সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম রচনা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম রচনা Pdf সম্পর্কে জানুন ।
আপনি যদি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম রচনা খোঁজেন তবুও আবার Pdf আকারে তাহলে আজকে আর্টিকেলটি আপনার অনেক উপকারে আসবে । কারণ আমি আজকে আপনাদের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম রচনা নিয়ে লিখেছি Pdf আকারে । আপনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম রচনা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম রচনা Pdf দুইটাই পেয়ে যাচ্ছেন আজকের এই আর্টিকেলে ।
পোস্ট সূচীপত্রঃ
- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম রচনা । সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম রচনা Pdf ।
- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম রচনা Pdf । সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম রচনা ।
- শেষ বক্তব্য । সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম রচনা । সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম রচনা Pdf ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম রচনা । সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম রচনা Pdf ।
ভূমিকাঃ বর্তমান যুগ তথ্য প্রযুক্তির যুগ । এই যুগের উল্লেখযোগ্য একটি বিষয় হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম । মানুষকে সামাজিক জীব হিসেবে সমাজে বসবাস করার পাশাপাশি প্রতিনিয়তই একে অপরের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলতে হয় । সে কাজটি অত্যন্ত সংস্থার করার ক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভূমিকা অপরিসীম ।
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমঃ একটা সময় ছিল যখন কবুতর কিংবা হাতের লেখা পত্র বা চিঠির উপনির্ভরশীল ছিল যোগাযোগের মতো এরকম গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় । কিন্তু সময়ের পদ পরিক্রমায় বর্তমান প্রযুক্তি নির্ভর যুগের মানুষহস্তার মাধ্যম গুলো ব্যবহার করছে । এই যোগাযোগের এমনই একটি মাধ্যম হচ্ছে Social Networking Site বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম । এটি ব্যবহার করে উন্নত দেশগুলো তাদের যোগাযোগকে সম্পূর্ণ প্রযুক্তি নির্ভর করে ফেলেছে । এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশও পিছিয়ে নেই । নিম্নে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম গুলো সম্পর্কে আলোচনা করা হলো -
ফেসবুক(Facebook) ঃ ফেসবুক(Facebook) বিশ্ব সামাজিক আত্মসংযোগ ব্যবস্থার একটি ওয়েবসাইট । ইন্টারনেট ভিত্তিক যতগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম রয়েছে তার মধ্যে ফেসবুক হচ্ছে বৃহত্তম । মার্ক জুকারবাগ হচ্ছেন ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা। তার হাত ধরে ২০০৪ সালে ৪ ফেব্রুয়ারি ফেসবুক যাত্রা শুরু করেছিল । এটি ব্যবহারকারীগণ বন্ধু সংযোজন , বার্তা প্রেরণ , এবং তাদের ব্যক্তিগত তথ্যাবলী হালনাগাদ ও আদান প্রদান করতে পারেন । সেই সাথে একজন ব্যবহারকারী শহর কর্মস্থল বিদ্যালয় এবং অঞ্চল ভিত্তিক নেটওয়ার্কেও যুক্ত হতে পারেন ।
ব্লগ (Blog) ঃ ব্লগ (Blog) শব্দটি ওয়েবলগ থেকে এসেছে । যার অর্থ আলোচনা বা তথ্য সম্পর্কিত সাইট । বর্তমান বিশ্বে তথ্যের চাহিদা খুবই প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে । বই বা লাইব্রেরীতে হাজার হাজার বই ঘেঁটে প্রয়োজনীয় তথ্য জোগাড় করা কষ্টকর এবং সময় সাপেক্ষ ব্যাপার । আর এই প্রয়োজন মেটানোর জন্য অনলাইন ভিত্তিক ওয়েবলগ এর যাত্রা শুরু হয় যা পরবর্তীতে ব্লক হিসেবে প্রচলিত হয় । যিনি ব্লক পোস্ট করেন তাকে ব্লগার বলা হয় । প্রতিনিয়তই মানুষ ব্লকের কল্যাণে চাহিদার উপরে ভিত্তি করে তথ্য অনুসন্ধান করছে এমনকি গবেষণা সহ বিভিন্ন জরিপ পরিচালনা করছে । ফলে প্রতিদিন হাজার হাজার নতুন ব্লকের জন্ম হচ্ছে । সে সাথে তৈরি হচ্ছে অনলাইনে লক্ষ লক্ষ নিবন্ধ ।
আরো পড়ুনঃ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো কি কি এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সুবিধা ও অসুবিধাগুলো জেনে নিন ।
টুইটার ঃ বর্তমান বিশ্বে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর মধ্যে টুইটার(Twitter) একটি অন্যতম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। টুইটার সামাজিক যোগাযোগের এবং মাইক্রো ব্লগিং এমন একটি ওয়েবসাইট , যেখানে ব্যবহারকারীরা সর্বোচ্চ ১৪০ শব্দের বার্তা আদান-প্রদান ও প্রকাশ করতে পারেন । ২০০৬ সালের মার্চ মাসে টুইটারের যাত্রা শুরু হয় । বর্তমানে এটি এতটাই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে যে , হলিউড ,বলিউড থেকে শুরু করে বিশ্বের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ টুইটার ব্যবহার করে থাকেন ।
গুগল প্লাসঃ গুগল প্লাস হচ্ছে সার্চ ইঞ্জিন গুগলের সামাজিক যোগাযোগের একটি সাইট । এটি চালু হওয়ার পর থেকেই মূলত জনপ্রিয়তা পাচ্ছে । গুগল প্লাস জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগের সাইট ফেসবুকের মত নয় বলে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে । তবে ফেসবুকের সাথে কিছুটা মিল থাকলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলো ব্যবহারকারীদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতেই এ ধরনের উদ্যোগ ।
উইকিপিডিয়াঃ উইকিপিডিয়া (Wikipaedia) তথ্য , সেবা প্রদানের লক্ষ্যে সৃষ্ট ওয়েবভিত্তিক , বহুভাষিক, মুক্ত বিশ্বকোষ হিসেবে পরিচিত । বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় ও বহুল প্রচলিত এই অনলাইন তথ্য কোষের প্রতিষ্ঠাতা যিনি ওয়েলস এবং ল্যারি স্যাংগার । ২০০১ সালের জানুয়ারি মাসের ১৫ তারিখে আনুষ্ঠানিকভাবে পথ চলা শুরু হয় ওয়েবসাইটটির । বর্তমানে এটি বিশ্বের সবচেয়ে বড় এবং সর্বাধিক জনপ্রিয় ইন্টারনেট ভিত্তিক তথ্যসূত্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে ।
ইউটিউব(Youtube) ঃ ইউটিউব(Youtube) একটি ভিডিও আদান-প্রদান করার ওয়েবসাইট । এটি বর্তমানে ইন্টারনেট জগতের অত্যন্ত জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং সাইট , যার মাধ্যমে এর সদস্যরা ভিডিও আপলোড , দেখা এবং আদান-প্রদানের কাজ করে থাকে । এখানে ভিডিও পর্যালোচনা ও অভিমত প্রদানের সুবিধাও রয়েছে । ২০০৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রতিষ্ঠিত এস আই টি নির্মাণের পেছনে ছিলেন মূলত পেপ্যাল প্রতিষ্ঠানের তিন প্রাক্তন চাকুরীজীবী-চার হারলি , স্টিভ ব্যান আর বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত জাভেদ করিম ।
স্কাইপঃ স্কাইপ(Skype) এমন একটি সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন যেটা মানুষকে ভিওআইপি সেবা প্রদান করে । সামাজিক যোগাযোগের একটি মাধ্যমে ব্যবহারকারী ইন্টারনেটে যুক্ত হয়ে একে অপরের সাথে অডিও , ভিডিও এবং তাৎক্ষণিক বার্তার সাহায্যে যোগাযোগ করে থাকেন । ২০০৩ সালে ডেনমার্কের ধমিজা , জানুজ ফ্রিজ এবং সুইডেনের নিকলাস জেনস্ট্রম স্কাইপ প্রতিষ্ঠা করেন ।
অন্যান্য মাধ্যমঃ উপরে বর্ণিত সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ছাড়াও আরো কিছু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম রয়েছে যেমন মাইস্পেস , ব্লগিমেট, এ ও এল ইনস্ট্যান্ট মেসেঞ্জার , ফেসটাইম , গুগল টক , গুগল ভয়েস , আই সি কিউ , আইবিএম লোটাস সেমটাইম , উইন্ডোজ লাইভ মেসেঞ্জার , জিমেইল , ইয়াহু মেসেঞ্জার ইত্যাদি ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও বাংলাদেশ ঃ সামাজিক যোগাযোগের আন্তর্জাতিক মাধ্যম গুলোর ব্যাপক প্রভাব দেখা যায় সারা বিশ্ব জুড়ে । যার ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশ ও পিছিয়ে না থেকে দেশীয় কিছু যোগাযোগের মাধ্যম গড়ে তুলেছে । যেমন-
- বেশ তো ডটকম হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ প্রথম বাংলা মাধ্যম । যার দ্বারা বাংলা ভাষাভাষীরা সম্পূর্ণ বাংলায় নিজের মতামত ও অনুভূতিগুলো পরস্পরের সাথে বিনিময়ের সুযোগ পায় ।
- সামহোয়্যার ইন ব্লগ একটি সামাজিক ব্লগিং সাইট । টুইটার বা অন্যান্য সার্ভিসের ১৪০ শব্দের বেশি লেখা যায় না কিন্তু এই ব্লগ সাইটে ছোট বড় ব্লগ লেখার সুবিধা রয়েছে ।
- সব ধরনের তথ্য সম্বলিত আরেকটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম হচ্ছে বিডি অল ইনফো । যেটি রুয়েটের তড়িৎ কৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী মারসুস যন্ত্রকৌশল বিভাগের সাদ্দাম মিলে তৈরি করেছেন ।
- ফেসবুকের সব ধরনের সুবিধা নিয়ে বাংলাদেশের চালু হয়েছে হাউ কাউ ডট কম । এটি ব্যবহারের মাধ্যমে নতুন বন্ধুত্ব তৈরি, চ্যাট , ভিডিও আপলোড এবং গ্রুপ তৈরি করা যায় ।
- বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের লোকজনের কেনাকাটার খবর জানার জন্য তৈরি হয়েছে ফেরিওয়ালা নামক সাইট ।
- বাংলাদেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ সামাজিক মাধ্যম হলো ক্যাফে ইয়ার্ড । সামাজিক নেটওয়ার্কিং এর সকল সুবিধা সহ এই ওয়েবসাইটে বিশেষ কিছু ফিচার সুবিধা রয়েছে ।
- ইন্টারনেটের বিশাল জগতে বয়স্ক থেকে তরুণ সবার ধারণা মাথায় রেখে তৈরি করা হয়েছে নগর বালক নামক মাধ্যমটি ।
- সঙ্গীতপ্রেমীদের সামাজিক মাধ্যমগুলো হল-মিউজিক জলসা , মূর্ছনা , পোলাপাইন মিউজিক , মিউজিক ফুর্তি, ফ্রি ডট কম , বিডি বাংলা প্রভৃতি ।
- এ ছাড়া আরো কিছু দেশীয় মাধ্যম হচ্ছে ফেসকই , মাইলিমেক্স , রংমহল , বিডি স্পট , আওয়াজ , ফ্রেইন্ডফেইস বাংলাদেশ , এফ এন এফ , পি আর ডট কম ইত্যাদি ।
- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলো ভৌগোলিক দূরত্বের বাধাকে অতিক্রম করে মানুষকে খুব কাছাকাছি নিয়ে এসেছে ।
- যোগাযোগের মাধ্যম গুলোতে পুরনো বন্ধু খোঁজা , নতুন বন্ধু তৈরি করা ছাড়াও নিজের বৃত্তের বাইরে অন্য কেউ আমন্ত্রণ জানানো সম্ভব ।
- এই মাধ্যম গুলোতে খুব সহজে বিভিন্ন সংবাদ ও তথ্য পাওয়া যায় ।
- এর সদস্য হতে খুব একটা খরচ লাগে না । একইভাবে কম শিক্ষিতরাও সহজে ব্যবহার করতে পারে ।
- সামাজিক মাধ্যমগুলো বিভিন্ন ভাষায় সমর্থন করে । পাশাপাশি এগুলোর ব্যবহারিক শব্দ মোটামুটি সহজ ।
- স্বাধীন মত প্রকাশ এবং ভালো লেখক সৃষ্টিতে সামাজিক মাধ্যমগুলোর ভূমিকা রয়েছে।
- নৈতিক অবক্ষয় ও সামাজিক বিভিন্ন বিপর্যয়ের শিকার হচ্ছে আমরা এসব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নীতি বিরোধী ব্যবহারে ।
- এর মাধ্যম গুলো সহজে ব্যবহার করে সন্ত্রাসীরা তাদের সন্ত্রাসমূলক কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে ।
- শিশুদের সুস্থ বিকাশের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে সামাজিক মাধ্যম । সেই সাথে তাদের শরীরের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে যেমন-আর্থ্রাইটিস , স্থূলতা , স্মৃতিশক্তি দুর্বল , ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত হওয়া ইত্যাদি সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে ।
- সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে মানুষ তাদের জীবনের নানা দিক তুলে ধরছে । সুবিধাবাদী দেশগুলো গোয়েন্দা ও নিরাপত্তায় এর মাধ্যম গুলোকে কাজে লাগাচ্ছে ।
ট্রাসটেডএয়ার্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url