আপনি কি ভিটামিন সি এর উৎস ও কাজ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন । তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আজকের আর্টিকেলে আমি আপনাদের সাথে ভিটামিন সি এর উৎস ও কাজ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব । চলুন তাহলে ভিটামিন সি এর উৎস ও কাজ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক ।
আজকে আমরা ভিটামিন সি এর কাজগুলো কি কি , ভিটামিন সি এর সবচেয়ে ভালো উৎস কি , ক্যান্সার প্রতিরোধে ভিটামিন সি ভিটামিন, ভিটামিন সি এর অভাবে কি হয়, ভিটামিন সি কেন খাবেন, ভিটামিন সি জাতীয় ফলের নাম- এসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব । উক্ত বিষয়গুলো ব্যাপারে ধারণা থাকলে তা আপনার জন্য অনেক ফলপ্রসু হবে । চলুন তাহলে বিস্তারিত আলোচনায় যাওয়া যাক ।
পোস্ট সূচিপত্র ঃভিটামিন সি এর উৎস ও কাজ সম্পর্কে জেনে নিন
ভিটামিন সি-এর সবচেয়ে ভালো উৎস কি ।ভিটামিন সি এর উৎস ও কাজ ।
কঠিন তাপমাত্রায় ভিটামিন সি এর একটি ডোজ আপনাকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করবে এবং ইমিউনিটি সিস্টেম গঠনে সাহায্য করবে । ভিটামিন সি এর মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় একই সঙ্গে খোলা জনের মাত্রা বাড়িয়ে ত্বক করে উজ্জ্বলতর ।
কমলালেবু ঃআমরা সবাই জানি কমলা ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল । আমাদের যতটুকু ভিটামিন সি প্রয়োজন তার প্রায় সবটাই একটি কমলা থেকে সরবরাহ হতে পারে । কমলা তে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ফ্রী রেডিক্যাল ড্যামেজ করে ফলে ত্বকে সজীবতা বলে থাকে । এতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিভিন্ন ইনফেকশন প্রতিরোধে সহায় হতে পারে । কমলাতে উপস্থিত বিটা ক্যারোটিন সেল ড্যামেজ প্রতিরোধে সহায়তা করে । এতে উপস্থিত রয়েছে ক্যালসিয়াম , যা দাঁত ও হাড়ের গঠনে সাহায্য করে এবং দাঁত ও হাড়কে শক্ত ও মজবুত করে ।
মরিচঃসর্বোচ্চ ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবারের তালিকার প্রথমে রয়েছে আমাদের অতি চেনা কাঁচা মরিচ । আমরা স্যুপ , সালাদ , ভর্তার সাথে বা এমনিতে কাঁচা মরিচ খেয়ে থাকি। প্রতি ১০০ গ্রাম কাঁচা মরিচে রয়েছে ২৪২.৫ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি । এর পরে রয়েছে লাল মরিচের স্থান । প্রতি ১০০ গ্রাম লাল মরিতে রয়েছে ১৪৪ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি ।
স্ট্রবেরিঃস্ট্রবেরি সারা বিশ্বের অতি পরিচিত ও জনপ্রিয় একটি ফল । অত্যন্ত সুস্বাদু , মজাদার ও রসালো এই ফলটি স্বাস্থ্যের অনেক উপকার করে । স্ট্রবেরিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন , অ্যান্টি -অক্সিডেন্ট ও পুষ্টি রয়েছে । যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী । চোখ ভালো রাখতে ও ক্যান্সার প্রতিরোধে স্ট্রবেরির গুনাগুন অনন্য ।
পেঁপে ঃপেঁপে ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি, পটাশিয়াম এবং ফাইবার সমৃদ্ধ ফল । এটা বর্ষা ঋতুতে খুব সহজেই পাওয়া যায় । আপনার ভিটামিন সি এর ঘাটতি হলে প্রতিদিন একটু করে পাকা অথবা কাঁচা পেঁপে খান আপনার প্রতিদিনের ভিটামিন সি এর ঘাটতি কমে যাবে ।
ক্যান্সার প্রতিরোধে ভিটামিন সি ।ভিটামিন সি এর উৎস ও কাজ ।
ভিটামিন সি পানিতে দ্রবণীয় একটি ভিটামিন । শরীর ভিটামিন সি জমিয়ে রাখতে পারেনা । অতিরিক্ত ভিটামিন সি গ্রহণ করলে তা প্রসাবের সাথে দেহ থেকে বেরিয়ে যায় । প্রতিদিন আমাদের এই ভিটামিন খাওয়া উচিত । টক জাতীয় ফলে ভিটামিন সি প্রচুর পরিমাণে থাকে । আমলকি , আমড়া , পেয়ারা , জলপাই , লেবু , বাতাবি লেবু , কমলা লেবু , টমেটো , আঙ্গুর ইত্যাদি ফলে অনেক ভিটামিন সি থাকে ।
গবেষণায় দেখা গেছে ভিটামিন সি ক্যান্সার প্রতিরোধে বড় সহায়ক হিসেবে কাজ করে । সুতরাং সবার উচিত প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি জাতীয় খাবার গ্রহণ করা । ভিটামিন সি আমাদের দেহে অনেক উপকারিতা বয়ে আনে ভিটামিন সি আমাদের শরীরের বৃদ্ধি এবং ক্ষয় পূরণের জন্য খুব প্রয়োজনীয় । তাই নিয়মিত ভিটামিন সি গ্রহণ করা আমাদের জন্য একান্ত বাঞ্ছনীয় ।
আমাদের দেহের কোন জায়গা কেটে গেলে প্রচুর ভিটামিন সি জাতীয় খাবার গ্রহণ করা উচিত । কারণ এই ভিটামিন- কোলাজেন তৈরি করে এবং ক্ষতস্থান দ্রুত মেরামত করে । দাঁত ও অস্থির গঠনেও এর ভূমিকা রয়েছে । । ক্যান্সার প্রতিরোধ ছাড়াও বিভিন্ন অসুখ-বিসুখের হাত থেকে রক্ষা করতে ভিটামিন সি এর জুড়ি নেই ।
যেমন-ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে , সুন্দর ও সুস্থ মাড়ির জন্য ভিটামিন সি প্রয়োজন , রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণ করে , পোড়া এবং ক্ষত দ্রুত আরোগ্যের জন্য ডাক্তাররা ভিটামিন সি ব্যবহার করেন । এছাড়া অ্যাজমা , একজিমা ইত্যাদি অসুখেও ভিটামিন সি এর উপকার করে , অবসাদ রোগীদের জন্য যেসব ওষুধ ব্যবহার করে সেগুলোর একটি পরিচিত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় মুখ শুকিয়ে যায় । এ অবস্থায় ভিটামিন সি ব্যবহার করা হয় । দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে এর ব্যবহার আছে ।
অস্টিও আর্থ্রাইটিস রোগীদের জন্য ভিটামিন সি ভাল কাজ করে । ক্যান্সার প্রতিরোধে ভিটামিন সি এর বিশেষ ভূমিকা রয়েছে । এটি মূলত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট । বিজ্ঞানী পাওলিং বলেছেন , প্রতিদিন আমাদের ভিটামিন সি খাওয়া উচিত । আমাদের দেশে অনেকে টক জাতীয় ফল খেতে চায় না এটি একেবারেই ঠিক নয় । অনেকে কেটে গেলে ভিটামিন সি খেতে চায় না এই ভয়ে যে ক্ষতস্থান পেকে যাবে । এটা যে কত বড় ভুল তা বলার অপেক্ষা রাখে না । বরং কেটে গেলে বা পুড়ে গেলে আরো বেশি ভিটামিন সি খাওয়া উচিত । তাহলে দ্রুত আরোগ্য সম্ভব ।
কার্সিনোজেন (যেসব পদার্থ ক্যান্সার তৈরি করে) এবং নাইট্রেট ইত্যাদি থেকে শরীরকে রক্ষা করার মধ্য দিয়ে ভিটামিন সি ক্যান্সার থেকে আমাদের মুক্তি দিতে পারে । অনেক বিজ্ঞানী একমত যে , ভিটামিন সি ক্যান্সার থেকে আমাদের মুক্তি দিতে পারে । তাই ভিটামিন সি কে ক্যান্সার প্রতিরোধক বলা যায় । কিন্তু ক্যান্সার হয়ে গেলে ভিটামিন সি খেয়ে খুব একটা লাভ নেই । ক্যান্সারের মেটাস্টেসিস অর্থাৎ এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় ছড়িয়ে পড়াকে ভিটামিন সি প্রতিরোধ করতে পারে । এর ফলে সবারই ভিটামিন সি প্রচুর খাওয়া উচিত । তাহলে ভবিষ্যতে ক্যান্সারের অনেক কমে যাবে ।
ভিটামিন সি এর অভাবে কি হয় ।ভিটামিন সি এর উৎস ও কাজ সম্পর্কে জেনে নিন
ভিটামিন সি এর অভাবে আমাদের শরীরে বিভিন্ন রকম স্বাস্থ্য জটিলতা দেখা দেয়। যা পরবর্তীতে মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে । তাই আমাদের প্রতিদিন ভিটামিন সি খাওয়া । আপনার স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য আমরা আজকে আলোচনা করবো ভিটামিন সি এর অভাবে কি হয়। চলুন জেনে নেই ভিটামিন সি এর অভাবে কি হয়।
ভিটামিন সি এর অভাবে স্কার্ভি রোগ হয় ।
ভিটামিন সি এর অভাবে দাঁতের গোড়া দিয়ে রক্ত পড়ে ও মারি ফুলে ওঠে ।
গায়ে কালশিরা পড়ে , গোড়ালি ও কব্জি ফুলে উঠে এই ভিটামিন সি এর অভাবে ।
ত্বক শক্ত ও খসখসে হয় , ত্বক মসৃণতা ও উজ্জ্বলতা হারায় ভিটামিন সি এর অভাব দেখা দিলে ।
ভিটামিন সি এর অভাবে আপনার শরীরে অ্যানিমিয়া ও দুর্বলতা দেখা দেয় ।
আমাদের দেহে ক্ষত সারতে এবং ভাঙ্গা হাড় জোড়া লাগাতে বিলম্ব হয় ।
কোন জায়গায় কেটে গেলে ভিটামিন সি এর অভাবে রক্তপাত বন্ধ হয় না সহজে ।
রক্তে অনুচক্রিকা ও লোহিত কণিকার সংখ্যা হ্রাস পায় শরীরে ভিটামিন সি এর অভাব দেখা দিলে ।
শিশুদের শরীরে ভিটামিন সি এর অভাব দেখা দিলে শিশুদের দেহ বৃদ্ধি ব্যাহত হয় ।
ভিটামিন সি এর অভাবে ঘন ঘন বিভিন্ন ভাইরাল ইনফেকশন , সর্দি কাশি , ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রভৃতি দেখা দিতে পারে ।
ভিটামিন সি কেন খাবেন।ভিটামিন সি এর উৎস ও কাজ সম্পর্কে জেনে নিন
সর্দি হলে ভিটামিন সি খেতে অনেকেই উপদেশ দেন । ভিটামিন সি সর্দি সারাই না , তবে ভিটামিন সি সাধারণভাবে আমাদের শরীরের প্রতিরক্ষা শক্তির কিছু কিছু ঘাটতি পূরণ করে । এ ছাড়া হৃদ সংক্রান্ত সমস্যা , চোখের অসুখ, ক্যান্সার ইত্যাদি অনেক শারীরিক অসুস্থতার ক্ষেত্রে ভিটামিন সি এর উপকারিতা আছে বলে মনে করা হয় । উনিভার্সিটি অফ মিসিগানের গবেষকরা সম্প্রতি ভিটামিন সি'র বহুমুখী উপকারিতা নিয়ে অনুসন্ধান করে সিদ্ধান্ত করেছেন যে , এটি-
সত্যি বা ঠান্ডা থেকে নিউমোনিয়া বা ফুসফুসের অন্যান্য সংক্রমনের সম্ভাবনা কমাতে সাহায্য করে ।
মানসিক চাপের জন্য অনেকের দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পায় । আবার মানসিক চাপ বা স্ট্রেসের প্রভাবে দেহের ভিটামিন সি এর পরিমাণ কমে যায় । যেমন কমে যায় মদ্যপান ,ধূমপান , ইত্যাদির জন্য । তাই পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন সি দেহে থাকা সুস্থ দেহের লক্ষণ ।
আমেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিকাল নিউট্রিশন -এ প্রকাশিত একটি নিবন্ধে বলা হয়েছে দেহে ভিটামিন সি এর মাত্রা বেশি থাকলে বয়সের সঙ্গে সঙ্গে চামড়া কুচকে যাওয়া বা শুকনো হয়ে যাবার সম্ভাবনা কম থাকে ।
রক্তে ভিটামিন সি এর পরিমাণ বেশি থাকলে স্ট্রোক হবার সম্ভাবনা কিছুটা কমে বলে দেখা গেছে ।
এছাড়া শরীরে নানান কাজে ভিটামিন সি এর অবদান আছে । ডেট ইস্যু বৃদ্ধি বা সংরক্ষণে , ক্ষতের নিরাময়ে , দেহের নিত্য প্রয়োজনীয় আয়রন সংগ্রহে , দাঁত , হাড় এবং মজ্জা সংরক্ষণে ভিটামিন সি বিশেষ ভূমিকা পালন করে ।
ভিটামিন সি জাতীয় ফলের নাম ।ভিটামিন সি এর উৎস ও কাজ ।
প্রতিদিন তিন-চারটি আমলকি বা মাঝারি আমলকি বা মাঝারি আকারের একটি পেয়ারা বা বড় আকারের একটি পেয়ারা বা বড় আকারের দুটি আমড়া বা বড় একটি কামরাঙা খেলে পরিনির ভিটামিন সি এর অভাব পূরণ হবে । গাছ থেকে ফল ও শাকসবজি সংগ্রহের পর থেকেই গরমে ভিটামিন সি নষ্ট হতে থাকে । এজন্য ফল ও সবজিটি যতটা সম্ভব টাটকা খাওয়া উচিত । তবে গোল আলুতে বিদ্যমান এড করবি এসিড তাপের সঙ্গে বিক্রিয়া করে জটিল যোগ গঠন করে যা তাপেনষ্ট হয় না ।পুষ্টিবিদদের মতে , দেহে ভিটামিন সি চাহিদা ৬৫ ভাগ ফল থেকে , ২৫ ভাগ শাকসবজি থেকে , ১৫ ভাগ গোল আলু থেকে পাই । গোল আলুতে রান্নার আগে ভিটামিন সি থাকে ২০ মিলিগ্রাম , রান্নার পর থাকে .১৬ মিলিগ্রাম ।
ভিটামিন সি প্রধান উৎস ফল ও শাকসবজি । কিন্তু ভিটামিন সি পানিতে দ্রবণীয় এবং তাপে নষ্ট হয় বলে শাকসবজি ধোঁয়া ও রান্নার সময় ভিটামিন সি নষ্ট হয়ে যায় । তাই এর একমাত্র উৎস ফল । তবে বর্ষাকালীন ফলে ভিটামিন সি বেশি থাকে । আধুনিক প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানায় ভিটামিন সি কে নষ্ট থেকে রক্ষার জন্য শাকসবজি ও ফলমূল প্রক্রিয়াজাত করা যায় । ভিটামিন সি এর চাহিদা প্রধান উৎস বর্ষাকালের ফল থেকে সহজেই পূরণ করা যায় । যেহেতু অতিরিক্ত ভিটামিন সি দেহে সঞ্চিত থাকে না , তাই প্রতিদিন পরিমাণ মতো ভিটামিন সি সকলেরই খাওয়া উচিত ।
ভিটামিন সি এর কাজগুলো কি কি
ভিটামিন সি আমাদের শরীরের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে। ভিটামিন সি শরীর জমা রাখতে পারেনা । প্রতিদিনের প্রয়োজন মেটাতে ভিটামিন সি নিয়মিত খাওয়া উচিত । চাহিদা ভিন্ন হলেও একজন পূর্ণ বয়স্ক মানুষের দৈনিক 90 মিলিগ্রাম এবং নারীর 80 মিলিগ্রাম যথেষ্ট ।
ভিটামিন সি যে এত কাজ করে বিশ্বাস করুন এই পোস্ট লিখতে যাওয়ার আগে কখনো জানতে পারিনি ! এ পোস্টটি পড়ে দেখুন আপনি হয়তো নতুন কিছু জানতে পারবেন ভিটামিন সি জাতীয় খাবার সম্পর্কে ।
১। খাদ্যে ভিটামিন সি যোগ করলে তা এন্ট্রিস্ট্রেস হরমোন নিঃসরণ করে তার জনিত ধকল , ঠান্ডা জনিত নকলসহ সকল প্রকার ধকল প্রতিরোধ করে ।
২। উচ্চ মাত্রা ভিটামিন সি নিরাপদ কার্যকর ভাবে ভাইরাল ইনফেকশন চিকিৎসায় ব্যবহার করা যায় ।
৩। ভিটামিন সি ক্ষতিকর ফ্রি রেডিক্যাল দূর করে , ভাইরাস মারতে সহায়তা করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ।
৪। লিউকোসাইটের ফ্যাগসাইটোসিস প্রক্রিয়াকে উদ্দীপনা প্রদান করে , রেটিকিউলো-এন্ডোথেলিয়াল সিস্টেমকে কার্যকর করে এবং এন্টিবডি তৈরি করে রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে । এছাড়া কটিক্যাল হরমোন তৈরিতে বাধা দিয়ে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করে ।
৫। ভিটামিন সি , ভিটামিন ই ও বেটা ক্যারোটিন ফ্রিরেডিকেল ধ্বংসের মাধ্যমে কোষের প্রতিরক্ষা কার্যক্রমে অংশ নেয় । কোলাজেন গঠনে ও ক্যালসিয়াম শোষণের সহায়তা করে ডিমের খোসার মান উন্নয়নের সহায়তা করে ।
৬। খাদ্য থেকে খনিজ পদার্থ শোষণ করে তার সমস্ত দেহে পৌঁছে দেয় ।
৭। এটি কার্যকর ভাবে পরিপাকতন্ত্রের গঠনকে উন্নত করে । পুষ্টি উপাদান শোষণ ক্ষেত্র বাড়িয়ে দেয় ।
৮। নিউমোনিয়াসহ অন্যান্য শ্বাসতন্ত্রের রোগের চিকিৎসায় ভিটামিন সি অত্যন্ত কার্যকর ।
৯। রক্ত রসে ইউরিক অ্যাসিড কমে গাউট প্রতিরোধ করে ।
১০। এসকরবিক এসিডের অক্সিডাইজড ফর্ম ব্লাড ব্রেন বেরিয়ার কে অতিক্রম করে নিউরোলজিক্যাল ডেফিসিট কমিয়ে স্ট্রোকের কারণে মৃত্যুর হার কমে দিতে পারে ।
১১। দেহে ইলেক্ট্রোসাইটসের ভারসাম্য রক্ষা করে ।
লেখকের শেষ বক্তব্য । ভিটামিন সি এর উৎস ও কাজ ।
ভিটামিন সি এর কাজ আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারীতা বয়ে আনে । তাই আমাদের নিয়মিত ভিটামিন সি খাওয়া উচিত । তবে ভিটামিন সি খেতে হবে পরিমিত পরিমাণে । অতিরিক্ত ভিটামিন সি শরীরের জন্য ক্ষতির কারণ হতে পারে । ভিটামিন সি আমাদের শরীরে জমা থাকে না । তাই প্রতিদিন পরিমাণ মতো ভিটামিন সি জাতীয় খাবার গুলো খেতে হবে । তাহলে ভিটামিন সি এর কাজ আমাদের শরীরের জন্য ভালো দিক বয়ে আনবে ।
আশা করছি উপরের লেখাটি আপনি খুব ভালোভাবে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়েছেন । আর্টিকেলটি পড়ার পর আপনি ভিটামিন সি এর কাজ সম্পর্কে খুব ভালো একটি ধারণা অর্জন করতে পেরেছেন । অবশ্যই আপনি এবার বুঝতে পেরেছেন ভিটামিন সি আমাদের দেহে কি ধরনের কাজ করে । বিভিন্নভাবে তথ্য গুলো সংগ্রহ করে ভিটামিন সি এর কাজ সম্পর্কে আপনাদের সামনে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি । আমাদের লেখাটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাবেন । আপনাদের পাশে থাকা আমাদের লেখার অনুপ্রেরণা যোগাবে যার ফলে আপনাদের আরো ভালো ভালো লেখা উপহার দিতে পারব । আর ভুল ত্রুটি হলে সেটাও জানাবেন ।
ট্রাসটেডএয়ার্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url