তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি রচনা এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি রচনা Pdf সম্পর্কে জেনে নিন
আপনার কি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি রচনা প্রয়োজন ? যদি উত্তর হয় হ্যাঁ , তবে আজকের পোস্টটি আপনার জন্য । আপনার জন্য আমরা নিয়ে এসেছি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি রচনা তবুও আবার Pdf আকারে । হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন আপনাদের কাজের সুবিধার্থে আমরা নিয়ে এসেছি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি রচনা এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি রচনা Pdf ।
আজকে আমরা আপনার জন্য তথ্য(ICT) ও যোগাযোগ প্রযুক্তি রচনা এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি রচনা Pdf নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো যেটা আপনার অনেক উপকারে আসবে। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি রচনা এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি রচনা Pdf সম্পর্কে।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি রচনা(ICT)।তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি রচনা Pdf
নিচে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির একটি খুব সুন্দর রচনা তুলে ধরা হলো, যা আপনার অনেক উপকারে আসবে ।
ভূমিকাঃ আধুনিক সভ্যতার বিকাশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রভাব অপরিসীম । টেকসই উন্নয়ন , দারিদ্র বিমোচন , কর্মসংস্থান সৃষ্টি সর্বোপরি মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সরাসরি প্রভাব লক্ষণীয় । যে দেশ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ন্যায় সঙ্গত ব্যবহার নিশ্চিত করতে পেরেছে তারাই সাফল্যের করে অবস্থান করছে । এ প্রসঙ্গে জাতিসংঘের মহাসচিব Ban Ki-Moon এর উক্তিটি উল্লেখযোগ্য-
"Information and Communication Technologies have a central role to play in the quest for development, dignity and peace."
আইসিটির উন্নয়ন মানব সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রকে পরিবর্তিত করেছে এবং বিভিন্নভাবে আমাদের জীবনযাত্রাকে প্রভাবিত করছে ।
বাংলাদেশের কর্মক্ষেত্র তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিঃ বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে এখন কর্ম ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বহুবিধ ব্যবহার ও প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে । এই প্রভাব ও পরিসর ক্রমাগত বেড়ে চলেছে । কর্মক্ষেত্রে আইসিটির দুই ধরনের প্রভাব লক্ষ্য করা যায় । প্রথমত প্রচলিত কর্মক্ষেত্র গুলোতে আইসিটির প্রয়োগের ফলে কর্মদক্ষ তার বৃদ্ধি এবং বাজার সম্প্রসারণ, অন্যদিকে আইসিটি নিজেই নতুন নতুন কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি করেছে ।
প্রচলিত কর্মক্ষেত্র এবং পুরাতন ব্যবসা বাণিজ্য আইসিটি ব্যবহারের ফলে কর্মীদের দক্ষতা , জবাবদিহিতা এবং স্বচ্ছতা বেড়েছে । ব্যাংক , বীমা থেকে শুরু করে বহুজাতিক কোম্পানি , সরকারী দপ্তরে কাজ করার জন্য ওয়ার্ড প্রসেসর থেকে উপস্থাপনার সফটওয়্যার , ইন্টারনেট ব্রাউজিং থেকে ইমেইল, নানা ধরনের বিশ্লেষে দক্ষ হতে হয় ।অন্যদিকে আইসিটি নিজেই একটি বড় আকারের কর্ম বাজা সৃষ্টি করেছে । হার্ডওয়্যার সফটওয়্যার থেকে শুরু করে ওয়েবসাইট নির্মাণ রক্ষণাবেক্ষণ ইত্যাদি এখন নতুন নতুন দক্ষ কর্মীদের জন্য একটি বিরাট কর্মক্ষেত্র ।
সামাজিক যোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিঃ মানুষ সামাজিক জীব । সমাজে চলাফেরা ও বিকাশের জন্য মানুষের সাথে মানুষের একটি সংযোগ প্রয়োজন । তবে এখনকার যুগে আইসিটিতে সামাজিক যোগাযোগ বলতে বিভিন্ন ধরনের ইন্টারনেট ভিত্তিক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মানুষের মানুষের মিথস্ক্রিয়াকেই বোঝাই ।
আরো পড়ুনঃ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো কি কি এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সুবিধা ও অসুবিধাগুলো জেনে নিন।
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে মানুষ খুব সহজে একা পরের সাথে যোগাযোগ করতে পারছে । মানুষের মাঝে এখন দূরত্ব অনেকটাই কমে গেছে এ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ফলে । ফেসবুক , টুইটার , ব্লগ , লিংকডিন , হোয়াটস এপ , মেসেঞ্জার , ইনস্টাগ্রাম, টেলিগ্রাম প্রভিতি ইন্টারনেট ভিত্তিক অ্যাপস ব্যবহার করে মানুষ দূর দূরান্তে মানুষের সাথে যোগাযোগ করতে পারছে । তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বদৌলতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের ফলে আজ মানুষে মানুষে দূরত্ব কমে গেছে।
প্রতিরক্ষা শিল্পে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রভাবঃ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিরক্ষা শিল্পকে দিয়েছে আধুনিকতার ছোঁয়া । আইসিটির মাধ্যমে যুদ্ধক্ষেত্রের সকল পরিস্থিতি সরাসরি সম্প্রচারের মাধ্যমে যুদ্ধকালীন পর্যবেক্ষণ সম্ভব হয়েছে । মাল্টিপ্লেয়ার এখন সফটওয়্যার নির্ভর ফোর্স মাল্টিপ্লেয়ার এ পরিণত হয়েছে । আইসিটির কল্যাণে একজন কমান্ডার যুদ্ধক্ষেত্রের প্রতিটি মুহূর্তের ঘটনা সরাসরি পর্যবেক্ষণ করতে পারে । কারণ আইসিটির যুদ্ধের জন্য রাইফেল ও বর্মের পাশাপাশি উন্নত ইলেকট্রিক ডিভাইস দ্বারা সজ্জিত থাকে । যুদ্ধক্ষেত্র থেকে সরাসরি তথ্য ও সরবরাহ করা ছাড়াও এই ডিভাইস গুলো ব্যবহার করে যুদ্ধক্ষেত্রে তাদের গতিপথ , শত্রু বাহিনী ও তাদের মধ্যবর্তী দূরত্ব , এক স্থান থেকে আরেক স্থানে যেতে মোট সময় এবং তাদের টার্গেটকে পুরোপুরি ধ্বংস করার জন্য নির্ধারণ করতে পারে ।
এছাড়াও বিপদজনক মিশনের ক্ষেত্রে এ ডিভাইস গুলো ব্যবহার করে সৈন্যরা তাদের কমান্ডারের কাছ থেকে সরাসরি দিক নির্দেশনা পায় । স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন ডিভাইস যুদ্ধক্ষেত্রে পরিস্থিতি সরাসরি সম্প্রচারের মাধ্যমে কমান্ডার ও সৈন্যদের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা বজায় রাখতে সাহায্য করে । ফলে যুদ্ধে জয় লাভের সম্ভাবনা বেড়ে যায় ।
মহাকাশ ভ্রমনি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রয়োগঃ 1957 সাল থেকে কৃত্রিম ভু-উপগ্রহ এবং রোবোটিক মহাকাশযানের মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা সৌরজগৎ সম্পর্কিত অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করেছেন । রোবোটিক মহাকাশযান চাঁদে , শুক্র গ্রহে , মঙ্গল গ্রহে এবং মঙ্গল ও বৃহস্পতি গ্রহের মধ্যবর্তী গ্রহাণুপুঞ্জ অবতরণ করে তাদের সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের তথ্য সরবরাহ করেছে । রোবটিক মহাকাশযানের মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা হ্যালির ধূমকেতুসহ অন্যান্য ধূমকেতু সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছেন । এ তথ্যগুলো ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা ছায়াপথ ,নক্ষত্র , গ্রহ এবং অন্যান্য সৃষ্টি তাত্ত্বিক বিষয়বস্তুর উৎপত্তি এবং বিবর্তন সম্পর্কে মানুষের জ্ঞান আরো গভীর করে তুলেছেন ।
এতদো সংক্রান্ত গবেষণায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে । কক্ষপথীয় উপগ্রহগুলি মানুষের প্রাত্যিক জীবনে বিভিন্ন ধরনের সেবা প্রদান করে আসছে । যেমন-বায়ুমণ্ডল আবহাওয়া সম্বন্ধীয় উপগ্রহগুলো আমাদেরকে আবহাওয়ার বিভিন্ন ধরনের তারতম এবং তারতম্যের কারণ সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে । আধুনিক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অন্যতম প্রধান হলো নিরবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা যা মহাকাশ ভ্রমনকে কেন্দ্র করে উন্নত হয়েছে এবং মানবকলনের সর্বত্র ব্যবহৃত হচ্ছে ।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নির্ভর উৎপাদন ব্যবস্থাঃ শিল্প কারখানায় পণ্য উৎপাদন সহ যেকোনো উৎপাদন ব্যবস্থায় আইসিটি ব্যাপকভাবে অবদান রাখছে । বর্তমানে উৎপাদন ব্যবস্থার পরিকল্পনা থেকে শুরু করে উৎপাদন , পরিবহন , বিপণন সহ সকল ধাপে আইসিটির সাহায্য নিতে হয় । আধুনিক ভেলু চেন ও সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে উৎপাদনের বিভিন্ন ধাপে আইসিটির প্রয়োগের ফলে উৎপাদন খরচ অনেক কমানো হয় । তাছাড়া আইসিটির বিভিন্ন টুলস যেমন প্রোগ্রামেবল লজিক কন্ট্রোলার বা পিএলসি ব্যবহার করে উৎপাদন ব্যবস্থার বিভিন্ন যন্ত্রপাতিকে স্বয়ংক্রিয় করা যায় ফলে উৎপাদনশীলতাও অনেক বৃদ্ধি পায় ।
পেশাজীবী কর্মীদের (যেমন ইঞ্জিনিয়ার) কার্যগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়নের জন্য কিছু বিশেষ সফটওয়্যার এবং বিশেষায়িত সিস্টেমের প্রয়োজন হয় । সফটওয়্যার এর মধ্যে কম্পিউটার এড এর ডিজাইন হচ্ছে একটি বিশেষ সফটওয়্যার যা ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিভিন্ন কাজ যেমন ড্রাফটিং , ডিজাইন কিংবা সিমুলেশন ইত্যাদি কাজে ব্যবহৃত হয় । প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নানাভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে । যেমন রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডি আইডেন্টিফিকেশন প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রাণিসম্পদ সহজে সনাক্তকরণ , মালিকের নাম , ঠিকানা, লিঙ্গ , জন্ম তারিখ ইত্যাদি তথ্য সংরক্ষণ ও প্রয়োজনে সেই তথ্য ব্যবহার করা যাচ্ছে ।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারে নৈতিকতাঃ মানুষের আচার-আচরণ ও কর্মের মূলনীতি হচ্ছে নৈতিকতা যেটার উপর নির্ভর করে মানুষ একটি কাজের ভালো বা মন্দ দিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ করতে পারে । ১৯৯২ সালে কম্পিউটার ইনস্টিটিউট কমিউটার বিষয়ে তৈরি করে । সে ১০ টি নির্দেশনাগুলো হল-
- অন্যের ক্ষতি করার জন্য কম্পিউটার ব্যবহার না করা ।
- অন্য ব্যক্তির কম্পিউটারের কাজের উপর হস্তক্ষেপ না করা ।
- অন্য ব্যক্তির ফাইলসমূহ হতে গোপনে তথ্য সংগ্রহ না করা ।
- চুরির উদ্দেশ্যে কম্পিউটার ব্যবহার না করা ।
- মিথ্যা সাক্ষ্যপ্রমাণ বহনের জন্য কম্পিউটার ব্যবহার না করা ।
- যেসব সফটওয়্যার এর জন্য অর্থ প্রদান করা হয়নি সেগুলোও ব্যবহার বা কপি না করা ।
- অনুমতি ব্যতিরেকে অন্যের কম্পিউটার রিসোর্স ব্যবহার না করা ।
- অন্যের বুদ্ধিবৃত্তি সংক্রান্ত ফলাফল কে আত্মসাৎ না করা ।
- প্রোগ্রাম লেখার পূর্বে সমাজের উপর তা কি ধরনের প্রভাব ফেলবে সেটি চিন্তা করা ।
- কম্পিউটারকে ওইসব উপায়ে ব্যবহার করা যেন তা বিচার বিবেচনা ও শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে ।
- Access to Information বা তথ্য পাওয়া সহজ হয়।
- পৃথিবীকে হাতের মুঠোয় চিন্তা করা সম্ভব অর্থাৎ যে কোন স্থানের সাথে তাৎক্ষণিক যোগাযোগ সম্ভব হয় ।
- তথ্যের খরচ কমে যায় এবং ব্যবস্থাপনায় ভাই সংকোচন হয়।
- জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়।
- দক্ষতা ও কাজের গতি বৃদ্ধি পায়।
- মনুষ্য শক্তির অপচয় রোধ হয় এবং মানবসম্পদ উন্নয়ন সহজ হয়।
- ই-কমার্স হয় বিজনেসের মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্যে লাভজনক প্রক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।
- কি গভর্নমেন্ট চালুর মাধ্যমে দেশে সামগ্রিক উন্নয়ন সাধিতে হয় ইত্যাদি।
- মানুষের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সংক্রান্ত বিভিন্ন সেবা পাওয়া সহজতর হয়।
- শিক্ষা ব্যবস্থায়ী শিক্ষা গ্রহণ করা বা প্রদান করা সহজতর হয় ।
- টেলিভিশন ইন্টারনেটে অনেক অশ্লীল ও নগ্ন প্রচারণায় মানুষের নৈতিক চরিত্রের উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হচ্ছে।
- তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহারের ফলে ব্যক্তিগত গোপনতা অনেক ক্ষেত্রে প্রকাশিত হয়ে যাচ্ছে যা মোটেই কাম্য নয়
- তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে সর্বোচ্চ অটোমেশনের ছোঁয়া লেগেছে। হলে বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে বেকারত্ব বাড়ছে।
- তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি যন্ত্রপাতি বিশেষ করে কম্পিউটার কে বিভিন্ন প্রকার স্বাস্থ্য সমস্যা জন্য দায়ী করা যায়- চোখের উপর চাপ,কব্জির ক্ষত, পিঠের সমস্যা প্রভৃতি।
- তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি বিকাশ সংস্কৃতি মিথ্যা প্রচারণা ইত্যাদি মানুষের জীবনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করছে।
- সামাজিক যোগাযোগ সাইট যেমন facebook , twitter ইত্যাদির ব্যবহারের ফলে বিবাহ বিচ্ছেদ, পরকীয়ার প্রেমের বলি হয়ে হত্যা কিংবা আত্মহত্যার মতো ঘটনাও ঘটছে।
ট্রাসটেডএয়ার্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url