সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো কি কি এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সুবিধা ও অসুবিধা
স্মার্ট টিভিতে কি কি করা যায়আপনি কি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলো কি কি এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সুবিধা ও অসুবিধা সমূহ কি এসব বিষয়ে জানতে চাচ্ছেন ? তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য । এই আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ভালোভাবে পড়লে আপনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলো কি কি এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সুবিধা ও অসুবিধা সমূহ সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান অর্জন করতে পারবেন । চলুন তাহলে এসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক ।
আজকের আর্টিকেলে আমরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলো কি কি ? সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সম্পর্কে কিছু কথা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সুবিধা গুলো, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অসুবিধা প্রভৃতি বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব । নিচে আপনাদের জন্য সবগুলো বিষয় বিস্তরভাবে আলোচনা করা হলো।
পোস্ট সূচীপত্রঃ
- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো কি কি ? সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সুবিধা ও অসুবিধা সমূহ।
- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা সামাজিক মিডিয়া সম্পর্কে কিছু কথা ।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সুবিধা সমূহ।
- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্যঃসামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো কি কি?
- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সুবিধা সমূহ।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো কি কি ?
- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অসুবিধা সমূহ ।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো কি কি ?
- লেখকের শেষ কথা ।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অসুবিধা সমূহ ।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো কি কি
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো কি কি
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সুবিধা অসুবিধাগুলো জানার আগে আপনাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো কি কি সেই বিষয়ে সম্যক জ্ঞান থাকা উচিত। আপনাদের জন্য আজকে আমরা আলোচনা করবো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো কিকি এসব বিষয়ে। যাতে আপনাদের পছন্দ অনুযায়ী ও সুবিধা অনুযায়ী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ব্যবহার করতে পারেন। চলুন তাহলে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো কি কি সেসব বিষয় জেনে নিন।
এখনকার সময়ে সারা বিশ্বের অধিকাংশ মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ছাড়া যেন আমাদের একটা দিনও পার হবে না। বিশ্বের মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাথে ওতপ্রোতভাবে জরিয়ে পড়েছে। আপনার জন্য বেশ জনপ্রিয় কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো উল্লেখ করা হলোঃ
- ফেসবুক
- হটস অ্যাপ
- ইউটিউব
- ইনস্টাগ্রাম
- টুইটার
- টিকটক
- ভাইবার
- লিংকডিন
- টেলিগ্রাম
- পিনটারেস্ট
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা সামাজিক মিডিয়া সম্পর্কে কিছু কথা ।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সুবিধা সমূহ।
বিশ্বগ্রাম ব্যবস্থায়ী ইন্টারনেট এখন সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে । ইন্টারনেটের কল্যাণে মানুষ এখন ফেসবুক লিংক দিন সাহায্যে বিশাল সামাজিক নেটওয়ার্ক গড়ে তুলছে। বাস্তব জীবনে কারো কোন বন্ধু না থাকলেও এ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম গুলিতে একজন ব্যক্তির অনেক বন্ধু থাকতে পারে । সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে খুব সহজেই একে অপরের কাছাকাছি থাকতে পারছে ।
আরো পড়ুনঃইনফিনিক্স নোট 30 প্রো প্রাইস ইন বাংলাদেশ
ফেসবুক, লিংকডিন বা টুইটারের মাধ্যমে সারা পৃথিবীর যেকোনো স্থানে অবস্থানরত প্রিয়জন বা বন্ধু-বান্ধবের সাথে মুহূর্তের মধ্যেই তথ্য আদান-প্রদান করতে পারছে । এ সকল মাধ্যমগুলিতে মানুষ স্বাধীনভাবে মতামত প্রকাশ করতে পারছে । ইন্টারনেটের সাহায্যে মানুষ আজ এই আধুনিক সমাজ ব্যবস্থাকে গড়ে তুলেছে যার মাধ্যমে সামাজিক চাহিদাকেও পূরণ করতে পারছে । ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসের হিসাব অনুযায়ী বিশ্বের মোট ৩.৪৮৪ বিলিয়ন মানুষ কোন না কোন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করছে যা পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার প্রায় ৪৫% ।
উইকিপিডিয়া অনুসারে, সামাজিক মাধ্যম হলো কম্পিউটার মধ্যস্থতায় এমন একটি টুল যা মানুষ কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানকে ভার্চুয়াল কমিউনিটি বা নেটওয়ার্কের তথ্য , পেশার স্বার্থ সংক্রান্ত কৌতূহল , ধারণা , ছবি বা ভিডিও ইত্যাদি তৈরি বিনিময়ে ও শেয়ার করার সুযোগ সৃষ্টি করে ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্যঃসামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো কি কি
- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হলো ওয়েব ২.০ ইন্টারনেট ভিত্তিক অ্যাপ্লিকেশন ।
- ব্যবহারকারী কর্তৃক তৈরি করা বিষয়বস্তু যেমন-টেক্সট ডিজিটাল ফটো বা ডিজিটাল ভিডিও ইত্যাদির পোস্ট হল সামাজিক মিডিয়ার জীবনশক্তি ।
- ব্যবহারকারী তাদের ওয়েবসাইট প্রোফাইল ইত্যাদি তৈরি করে যা সামাজিক মিডিয়ার প্রতিষ্ঠান ওইগুলো ডিজাইন তৈরি করে সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণ করে ।
- ব্যবহারকারীর প্রোফাইল অন্যান্য ব্যক্তি বা দলের সাথে সংযোগ সাধন করে সামাজিক মিডিয়া অনলাইন সামাজিক নেটওয়ার্ক উন্নয়ন করার সুবিধা প্রদান করে ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সুবিধা সমূহ।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো কি কি ?
সংযুক্ত থাকাঃ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রধান উদ্দেশ্য হল প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল এবং দ্রুতগামী বিশ্বে পরিবার এবং বন্ধু-বান্ধবের সাথে সংযুক্ত থাকতে সক্ষম হওয়া । একই সাথে এর মাধ্যমে পুরনো বন্ধুত্বকে নতুন করে তৈরি করা এবং পারিবারিক ছবি ও জীবনের বিশেষ ঘটনা ও মুহূর্তগুলোকে পরিচিত সকলের সাথে শেয়ার করা ।
সম্ভাবনা বা সমভাবাপন্ন মানুষ খুঁজে পাওয়া বা একত্রিত হওয়াঃ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হলো সম্পূর্ণ নতুন বা অপরিচিত মানুষের সাথে পরিচিত হওয়ার একটি অন্যতম পন্থা । এর মাধ্যমে যেকোনো ব্যক্তি তার নিজস্ব অভিরুচি বা সব বা পছন্দ অপছন্দের সাথে খুঁজে পেতে পারে এবং তার চারপাশের এক ধরনের চিন্তাভাবনা সম্পূর্ণ মানুষদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে । বর্তমান সময়ে প্রচলিত নিয়মে সরাসরি সাক্ষাৎ করার পরিবর্তে সামাজিক মাধ্যমে ও অনলাইনে পরস্পরের সাথে সাক্ষাৎ করা স্বাভাবিক নিয়মে পরিণত হয়েছে । যা মানুষের জীবনকে অনেক সহজ তর করেছে ।
বিপণন বা প্রচারের গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ারঃ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন সাইট ব্যবহারের মাধ্যমে বিপুল সংখ্যক এবং বিপুল বিভিন্ন পর্যায়ের মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারে । এর মাধ্যমে ও তাদের নিজেদের সম্পর্কে ব্যাপকভাবে প্রচার ও বিপণন কার্যক্রম চালাতে সক্ষম হন যা পূর্বে কল্পনা করা যেত না ।
আরো পড়ুনঃ কিভাবে ফরেক্স ট্রেডিং করে আয় করবেন
অবিশ্বাস্য দ্রুত গতিতে তথ্যের বিস্তারঃ সামাজিক যোগাযোগ সাইটগুলোর মাধ্যমে যেকোন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও চাঞ্চল্যকর সংবাদ সমূহ আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়ে । এর মাধ্যমে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যেমন-দুর্ঘটনা স্মরণ করা তথ্যানো সন্ধান করা বা হারিয়ে যাওয়া শিশুদের সম্পর্কে খোঁজ করা ইত্যাদি অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে নেয়া হয় ও দ্রুত ছড়িয়ে দেয়া হয় ।
অপরাধী সনাক্তকরণে ও গ্রেপ্তার করতে সহায়কঃ মানুষ সাধারণত সামাজিক সাইটে বিভিন্ন পোস্ট দেওয়ার ফলাফল সম্পর্কে সতর্ক থাকে না । অনৈতিক কর্মকাণ্ডে নিজেদের লিপ্ত থাকা ছবি বা সংঘটিত অপরাধ সম্পর্কে কোনো পোস্ট দেখে আইন প্রয়োগকারী ব্যক্তিরা অপরাধীকে সনাক্ত করতে এবং গ্রেফতার করতে এই সামাজিক মাধ্যম ব্যবহার করে থাকেন ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অসুবিধা সমূহ ।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো কি কি ?
মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য কে প্রতিষ্ঠা করাঃ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেকোন তথ্য বা সংবাদ ১ঘন্টা বা একদিনের ভিতর কোটি কোটি মানুষের কাছে পৌঁছে যায় । দুর্ভাগ্যজনকভাবে এর মাঝে অনেক মিথ্যা ও সংবাদ থেকে । এ মিথ্যা তথ্য সমাজে আতঙ্ক ও ব্যাপক তথ্য বিভ্রান্তি ঘটাতে পারে এমনকি সমাজে শৃঙ্খলা বিনষ্ট করতে পারে ।
পারস্পারিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিঘ্ন ঘটানোঃ সামাজিক মাধ্যমে অনলাইনে সামাজিক মিথস্ক্রিয়ায় যে কেবল নতুন সম্পর্কে সৃষ্টি হচ্ছে তা নয় অনেক সম্পর্ক ভেঙেও যাচ্ছে । এই মাধ্যমে যে কারো সাথে যোগাযোগ করা এবং ছবি ও পরিকল্পনা শেয়ার করা ও তা গোপন রাখা অত্যন্ত সহজ । নতুন প্রলোভনের ফলে মানুষের জীবনে অনেক মূল্য দিতে হচ্ছে । সম্পর্ক বন্ধ রাখা ভেঙে যাওয়া নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপারে পরিণত হয়েছে । পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হচ্ছে । সামাজিক নেটওয়ার্ক বিশ্বাস কে প্রশ্নের সম্মুখীন করেছে ।
আরো পড়ুনঃ গুগল ক্রোমে ব্যবহৃত সকল শর্টকার্টগুলো কি
সাইবার সন্ত্রাসঃ খুব সহজে যে কোনো ব্যক্তির জীবনযাত্রায় অনুপ্রবেশ করতে পারা সব সময় ভালো ফল বয়ে আনে না । এরপরে সাইবার সন্ত্রাস নামক নতুন সমস্যা তৈরি হচ্ছে যা পুরো পৃথিবীতেই ব্যাপক ক্ষতির কারণ ঘটাচ্ছে । বিশেষভাবে এটি অল্প বয়সী ছেলে মেয়েদের ক্ষেত্রে ঘটছে । তারা জনসম্মুখে একে অপরকে বিব্রত করছে এবং বিভিন্ন ধরনের নিচা আপত্তিকর বিষয় পোস্ট করছে যা অনলাইনে সমগ্র সাইবার বিশ্বের প্রচারিত হচ্ছে ।
আসক্তিঃ একটি অন্যতম বড় সমস্যা হলো মানুষ এই সামাজিক মাধ্যমের প্রতি দিন দিন অত্যধিক ভাবে আসক্ত হয়ে পড়ছে । স্কুল কলেজ বাড়ি ও কর্মক্ষেত্রে এটি প্রধান সময় অপচয়কারী হয়ে উঠেছে । এর ফলে মানুষ আক্ষরিক অর্থে সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে ।
ট্রাসটেডএয়ার্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url