মোবাইল ব্যাংকিং সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন
আপনি কি মোবাইল ব্যাংকিং সমূহ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন । আপনি যদি মোবাইল ব্যাংকিং সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য ভীষণ ফলপ্রসূ হবে । চলুন তাহলে মোবাইল ব্যাংকিং সমূহ সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক জানা অজানা কিছু তথ্য ।
পেইজ সূচিপত্র ।মোবাইল ব্যাংকিং সেবা সমূহ
- মোবাইল ব্যাংকিং সমূহ সম্পর্কে কিছু কথা ।
- মোবাইল ব্যাংকিং কি ? মোবাইল ব্যাংকিং সমূহ ।
- মোবাইলের মাধ্যমে মোবাইল ব্যাংকিং এর উপায় ।মোবাইল ব্যাংকিং সমূহ ।
- দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় ব্যাংকিং সেবা ।মোবাইল ব্যাংকিং সমূহ ।
- মোবাইলে বেতন-ভাতা বিতরণ ।মোবাইল ব্যাংকিং সমূহ ।
- মোবাইল ব্যাংকিং এর সুবিধা সমূহ ।মোবাইল ব্যাংকিং সমূহ ।
- মোবাইল ব্যাংকিং সমূহ কতটুকু নিরাপদ ।মোবাইল ব্যাংকিং সমূহ ।
- মোবাইল ব্যাংকিং সেবা সমূহ চালু করতে খরচ ।মোবাইল ব্যাংকিং সমূহ ।
- কোন ব্যাংকের কোন মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ।মোবাইল ব্যাংকিং সমূহ ।
- শেষ বক্তব্য ।মোবাইল ব্যাংকিং সমূহ .
মোবাইল ব্যাংকিং সমূহ সম্পর্কে কিছু কথা
মোবাইল ব্যাংকিং কি ? মোবাইল ব্যাংকিং সমূহ
মোবাইল ব্যাংকিং হচ্ছে শাখা বিহীন এমন একটি ব্যাংকিং ব্যবস্থা , যার মাধ্যমে স্বল্প খরচে সহজে ও দ্রুত আর্থিক সেবা ব্যাংকিং সুবিধা বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছে যাবে । ২০০৯ সালের ৯ টি বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকে মোবাইল ফোন নির্ভর ব্যাংকিং সে বাঁচানোর অনুমতি দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক । পরবর্তীতে ব্র্যাক ব্যাংক সহ আরো কয়েকটি ব্যাংকও এই তালিকায় যুক্ত হয় ।
ইতোমধ্যে ব্যাংকগুলো সীমিত আকারে মোবাইল ব্যাংকিং চালু করেছে । তবে ডাচ-বাংলা ব্যাংকি সর্বপ্রথম পূর্ণাঙ্গ মোবাইল ব্যাংকিং চালু করে । ৩১ শে মার্চ সেবাটির উদ্বোধন করেন তৎকালীন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ডক্টর আতিউর রহমান । ইউটিলিটি বিল পরিশোধ এবং কেনাকাটা যদি মোবাইল ফোন থেকে করা যায় , তবে কিছুটা হলেও সময় বাঁচবে । আর যেসব প্রত্যন্ত এলাকায় ব্যাংকিং সেবা নেই , সেসব এলাকার মানুষও তখন মোবাইলের মাধ্যমে সহজে ব্যাংকিং সেবার আওতায় আসতে পারবে ।
মোবাইলের মাধ্যমে মোবাইল ব্যাংকিং এর উপায় ।মোবাইল ব্যাংকিং সমূহ
মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ব্যাংকিং সেবা শুরু করতে হলে প্রথমে এ সেবার অধীনে নিবন্ধন করতে হবে । যেকোনো অপারেটরের মোবাইল সংযোগ ব্যবহারকারী এ ব্যাংকিং সেবার জন্য নিবন্ধন করতে পারবে । একেক ব্যাংকে একেক নিয়মে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু করা হয় । আপনাদের বুঝার সুবিধার্থে একটি ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং এর উপায় উদাহরণ হিসেবে দেয়া হলো ।
আপনি যদি ডাচ-বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে মোবাইল ব্যাংকিং চালু করতে চান তাহলে অনুমোদিত স্থান থেকে গ্রাহকরা নিবন্ধন ফরম সংগ্রহ ও জমা দিতে পারবেন । ফর্মের সঙ্গে গ্রাহকের ছবি এবং জাতীয় পরিচয় পত্র বা ছবি যুক্ত অন্য কোন পরিচয় পত্র সরবরাহ করতে হবে । গ্রাহকের মোবাইল নাম্বারের শেষে একটি 'চেক ডিজিট' যুক্ত করে ওই গ্রাহকের একাউন্ট নম্বর সরবরাহ করা হবে । উদাহরণস্বরূপ কোন গ্রাহকের মোবাইল নাম্বার যদি ১২৩৪৫৬ হয় এবং তার একটি গোপন চেক ডিজিট ৯ হয় , তাহলে ওয়ে গ্রাহকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট নম্বর হবে১২৩৪৫৬৯ । টাকা জমা ও তোলা সবাই এই হিসাব নম্বরটি প্রয়োজন হবে ।
আরো পড়ুনঃ ইনফিনিক্স নোট 30 প্রো প্রাইস ইন বাংলাদেশ
হিসাব নম্বর তৈরির পর গ্রাহকের মোবাইল ফোনে ডাচ বাংলা ব্যাংকের সিস্টেম থেকে ইন্টারেক্টিভ ভয়েস রেসপন্স বা আই ভি আর কল যাবে । কল করে গ্রাহকারীকে একটি ডিজিটের গোপন সংখ্যা প্রবেশ করতে বলা হবে । গ্রাহক যে ডিজিটগুলো প্রবেশ করাবে সেটিই হবে তার ব্যাংক হিসাবের গোপন পিন নাম্বার । অটোমেটেড টেলার মেশিন (ATM) বা এটিএম এবং এজেন্ট এর কাছ থেকে টাকা তোলার জন্য এ পিন নম্বরটি প্রয়োজন হয় । ব্যাংক একাউন্ট খোলার সঙ্গে সঙ্গে টাকা জমা দেয়া যাবে । তবে হিসাব খোলার পুরো প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হতে এক থেকে দুই দিন পর্যন্ত সময় লাগবে । পুরো প্রক্রিয়া শেষ হলে গ্রাহকের মোবাইল ফোন নম্বরে একটি এসএমএস পাঠিয়ে বিস্তারিত জানিয়ে দেওয়া হবে ।
দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় ব্যাংকিং সেবা ।মোবাইল ব্যাংকিং সমূহ
দেশের প্রত্যন্ত এলাকায় বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর শাখা এখনো বিস্তৃত হয়নি । গ্রামের মানুষজন তাই আধুনিক ব্যাংকিং সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে । মোবাইল ব্যাংকিং সেবার আওতায় ব্যাংকের শাখা ছাড়া ও টাকা উত্তোলন ও জমা দেয়া যাবে । এতে প্রত্যন্ত এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত হবে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা । উন্নয়নশীল দেশগুলোতে ব্যাংকিং সবচেয়ে বেশি প্রচলিত আমাদের দেশেও এটি জনপ্রিয়তা পাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন , কোন ধরনের ঝুঁকি ছাড়াই গোপন পিনকোড ব্যবহার করে টাকা লেনদেন করা যাবে । এ ছাড়া গ্রাহকরা মোবাইল একাউন্টে টাকা জমা দেওয়া ও উত্তোলন করতে পারবেন । মোবাইল ব্যাংকিং প্রচলিত শাখা ব্যাংকিং এর একটি বিকল্প ব্যবস্থা , যার মাধ্যমে কম খরচে দ্রুত আর্থিক সেবা পৌঁছে যাবে ব্যাংকিং সুবিধা বঞ্চিত মানুষের দোরগোড়ায় । এটি একটি প্রকৃত অনলাইন ব্যাংকিং সেবা । এর জনপ্রিয়তায় অন্য সবার চেয়ে অনেক দ্রুত বাড়বে ।
মোবাইলে বেতন-ভাতা বিতরণ ।মোবাইল ব্যাংকিং সমূহ
মোবাইল ব্যাংকিং এর সুবিধা সমূহ ।মোবাইল ব্যাংকিং সমূহ
মোবাইল ব্যাংকিং সমূহ কতটুকু নিরাপদ ।মোবাইল ব্যাংকিং সমূহ
মোবাইল ব্যাংকিং সেবা সমূহ চালু করতে খরচ ।মোবাইল ব্যাংকিং সমূহ
কোন ব্যাংকের কোন মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ।মোবাইল ব্যাংকিং সমূহ
ব্যাংকের নাম-----------মোবাইল ব্যাংকিং সেবা
- রুপালী ব্যাংক--------------শিওর ক্যাশ
- ডাচ বাংলা ব্যাংক-----------রকেট
- ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড-------আস্থা/বিকাশ
- জনতা ব্যাংক----------------রেডি ক্যাশ
- সোনালী ব্যাংক লিমিটেড-------সোনালী সেবা
- প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড-------সহজ নগদ
- ব্যাংক এশিয়া--------এজেন্ট ব্যাংকিং
- ইউসিবি ব্যাংক--------ইউ ক্যাশ (উপায়)
- ট্রাস্ট ব্যাংক--------ট্যাপ
- ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড-------এম ক্যাশ
- মার্কেন্টাইল ব্যাংক--------মাই ক্যাশ
- এবি ব্যাংক--------আই ব্যাংকিং
- সাউথইস্ট ব্যাংক--------টেলি ক্যাশ
- পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক--------পল্লী লেনদেন
- ওয়ান ব্যাংক--------ওকে ওয়ালেট
- ডাক বিভাগ--------নগদ
- প্রিমিয়ার ব্যাংক-------পি মানি
- মেঘনা ব্যাংক লিমিটেড--------ট্যাপ এন পে
- আল আরাফাহ ইসলামি ব্যাংক--------ইসলামিক ওয়ালেট
- সিটি ব্যাংক লিমিটেড--------সিটি টার্চ
- আই এফ আইসি ব্যাংক-------আমার অ্যাকাউন্ট
- যমুনা ব্যাংক-------জাস্ট পে
- ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড-------স্কাই ব্যাংকিং
- ঢাকা ব্যাংক লিমিটেড---------ডি বি এল গো
ট্রাসটেডএয়ার্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url