খেজুর খাওয়ার ২৭টি উপকারিতা, অপকারিতা এবং খেজুর খাওয়ার নিয়ম
খেজুর একটি মিস্টি জাতীয় অনেক সুস্বাদু প্রাকৃতিক ফল। এই ফলের গুণাগুণ অনেক। খেজুর খাওয়ার আগে আপনার খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং খেজুর খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানা উচিত। আমরা আজকে এসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক খেজুরের বিষয়ে ব্যপক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
আপনি খেজুর খাওয়ার ২৭টি উপকারিতা ও অপকারিতা এবং খেজুর খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাইলে এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আমাদের এই আর্টিকেলটি ১ম থেকে শেষ পর্যন্ত ভালোভাবে পড়লে আপনি খেজুর খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং খেজুর খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে সুস্পষ্ট একটা ধারণা তৈরি হবে আপনার। চলুন তাহলে মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।
পোস্ট সূচীপত্রঃ
- খেজুরে বিদ্যমান পুষ্টি উপাদান সমূহ । খেজুর (khejur) খাওয়ার ২৭টি উপকারিতা ও অপকারিতা । খেজুর খাওয়ার নিয়ম ।
- খেজুর খাওয়ার অসাধারণ ২৭টি উপকারিতা ও অপকারিতা । খেজুর খাওয়ার নিয়ম ।
- দুধ ও খেজুর খাওয়ার উপকারিতা।খেজুর খাওয়ার অসাধারন ২৭টি উপকারিতা ও অপকারিতা এবং খেজুর খাওয়ার নিয়ম ।
- খেজুর খাওয়ার অপকারিতা। খেজুর খাওয়ার অসাধারন ২৭টি উপকারিতা এবং খেজুর খাওয়ার নিয়ম
- খেজুর খাওয়ার নিয়ম। খেজুর খাওয়ার অসাধারন ২৭টি উপকারিতা ও অপকারিতা ।
- লেখকের শেষ বক্তব্য । খেজুর খাওয়ার অসাধারন ২৭টি উপকারিতা ও অপকারিতা এবং খেজুর খাওয়ার নিয়ম
খেজুরে বিদ্যমান পুষ্টি উপাদান সমূহ । খেজুর (khejur) খাওয়ার ২৭টি উপকারিতা ও অপকারিতা । খেজুর খাওয়ার নিয়ম ।
খেজুর খাওয়ার ২৭টি উপকারিতা ও অপকারিতা অপকারিতা এবং খেজুর খাওয়ার নিয়ম এসব বিষয়ে জানার আগে খেজুরে কি কি পুষ্টি উপাদান আছে সেই ব্যাপারে জানা উচিত। খেজুরে অনেক পুষ্টিগুণ রয়েছে, যা আমাদের শরীরের জন্য ভীষণ উপকারি। খেজুরের পুষ্টিউপাদানগুলো নিচে তুলে ধরা হলো।
- খেজুরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে গ্লুকোজ।
- খেজুর প্রোটিন সমৃদ্ধ একটি প্রাকৃতিক ফল।
- খেজুরে ভিটামিন- এ, ভিটামিন-সি, ভিটামিন-কে রয়েছে। এছাড়াও আরো রয়েছে ভিটামিন বি১, বি২, বি৩ ও বি৫।
- খেজুরে আরো বিদ্যমান ক্যালসিয়াম,পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন, শর্করা, ফাইবার, ম্যাঙ্গানিজ।
খেজুর খাওয়ার ২৭টি উপকারিতা ও অপকারিতা । খেজুর খাওয়ার নিয়ম ।
- খেজুর শরীরের শক্তি বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে । খেজুরে রয়েছে শতকরা ৮০ ভাগই চিনি । এজন্য শুকনো খেজুর বা খুরমা খেজুর কে মরুভূমির গ্লুকোজ বলা হয়।
- খেজুরে রয়েছে ভিটামিন এ যা দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে এবং রাতকানা রোগ প্রতিরোধ করে ।
- খেজুরে রয়েছে ফাইবার যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে । তবে খেজুর থেকেই এই উপকারিতা পেতে হলে খেজুর খাওয়ার পর প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে । তাহলে কাঙ্খিত ফলাফল পাওয়া যাবে ।
- খেজুর ডিহাইড্রেশন বা পানি শূন্যতা দূরীভূত করতে সাহায্য করে তাই দিনে কম করে হলেও চার থেকে পাঁচটা খেজুর খাওয়া উচিত ।
- খেজুরের রয়েছে ভিটামিন সি যা দাঁতের জন্য অনেক উপকারী ।
- খেজুরের বিদ্যমান পুষ্টি উপাদান ক্যান্সার প্রতিরোধে বিশেষভাবে সহায়ক ।
- খেজুর বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করে, যৌবন ও তারণ্য ধরে রাখতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে ।
- খেজুর মানুষের মন ভালো রাখতে সহায়তা করে । কেননা খেজুরে বিদ্যমান বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদান সেরোটোনিন নামক হরমোন উৎপাদনে সাহায্য করে যে হরমোন মানুষকে মানসিকভাবে প্রফুল্লতা দান করে ।
- খেজুরে রয়েছে ক্যালসিয়াম যা হাড় ও দাঁত মজবুত করে ।
- খেজুরে বিদ্যমান ভিটামিন সি ও বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে ।
- খেজুর রয়েছে আয়রন যা আমাদের শরীরের রক্তশূন্যতা দূর করে । শরীর রক্তশূন্যতা দূরীভূত হওয়ার ফলে শরীরে শক্তি বৃদ্ধি পায় ।
- আমাদের পেটের বদহজম দূর করতে খেজুর অত্যন্ত কার্যকরী একটি ফল । কারণ খেজুরে রয়েছে স্যলুবল ও ইনস্যলুবল ফাইবার এবং বিভিন্ন প্রকার অ্যামিনো এসিড যা খাবার হজম করতে সহায়তা করে ।
- খেজুরের বিদ্যমান ডায়েটরি ফাইবার কোলেস্টেরলের মত সমস্যা থেকে আমাদের মুক্তি দেয় ।
- খাবারে অরুচি ভাব দূর করে এই পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খেজুর ।
- খেজুরে বিদ্যমান বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান আমাদের হৃৎপিণ্ড অনেক ভালো রাখে এবং শক্তিশালী করে ।
- খেজুর পটাশিয়াম ও সোডিয়াম এর সমতা সুন্দরভাবে রক্ষা করে ।
- নিয়মিত খেজুর খেলে খেজুরের বিদ্যমান প্রোটিন আপনার পেশি গঠনে বিশেষভাবে সহায়তা করবে ।
- খেজুর আপনার গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাও দূরীভূত করবে ।
- আপনার শিশুকে অবশ্যই খেজুর খেতে উদ্বুদ্ধ করুন । কেননা খেজুরের বিদ্যমান ক্যালসিয়াম শিশুদের মাড়ি গঠনে সহায়তা করে ।
- ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের শরীরে আয়রনের চাহিদা অনেক বেশি । মেয়েদের শরীরে আয়রনের ঘাটতি পূরণ করে খেজুর। তাই নিয়মিত মেয়েদেরও তিন থরের ওজন যদি কম থাকে, আপনি যদি শরীরের ওজন বৃদ্ধি করতে চান তাহলে অবশ্যই প্রতিদিন নিয়মিত খেজুর খান। খেজুর শরীরের ওজন বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
- বাচ্চাদের বুদ্ধির বিকাশ ঘটাতে আপনার বাচ্চাকে নিয়মিত খেজুর খাওয়াবেন। খেজুরে থাকা গ্লুকোজ বুদ্ধির বিকাশ ঘটাতে অত্যন্ত উপকারি।
- খেজুরে কোলেস্টেরল নেই। খেজুর খেলে আপনার শরীরে বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান যোগ হবে কিন্তু খেজুরে কোলেস্টেরল না থাকায় হাই ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনন্য ভূমিকা পালন করে খেজুর ।
- খেজুর আপনার শরীরে তৎক্ষনাৎ শক্তি যোগাতে সাহায্য করে। তাই আপনি ব্যায়াম করার পর অথবা বেশি পরিশ্রম করার পর ৩/৪ টা খেজুর খেয়ে নিবেন। আপনার শরীরে সাথে সাথে শক্তির সঞ্চার হবে।
- ছোট-বড় সকালের খেজুর খাওয়া উচিত । নিয়মিত খেজুর খেলে আপনার দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি পাবে এবং খেজুরে থাকায় ভিটামিন এ রাতকানা রোগ প্রতিহত করবে ।
- খেজুর গ্লুকোজের ঘাটতি দূর করে । আমাদের শরীরে গ্লুকোজের ঘাটতি দেখে দিলে বিভিন্ন রকমের সমস্যা দেখা দেয় । দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকার পরে শরীরে গ্লুকোজের ঘাটতি হয় ফলে শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে । তাই কাজ শেষে তিন চারটা খেজুর খেয়ে নিতে পারেন এতে গ্লুকোজের ঘাটতি পূরণ হবে ।
- খেজুর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে । নিয়মিত খেজুর খেলে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে ফলে সহজে রোগ বালাই শরীরে বাসা বাঁধতে পারবে না ।
- খেজুরে রয়েছে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স যা মুখের ভিতরের ক্ষত সারাতে অনেক কার্যকর ভূমিকা পালন করে । তাই আমাদের প্রত্যেকেরই নিয়মিত তিন চারটা করে খেজুর খাওয়া উচিত ।
দুধ ও খেজুর খাওয়ার উপকারিতা।খেজুর খাওয়ার অসাধারন ২৭টি উপকারিতা ও অপকারিতা এবং খেজুর খাওয়ার নিয়ম
খেজুর খাওয়ার অপকারিতা। খেজুর খাওয়ার অসাধারন ২৭টি উপকারিতা এবং খেজুর খাওয়ার নিয়ম
- আপনি যদি ডায়াবেটিসের রুগী হয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য খেজুর খাওয়া মোটেও উচিত হবে না। আর খেলেও মাঝে মাঝে ১ থেকে ২ টা খেজুর খেতে পারেন।
- আপনার শরীরে যদি পটাশিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকে তাহলে অবশ্যই খেজুর খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কারণ খেজুরে রয়েছে পটাশিয়াম। আপনি খেজুর খেলে আপনার শরীরে পরিমাণ বেড়ে যাবে যা আপনার শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।
- আপনার শরীরের ওজন যদি প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি হয়ে থাকে তাহলে খেজুর খাওয়া এড়িয়ে চলুন। কেননা বেশি পরিমাণে খেজুর খেলে শরীরের ওজন আরো বেশি বৃদ্ধি পাবে। তাই শরীরের ওজন কমাতে চাইলে খেজুর খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
খেজুর খাওয়ার নিয়ম। খেজুর খাওয়ার অসাধারন ২৭টি উপকারিতা ও অপকারিতা ।
- প্রথমত হল আপনি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেজুর খেতে পারেন ।
- দ্বিতীয়ত হল সকালে খাবারের পর ও দুপুরে খাবারের আগে অর্থাৎ এর মাঝামাঝি সময়ে খেজুর সেবন করতে পারেন ।
- তৃতীয়ত হল বিকালে অর্থাৎ পাঁচটা ছয়টার দিকে আপনি কয়েকটি খেজুর খেতে পারেন ।
- আপনি যদি ব্যায়াম বা জিম করে থাকেন তাহলে আপনি ডায়েট স্বরূপ এগ হোয়াইট এর সাথে খেজুর সেবন করতে পারেন । খেজুর শরীরে কার্বোহাইড্রেট প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করে থাকে ।
- চিনি জাতীয় খাবার হিসেবে খেজুর ব্যবহার করা যায় কারণ খেজুর অত্যন্ত মিষ্টি ফল । খেজুরের চিহ্নিতে প্রচুর পরিমাণে নিউট্রিশন থাকে যা অন্য চিনিতে থাকে না । খেজুরের চিনি দিয়ে চা পিঠা ও অন্যান্য খাবার বানালে তার স্বাদ কয়েক গুণ বেড়ে যায় ।
- এবার চলুন জেনে নেয়া যাক একদিনে কয়টা খেজুর খাওয়া উচিত, আসলে একদিনে কয়টা খেজুর সেবন করবেন সেটা নিয়ে ব্যাপারে আপনার শরীরের ফিটনেস ও অবস্থার উপর । কারণ সে খেজুর শুকনো ফল হলেও এটা অনেক বেশি পুষ্টিগুন ও সুগার সমৃদ্ধ । তাই এটাকে অল্পমাত্রা সেবন করা ভালো।
- সাধারণত আপনি প্রতিদিন সকালে তিন থেকে চারটি খেজুর খেতে পারেন । আর আপনি যদি প্রতিদিন প্রচুর পরিশ্রমের কাজ করেন কিংবা জিম অথবা খেলাধুলা করেন তাহলে আপনি পাঁচ থেকে ছয়টি খেজুর খেতে পারেন । তবে ডায়েটের শক্তিশালী খাবার হিসেবে অল্প খেজুর খেতে পারেন । তবে বেশি খেলে ওজন কমার বদলে ওজন বাড়তে বেশি সময় লাগবে না ।
ট্রাসটেডএয়ার্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url