পাইথন প্রোগ্রামিং কি - পাইথন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ এর জনপ্রিয়তা
পাইথন কেন শিখব - কিভাবে পাইথনের বেসিক শিখবপাইথন প্রোগ্রামিং কি এটি আপনার কতটুকু জানা আছে। খুবই উচ্চতর প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ হওয়ায় পাইথন প্রোগ্রামিং এর জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। পাইথন প্রোগ্রামিং খুব সহজেই বুঝতে এবং লিখতে পারা যায়।
যেকোন ধরনের প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ এর থেকে পাইথন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ তুলনামূলকভাবে খুবই সহজ। এর সিনট্যাক্সগুলো হাই লেভেলের হওয়ায় ইউজারদের খুব সহজেই সার্ভিস দিতে পারে।
পেইজ সূচিপত্র
- পাইথন প্রোগ্রামিং কি
- পাইথন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ জনপ্রিয় কেন
- পাইথন প্রোগ্রামিং দিয়ে কি কি করা যায়
- পাইথন প্রোগ্রামিং এর বৈশিষ্ট্য
- পাইথন প্রোগ্রামিং কেন শিখা উচিত
- পাইথন প্রোগ্রামিং কোন কারণে শিখবেন
- পাইথন প্রোগ্রামিং শিখতে কত দিন সময় লাগে
- পাইথন প্রোগ্রামিং শিখে কি লাভ
- ক্যারিয়ারে পাইথন প্রোগ্রামিং এর ভূমিকা
- পরিশেষে
পাইথন প্রোগ্রামিং কি
পাইথন প্রোগ্রামিং কি বুঝতে হলে আপনাকে ল্যাঙ্গুয়েজ সম্পর্কে কিছুটা ধারণা নিতে হবে। কারণ এই পাইথন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ এতটাই শক্তিশালী যে খুব সুন্দরভাবে দ্রুত সময়ের মধ্যে এই অ্যাপ্লিকেশনকে তৈরি করা যায়। পাইথন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ এর মাধ্যমে ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন খুব সহজেই তৈরি করা যায়। এর মধ্যেই রয়েছে সেই প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ। যেকোন ডেভেলপার খুব সহজেই এই ল্যাঙ্গুয়েজ পড়ে ট্রান্সলেট করে নিতে পারে। বিভিন্ন ডাইনামিক সিস্টেম এবং অটোমেটিক মেমোরি ম্যানেজমেন্ট রয়েছে যেখানে খুব সহজেই এর সুবিধা পাওয়া যায়।
আরো পড়ুনঃ গুগল ক্রোমে ব্যবহৃত সকল শর্টকার্টগুলো কি
পাইথন একটি অবজেক্ট অরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ যার মাধ্যমে সফটওয়্যার তৈরি করা হয় এবং প্রোগ্রামিং বিভিন্ন কোড রান করার মাধ্যমে কম্পিউটার রিডেবল ফরমেট পরিবর্তন করে। শুধু তাই নয় পাইথন প্রোগ্রামিং এমন একটি শক্তিশালী একটি প্রোগ্রামিং ভাষা যা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের বৈজ্ঞানিক এবং গাণিতিক হিসাব নিকাশ পর্যন্ত করা যায়। এর গঠন খুবই স্বচ্ছ এবং কোড এর দৈর্ঘ্য খুবই ছোট হওয়ার ফলে ব্যবহার করার সময় আপনি খুবই কোড করতে খুবই মজা পাবেন।
পাইথন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ জনপ্রিয় কেন
পাইথন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ ওপেন সোর্স হওয়ার কারণে মুক্তভাবে এটিকে ব্যবহার করা হয়। যার ফলে এক প্ল্যাটফর্ম থেকে অন্য প্লাটফর্মে যখন নেওয়া হয় তখন কোন ধরনের পরিবর্তন করা ছাড়াই পাইথন প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজকে রান করা যায়। অধিকাংশ সময়ে প্লাটফর্ম উইন্ডোজ লিনাক্স এবং ম্যাকওএস এর ক্ষেত্রে অ্যাপ্লিকেশন এর মতোই রান করে থাকে। অথবা আপনি যদি অন্য যেকোন প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ এর সাথে এই পাইথন কোডকে সংযুক্ত করতে চান তাহলে সেটিও করতে পারবেন। তাহলে এই পাইথন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ এর জনপ্রিয়তা সম্পর্কে চলুন বিস্তারিত জেনে আসা যাক।
- পাইথনের কিছু নিজস্ব স্ট্যান্ডার্ড লাইব্রেরী বিদ্যমান রয়েছে যার ফলে এটি ব্যবহারে খুবই সহজতর হয়ে থাকে।
- এই লাইব্রেরীগুলো ব্যবহার করার সময় অ্যাপ্লিকেশনের সমস্ত কোড নতুন করে লেখার প্রয়োজন হয় না।
- ওয়েবের সার্ভারে যখন বিভিন্ন ডাটাবেজ সংযোগ করে রাখা হয় তখন কোডে লাইব্রেরী ব্যবহার করা হয়।
- অবজেক্ট অরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং ব্যবহার এর যেই নিজস্ব জ্ঞান রয়েছে তা জটিল সমস্যার সমাধান করে থাকে।
- খুব সহজেই এই পাইথন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ এর মাধ্যমে ডাটা এনালাইসিস করা যায়।
- প্রফেশনাল ভাবে কোন প্রোগ্রামার না হয়ে থাকা সত্ত্বেও যেকোন ধরনের ফিল্ডে পাইথন খুব কম সময়ে করা যায়।
- তাই ধীরে ধীরে পাইথন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ এর জনপ্রিয়তা মানুষজনের কাছে বেড়েই চলেছে যার ফলে এর জনপ্রিয়তা পূর্বের থেকেও অনেকগুণে বেড়েছে।
- টেকনোলজি প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাইথন ডেভেলপারদের চাহিদা দিন দিন শুধু বাড়ছে। কারণ একে আপনি সব জায়গায় খুব সহজে ব্যবহার করতে পারবেন।
- বিভিন্ন প্লাটফর্মে পাইথন প্রোগ্রামিং কি? এই পাইথন প্রোগ্রামিং কোড ব্যবহার করা যায় যার ফলে খুব বেশি মাথা ঘামাতে হয় না।
পাইথন প্রোগ্রামিং দিয়ে কি কি করা যায়
পাইথন প্রোগ্রামিং এর ব্যবহার আপনি কমবেশি সব জায়গাই দেখতে পাবেন। কিন্তু এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি এটিকে ব্যবহার করা হয় ডাটা অ্যানালাইসিস এবং ভিজুয়ালাইজেশন এর মধ্যে। কারণ ইন্টারনেট থেকে যখন আপনি ডাটা খুব সহজেই কালেকশন করে নিবেন তখন পাইথন খুব সহজেই ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়াও অটোমেশনের কাজে, অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট এবং টেস্টিং করতে পাইথন ব্যবহার করা হয়। গেম ডেভেলপমেন্ট করতে পাইথনের ব্যাপক ব্যবহার রয়েছে।
এছাড়াও মেশিন লার্নিং এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সহ বিভিন্ন ধরনের প্রোজেক্টে এই পাইথন প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ ব্যবহার করা হয়। শুধু তাই নয় পাইথনের যেহেতু বেশ কিছু লাইব্রেরী বিদ্যমান। তাই এটিকে পাইথন ওপেনসিভি, পাইটর্চ, অ্যাডোবি ফটোশপ এবং ইলাস্ট্রেটর এর বিভিন্ন কাজে এই পাইথন ব্যবহার করা হয়। এছাড়াও পাইথনের যেই জ্যাঙগো ফ্রেমওয়ার্ক রয়েছে তা কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, উইকি সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইট এবং নিউজ সাইট সহ বিভিন্ন সাইটে এই ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করা হয়।
পাইথন প্রোগ্রামিং এর বৈশিষ্ট্য
পাইথন প্রোগ্রামিং এর বৈশিষ্ট্যগুলো খুব সহজেই আপনি পাইথন শিখলে বুঝতে পারবেন। খুব সহজেই কোডের গঠন থেকে সমস্যার সমাধান করতে সাহায্য করে থাকে। প্রোগ্রামিং জগতে পাইথন দিয়ে যাত্রা শুরু হলেও খুব সহজেই পাইথন কোড রান করতে পারবেন। পাইথনের যেই সকল কিছু নিজস্ব স্ট্যান্ডার্ড লাইব্রেরী রয়েছে সেখানে এটি ব্যবহার করার মাধ্যমে এপ্লিকেশনের কোডগুলো নতুন করে লিখতে হয় না। পাইথনের যেই সকল নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে চলুন সেই সম্পর্কে বিস্তারিত দেখে নেওয়া যাক।
- বহুমুখী এবং ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর কাজে পাইথন ব্যবহার করা হয়।
- সার্ভার সাইড প্রোগ্রামিং প্ল্যাটফর্ম হওয়ায় পাইথন খুবই ভালো।
- পাইথন তুলনামূলকভাবে খুবই সহজ এবং এটিকে ভালোভাবে ব্যবহার করা যায়।
- কিন্তু পাইথন প্রোগ্রামিং কি? যা ডাটা বিশ্লেষণ কৃত্রিম বুদ্ধিমতা সহ অন্যান্য বৈজ্ঞানিক কম্পিউটিং এর কাজেও পাইথন ব্যবহার করা হয়।
- পাইথনের যেই সকল লাইব্রেরী এবং মডিউল রয়েছে তা খুব সহজেই ব্যবহার করা যায়।
- পাইথন শিখে অধিক পরিমাণে চাকরির সুযোগ এবং পাইথন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ এর জনপ্রিয়তার পাশাপাশি ক্যারিয়ারের সম্ভাবনা খুবই বেশি।
- ইনস্ট্রাগ্রাম, লিংকডইন এর মত যেই সকল প্লাটফর্ম রয়েছে সেইগুলো পাইথন দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
- যেখানে পাইথন কোড এর লাইব্রেরী এবং মডিউল ব্যবহার করা হয় সেখানে খুব সহজেই রক্ষণাবেক্ষণ সহজ হয়।
পাইথন প্রোগ্রামিং কেন শিখা উচিত
পাইথন প্রোগ্রামিং শিখার উদ্দেশ্য হলো এটি লিখা, বোঝা এবং শিখার ক্ষেত্রে খুবই সহজ। পাইথন ল্যাঙ্গুয়েজের যেই সহজ নিয়মগুলো রয়েছে সেইগুলোর মাধ্যমে এটি ডেভেলপ করতে খুবই কম সময় লাগে এবং কোড লেখার সময় খুব সহজেই ভুল হলে তা নির্ণয় করা যায়। এছাড়াও পাইথনের যেই বিশাল এক ধরনের লাইব্রেরী রয়েছে সেখানে দরকারি ফাংশনগুলোর মাধ্যমে বিশেষভাবে সাপোর্ট দিয়ে থাকে। যদি কখনো একবার কোড লেখা হয় তাহলে বিভিন্ন প্লাটফরমের সেই কোড খুব সহজেই চালানো যায়। ভেরিয়েবল ডাটা টাইপের বিষয়গুলো নিয়ে খুব বেশি মাথা ঘামানোর প্রয়োজন হয় না।
পাইথন একটি ওপেন সোর্স ল্যাঙ্গুয়েজ হওয়ার ফলে যেকোন ধরনের অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট এর মাধ্যমে এটিকে ব্যবহার করা যায়। পাইথনের কোড এক্সিকিউশন করতে খুবই কম সময় লাগে। কারণ এর মেমোরি ব্যবহারের পরিমাণ অন্যান্য ল্যাঙ্গুয়েজ এর তুলনায় অনেক বেশি হয়। তাই যেকোন সময় প্রোজেক্ট বানানোর ক্ষেত্রে কম মেমোরি নষ্ট হয়। প্রোফেশনাল ভাবে যে কেউ একজন প্রোগ্রামার না হয়ে পাইথন ব্যবহার করে খুব সহজেই ডাটা এনালাইসিস করতে পারে। তাই অন্যান্য প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ শিখার চেয়ে পাইথন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
পাইথন প্রোগ্রামিং কোন কারণে শিখবেন
পাইথন প্রোগ্রামিং শিখার কারণে সিনট্যাক্সগুলো খুব সহজেই পড়া যায়। এর যেই অবজেক্ট ওরিয়েন্টেড প্রোগ্রামিং রয়েছে সেইগুলো পুনরায় কোড লিখে ব্যবহার করা যায়। কম্পাইলেশন বিভিন্ন স্টেপ এর প্রয়োজন ছাড়াই এই কোড ব্যবহার করা যায়। পাইথন এমন একটি বড় স্ট্যান্ডার্ড লাইব্রেরী যা যেকোন বিল্ট ইন মডিউল এবং ফাংশনগুলোকে খুবই সহজ করে তোলে। ডেভলপারদের কাছে এটি খুবই বৃহৎ একটি ল্যাঙ্গুয়েজ তা দিয়ে থার্ড পার্টির যেকোন লাইব্রেরী এবং ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করা যায়।
পাইথনের অন্যান্য যেই সকল প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ রয়েছে তা খুব সহজেই ইন্টিগ্রেশন করা যায় এবং কোডের পারফরম্যান্স গুলোকে খুব সহজেই হ্যান্ডলিং করা যায়। ডকুমেন্টেশন এবং তৃতীয় পক্ষের লাইব্রেরীগুলো ফ্রেমওয়ার্ক এর মাধ্যমে বিশাল আকারে প্রসারিত করা যায়। বর্তমানে একজন প্রোগ্রামার খুব সহজেই আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স থার্ড পার্টির জন্যে অটোমেশন এর কোড লিখে কৃত্রিম করার মাধ্যমে পাইথন ব্যবহার করতে পারে। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ডেভেলপারদের জন্যে পাইথনের অসংখ্য লাইব্রেরী ব্যবহার করে কাজের সুযোগ করে দিয়েছে।
পাইথন প্রোগ্রামিং শিখতে কত দিন সময় লাগে
পাইথন প্রোগ্রামিং শিখতে সময় ঠিক কতদিন লাগতে পারে তা যিনি কাজ শিখছেন তার উপরে নির্ভর করে। কিন্তু পাইথন প্রোগ্রামিং কি? এটি শিখার জন্য অবশ্যই আপনাকে সঠিক গাইডলাইন নির্বাচন করতে হবে। যেখান থেকে আপনি পাইথন প্রোগ্রামিং শিখতে পারবেন। জটিল সমীকরণ সমাধান, ডাটা এনালাইসিস এবং ডাটা ম্যানুপুলেশন এর কাজে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পাইথনের ব্যবহার করা হয়। তাই একজন নতুন লার্নার হিসেবে যখন আপনি পাইথন শিখতে যাবেন।
তখন অবশ্যই এটি সহজ হওয়ার কারণে অন্যান্য প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ শিখতে যেই সময় লাগে তার থেকে অনেকটুকু সময় কম লাগবে। যদিও এটি পুরোপুরি নির্ভর করে আপনার উপর। ঠিক আপনি এই পাইথন ল্যাঙ্গুয়েজকে নিজের আয়ত্তে দক্ষতা অর্জন করার জন্যে যতটুকু সময়ের প্রয়োজন হয়। অসংখ্য চাকরির সুযোগ রয়েছে পাইথন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ এর ক্যারিয়ার এবং চাহিদা দুটিই প্রতিনিয়ত বাড়ছে। যার ফলে বিশ্বের বড় বড় মাল্টি প্ল্যাটফর্মগুলোতে পাইথন ব্যবহার করার ফলে ক্যারিয়ার গড়ার সুযোগ শীর্ষে।
পাইথন প্রোগ্রামিং শিখে কি লাভ
পাইথন প্রোগ্রামিং শিখার সাফল্য পৃথিবীব্যাপী বিস্তার লাভ করেছে। এটি এমন একটি আধুনিক প্রযুক্তি যার মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে বিস্ময়কর তোলপাড় শুরু হয়েছে। বিশ্বের আধুনিক প্রযুক্তির চ্যাট জিপিটি তৈরির পিছনে মূল ভাষা হিসেবে পাইথন কাজ করেছে। কারণ এর মধ্যে রয়েছে অসংখ্য লাইব্রেরী যার মধ্যে খুব সহজেই মেশিন লার্নিং এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ডেভেলপারদের জন্য খুব সহজেই কাজের বিশাল সুযোগ তৈরি করতে পারে। নিম্নরূপে চলুন বিস্তারিত দেখি।
- পাইথনের যেই লাইব্রেরী রয়েছে তা বৈজ্ঞানিক বিভিন্ন কম্পিউটিং এর কাজে ব্যবহার করা যায়।
- এছাড়াও বহুমাত্রিক ম্যাথমেটিক্যাল ফাংশনগুলোর জন্যে পাইথনের ব্যবহার রয়েছে।
- অ্যালগরিদম এর বিভিন্ন ফাংশন এর ক্ষেত্রে পাইথন খুবই দরকারি একটি ল্যাংগুয়েজ।
- ডাটা মেনিপুলেশন এর মাধ্যমে বিশ্লেষণ করে খুব সহজেই লাইব্রেরীর একটি শক্তিশালী ডাটা কাঠামো তৈরি করা যায়।
- খুবই উচ্চ স্তরের একটি ডাটাফ্রেম থাকার কারণে পাইথন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ এর জনপ্রিয়তা বেশি। এটি খুবই নিরাপদ এবং রক্ষণাবেক্ষণ করতে সহজ হয়।
- কোড লিখার সময় যদি কোন কারণে ভুল হয়ে যায় তাহলে তা নির্ণয় করা খুবই সহজ হয়।
- ভেরিয়েবল নিয়ে খুব বেশি একটা মাথা ঘামানোর প্রয়োজন হয় না।
- ওপেন সোর্স ল্যাঙ্গুয়েজ হওয়ার কারণে যেকোন অ্যাপ্লিকেশনে যেকোন ভাবে ব্যবহার করা যায়।
ক্যারিয়ারে পাইথন প্রোগ্রামিং এর ভূমিকা
ক্যারিয়ারে পাইথন প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে যদি আপনার কোডিং পছন্দ হয় তাহলে এটিকে নির্বাচন করতে পারেন। কারণ পাইথন এখন ধীরে ধীরে সব ধরনের ডেভেলপমেন্টে ব্যবহৃত হচ্ছে। শুধু তাই নয় এই পাইথন প্রোগ্রামিং কি? যার মাধ্যমে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করা যায়। প্রোফেশনাল ভাবে যদি আপনি প্রোগ্রামার নাও হয়ে থাকেন তাহলে ফিল্ডে খুব সহজেই পাইথন ব্যবহার করে ডাটা অ্যানালাইসিস করতে পারবেন।
আরো পড়ুনঃ ইনফিনিক্স নোট 30 প্রো প্রাইস ইন বাংলাদেশ
আপনার ক্যারিয়ারকে খুব সহজেই এমনভাবে সাজাতে পারবেন যেন খুব বেশি বেগ পেতে হবে না। কিন্তু প্রথম অবস্থায় আপনি যখন বেসিক কিছু পাইথন জেনে নিবেন। এরপর ধীরে ধীরে আপনাকে বেসিক জেনে নেওয়ার পর এডভান্স লেভেলের পাইথন ল্যাঙ্গুয়েজগুলো জানতে হবে। এমনকি পাইথন ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনি অনেক নতুন জিনিস আবিষ্কারও করতে পারেন। যার মাধ্যমে একজন পাইথন ডেভেলপার প্রতি বছরে বিশ থেকে ত্রিশ লাখ টাকার বেশি ইনকাম করতে পারে।
পরিশেষে
প্রিয় পাঠক, নতুনদের অবশ্যই যেকোন কোডিং জগতে প্রবেশ করার পূর্বে পাইথন প্রোগ্রামিং কি সেই বিষয়ে সঠিক ধারণা রাখতে হবে। কম সময়ে জ্যাঙগো ফ্রেমওয়ার্ক ব্যবহার করার মাধ্যমে পাইথন খুব সহজেই কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, সোশ্যাল মিডিয়াসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ব্যবহার করতে পারবেন। যদি পোস্টের বিস্তারিত জেনে ভালো লেগে থাকে তাহলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে পারেন। সেই সাথে আপনার মূল্যবান মতামত দিতে পোস্টের নিচে মন্তব্য করুন।
আরো সুন্দর সুন্দর তথ্য পেতে রেগুলার আমাদের ওয়েবসাইটটি ভিজিট করুন এবং আমাদের পাশে থাকুন । আপনাদের উৎসাহ আমাদের আরো তথ্য সংগ্রহ করে আপনাদের সামনে তুলে ধরার যোগাবে । আপনাদের জন্য রইল শুভকামনা। ধন্যবাদ। 25275
ট্রাসটেডএয়ার্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url