দৌলার নানার নাম কি ছিল জেনে যেভাবে বাংলায় সিরাজকে নবাবি দিয়েছিলেন চলুন সেই বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।
  • যেহেতু সিরাজের বাবা ছিলেন জয়েনউদ্দিন আহম্মেদ খাঁন যিনি আলীবর্দী খাঁর ছোট মেয়ের জামাতা ছিল।
  • একটা সময়ে তিনি মোস্তফা খান এর নেতৃত্বে আফগান কিছু বিদ্রোহীদের হাতে নিহত হয়েছিলেন।
  • সিরাজউদ্দৌলার নানাজান আলীবর্দী খাঁ সিরাজকে উত্তরসূরি হিসেবে তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেন।
  • সেই হিসেবে আলীবর্দী খাঁ সিরাজকে তার পিতার পদে বিহারের নায়েব হিসেবে নিযুক্ত করেন।
  • আলীবর্দী খাঁ সব সময় সিরাজকে মুর্শিদাবাদে রাখতে চাইতেন।
  • এই সময় সিরাজউদ্দৌলার স্ত্রী লুৎফুন্নেছা বেগম তার প্রধান সহধর্মিনী নিযুক্ত হন।
  • সেই সাথে সিরাজের ঘরে আলো করে প্রথম সন্তান উম্মে জোহরা বেগমের জন্ম হয়।
  • নানা আলীবর্দি খাঁর মৃত্যুর পর মীরজাফরের নেতৃত্বে পলাশের প্রান্তরে সিরাজকে পরাজিত করে হত্যা করা হয়।
  • এভাবেই নবাব আলীবর্দী খাঁর সাথে নবাবের পরিসমাপ্তি ঘটে।

নবাব সিরাজউদ্দৌলার শ্বশুরের নাম কি

নবাব সিরাজউদ্দৌলার শ্বশুরের নাম কি বলতে পারবেন? হয়তো অনেকেই নবাব সিরাজউদ্দৌলার স্ত্রীর নাম কি তাও জানেন না। তবে সিরাজউদ্দৌলার শ্বশুর খুবই তীক্ষ্ণ বুদ্ধি সম্পন্ন একজন ব্যক্তি ছিলেন। যার নাম ছিল মির্জা ইরিচ খান। নবাব সিরাজউদ্দৌলার জম্ম হয় ১৭৩৩ সালে কিন্তু তার রাজত্বের পরিসমাপ্তি ঘটে ১৭৫৭ সালে যা বাংলার ইতিহাসে এক করুণ অধ্যায়ের সৃষ্টি করেছিল। নবাবের পরিবারের প্রতিটি ব্যক্তির সমাধিস্থল হিসেবে মুর্শিদাবাদের খোশবাগে রাখা হয়।
নবাব আলীবর্দী খাঁনের কবরের কাছে তাকে কবর দেওয়া হয়েছিল। নবাব সিরাজউদ্দৌলা এবং তার পরিবারকে যখন বন্দী করা হয় তখন লুৎফুন্নেসা বেগম এবং তার চার বছর বয়সের কন্যা সেখানে উপস্থিত ছিল। মীরজাফরের আদেশে তার পুত্র মিরনের তত্ত্বাবধানে মোহাম্মদী বেগ নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে। পরবর্তীতে সিরাজউদ্দৌলার মৃতদেহ হাতির পিঠে জড়িয়ে সারা শহর ঘোরানো হয়েছিল এবং তাকে মুর্শিদাবাদে কবর দেওয়া হয়।

শেষকথা

প্রিয় পাঠক, নবাব সিরাজউদ্দৌলা ছিলেন বাংলার এক শেষ স্বাধীন নবাব যার মাধ্যমে বাংলায় ফিরে এসেছিল এক নতুন আনন্দের নবসূচনা। অনেকের মনে নবাব সিরাজউদ্দৌলার স্ত্রীর নাম কি ছিল তা নিয়ে অনেক প্রশ্ন তৈরি হয়। বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সম্পর্কে যাদের জানার অতীব আগ্রহ তারা পোস্ট থেকে ভাল করে বিস্তারিত জেনে নিতে পারেন। এই বিষয়ে জেনে ভালো লেগে থাকলে বন্ধুদের বাংলার ইতিহাস সম্পর্কে জানাতে শেয়ার করতে পারেন। যদি কোন মূল্যবান মতামত থাকে তাহলে পোস্টের নিচে মন্তব্য করুন। ধন্যবাদ। 25275

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ট্রাসটেডএয়ার্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪