OrdinaryITPostAd

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি রচনা এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি রচনা Pdf সম্পর্কে জেনে নিন

আপনার কি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি রচনা প্রয়োজন ? যদি উত্তর হয় হ্যাঁ , তবে আজকের পোস্টটি আপনার জন্য । আপনার জন্য আমরা নিয়ে এসেছি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি রচনা তবুও আবার  Pdf আকারে । হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন আপনাদের কাজের সুবিধার্থে আমরা নিয়ে এসেছি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি রচনা এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি রচনা Pdf ।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি রচনা  Pdf

আজকে আমরা আপনার জন্য তথ্য(ICT) ও যোগাযোগ প্রযুক্তি রচনা এবং  তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি রচনা Pdf নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো যেটা আপনার অনেক উপকারে আসবে।  চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি রচনা এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি রচনা Pdf  সম্পর্কে। 

পোস্ট সূচীপত্রঃ

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি রচনা(ICT)।তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি রচনা Pdf

 নিচে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির একটি খুব সুন্দর রচনা তুলে ধরা হলো, যা আপনার অনেক উপকারে আসবে ।

ভূমিকাঃ আধুনিক সভ্যতার বিকাশের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রভাব অপরিসীম । টেকসই উন্নয়ন , দারিদ্র বিমোচন , কর্মসংস্থান সৃষ্টি সর্বোপরি মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সরাসরি প্রভাব লক্ষণীয় । যে দেশ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ন্যায় সঙ্গত ব্যবহার নিশ্চিত করতে পেরেছে তারাই সাফল্যের করে অবস্থান করছে । এ প্রসঙ্গে জাতিসংঘের মহাসচিব Ban Ki-Moon এর উক্তিটি উল্লেখযোগ্য-

"Information and Communication Technologies have a central role to play in the quest for development, dignity and peace."

আইসিটির উন্নয়ন মানব সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রকে পরিবর্তিত করেছে এবং বিভিন্নভাবে আমাদের জীবনযাত্রাকে প্রভাবিত করছে ।

বাংলাদেশের কর্মক্ষেত্র তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিঃ বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশে এখন  কর্ম ক্ষেত্রে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বহুবিধ ব্যবহার ও প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে । এই প্রভাব ও পরিসর ক্রমাগত বেড়ে চলেছে । কর্মক্ষেত্রে আইসিটির দুই ধরনের প্রভাব লক্ষ্য করা যায় । প্রথমত প্রচলিত কর্মক্ষেত্র গুলোতে আইসিটির প্রয়োগের ফলে কর্মদক্ষ তার বৃদ্ধি এবং বাজার সম্প্রসারণ, অন্যদিকে আইসিটি নিজেই নতুন নতুন কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি করেছে ।

প্রচলিত কর্মক্ষেত্র এবং পুরাতন ব্যবসা বাণিজ্য আইসিটি ব্যবহারের ফলে কর্মীদের দক্ষতা , জবাবদিহিতা এবং স্বচ্ছতা বেড়েছে । ব্যাংক , বীমা থেকে শুরু করে বহুজাতিক কোম্পানি , সরকারী দপ্তরে কাজ করার জন্য ওয়ার্ড প্রসেসর থেকে উপস্থাপনার সফটওয়্যার , ইন্টারনেট ব্রাউজিং থেকে ইমেইল, নানা ধরনের বিশ্লেষে দক্ষ হতে হয় ।অন্যদিকে আইসিটি নিজেই একটি বড় আকারের কর্ম বাজা সৃষ্টি করেছে । হার্ডওয়্যার সফটওয়্যার থেকে শুরু করে ওয়েবসাইট নির্মাণ রক্ষণাবেক্ষণ ইত্যাদি এখন নতুন নতুন দক্ষ কর্মীদের জন্য একটি বিরাট কর্মক্ষেত্র ।

সামাজিক যোগাযোগ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিঃ মানুষ সামাজিক জীব । সমাজে চলাফেরা ও বিকাশের জন্য মানুষের সাথে মানুষের একটি সংযোগ  প্রয়োজন । তবে এখনকার যুগে আইসিটিতে সামাজিক যোগাযোগ বলতে বিভিন্ন ধরনের ইন্টারনেট ভিত্তিক নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মানুষের মানুষের মিথস্ক্রিয়াকেই বোঝাই । 

আরো পড়ুনঃ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো কি কি এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সুবিধা ও অসুবিধাগুলো জেনে নিন

সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে মানুষ খুব সহজে একা পরের সাথে যোগাযোগ করতে পারছে । মানুষের মাঝে এখন দূরত্ব অনেকটাই কমে গেছে এ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ফলে । ফেসবুক , টুইটার , ব্লগ , লিংকডিন , হোয়াটস এপ , মেসেঞ্জার , ইনস্টাগ্রাম, টেলিগ্রাম প্রভিতি ইন্টারনেট ভিত্তিক অ্যাপস ব্যবহার করে মানুষ দূর দূরান্তে মানুষের সাথে যোগাযোগ করতে পারছে । তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বদৌলতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের ফলে আজ মানুষে মানুষে দূরত্ব কমে গেছে।

প্রতিরক্ষা শিল্পে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রভাবঃ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিরক্ষা শিল্পকে দিয়েছে আধুনিকতার ছোঁয়া । আইসিটির মাধ্যমে যুদ্ধক্ষেত্রের সকল পরিস্থিতি সরাসরি সম্প্রচারের মাধ্যমে যুদ্ধকালীন পর্যবেক্ষণ সম্ভব হয়েছে । মাল্টিপ্লেয়ার এখন সফটওয়্যার নির্ভর ফোর্স মাল্টিপ্লেয়ার এ পরিণত হয়েছে । আইসিটির কল্যাণে একজন কমান্ডার যুদ্ধক্ষেত্রের প্রতিটি মুহূর্তের ঘটনা সরাসরি পর্যবেক্ষণ করতে পারে । কারণ আইসিটির যুদ্ধের জন্য রাইফেল ও বর্মের পাশাপাশি উন্নত ইলেকট্রিক ডিভাইস দ্বারা সজ্জিত থাকে । যুদ্ধক্ষেত্র থেকে সরাসরি তথ্য ও সরবরাহ করা ছাড়াও এই ডিভাইস গুলো ব্যবহার করে যুদ্ধক্ষেত্রে তাদের গতিপথ , শত্রু বাহিনী ও তাদের মধ্যবর্তী দূরত্ব , এক স্থান থেকে আরেক স্থানে যেতে মোট সময় এবং তাদের টার্গেটকে পুরোপুরি ধ্বংস করার জন্য নির্ধারণ করতে পারে ।

এছাড়াও বিপদজনক মিশনের ক্ষেত্রে এ ডিভাইস গুলো ব্যবহার করে সৈন্যরা তাদের কমান্ডারের কাছ থেকে সরাসরি দিক নির্দেশনা পায় । স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন ডিভাইস যুদ্ধক্ষেত্রে পরিস্থিতি সরাসরি সম্প্রচারের মাধ্যমে কমান্ডার ও সৈন্যদের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা বজায় রাখতে সাহায্য করে । ফলে যুদ্ধে জয় লাভের সম্ভাবনা বেড়ে যায় । 

মহাকাশ ভ্রমনি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রয়োগঃ 1957 সাল থেকে কৃত্রিম ভু-উপগ্রহ এবং রোবোটিক মহাকাশযানের মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা সৌরজগৎ সম্পর্কিত অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করেছেন । রোবোটিক মহাকাশযান চাঁদে , শুক্র গ্রহে , মঙ্গল গ্রহে এবং মঙ্গল ও বৃহস্পতি গ্রহের মধ্যবর্তী গ্রহাণুপুঞ্জ অবতরণ করে তাদের সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের তথ্য সরবরাহ করেছে । রোবটিক মহাকাশযানের মাধ্যমে বিজ্ঞানীরা হ্যালির ধূমকেতুসহ অন্যান্য ধূমকেতু সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছেন । এ তথ্যগুলো ব্যবহার করে বিজ্ঞানীরা ছায়াপথ ,নক্ষত্র , গ্রহ এবং অন্যান্য সৃষ্টি তাত্ত্বিক বিষয়বস্তুর উৎপত্তি এবং বিবর্তন সম্পর্কে মানুষের জ্ঞান আরো গভীর করে তুলেছেন । 

এতদো সংক্রান্ত গবেষণায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে । কক্ষপথীয় উপগ্রহগুলি মানুষের প্রাত্যিক জীবনে বিভিন্ন ধরনের সেবা প্রদান করে আসছে । যেমন-বায়ুমণ্ডল আবহাওয়া সম্বন্ধীয় উপগ্রহগুলো আমাদেরকে আবহাওয়ার বিভিন্ন ধরনের তারতম এবং তারতম্যের কারণ সম্পর্কে তথ্য প্রদান করে । আধুনিক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির অন্যতম প্রধান হলো নিরবিচ্ছিন্ন যোগাযোগ ব্যবস্থা যা মহাকাশ ভ্রমনকে কেন্দ্র করে উন্নত হয়েছে এবং মানবকলনের সর্বত্র ব্যবহৃত হচ্ছে ।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নির্ভর উৎপাদন ব্যবস্থাঃ শিল্প কারখানায় পণ্য উৎপাদন সহ যেকোনো উৎপাদন ব্যবস্থায় আইসিটি ব্যাপকভাবে অবদান রাখছে । বর্তমানে উৎপাদন ব্যবস্থার পরিকল্পনা থেকে শুরু করে উৎপাদন , পরিবহন , বিপণন সহ সকল ধাপে আইসিটির সাহায্য নিতে হয় । আধুনিক ভেলু চেন ও সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের মাধ্যমে উৎপাদনের বিভিন্ন ধাপে আইসিটির প্রয়োগের ফলে উৎপাদন খরচ অনেক কমানো হয় । তাছাড়া আইসিটির বিভিন্ন টুলস যেমন প্রোগ্রামেবল লজিক কন্ট্রোলার বা পিএলসি ব্যবহার করে উৎপাদন ব্যবস্থার বিভিন্ন যন্ত্রপাতিকে স্বয়ংক্রিয় করা যায় ফলে উৎপাদনশীলতাও অনেক বৃদ্ধি পায় ।

পেশাজীবী কর্মীদের (যেমন ইঞ্জিনিয়ার) কার্যগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়নের জন্য কিছু বিশেষ সফটওয়্যার এবং বিশেষায়িত সিস্টেমের প্রয়োজন হয় । সফটওয়্যার এর মধ্যে কম্পিউটার এড এর ডিজাইন হচ্ছে একটি বিশেষ সফটওয়্যার যা ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিভিন্ন কাজ যেমন ড্রাফটিং , ডিজাইন কিংবা সিমুলেশন ইত্যাদি কাজে ব্যবহৃত হয় । প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে ও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নানাভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে । যেমন রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডি আইডেন্টিফিকেশন প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রাণিসম্পদ সহজে সনাক্তকরণ , মালিকের নাম , ঠিকানা, লিঙ্গ , জন্ম তারিখ ইত্যাদি তথ্য সংরক্ষণ ও প্রয়োজনে সেই তথ্য ব্যবহার করা যাচ্ছে ।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারে নৈতিকতাঃ মানুষের আচার-আচরণ ও কর্মের মূলনীতি হচ্ছে নৈতিকতা যেটার উপর নির্ভর করে মানুষ একটি কাজের ভালো বা মন্দ দিয়ে বিচার-বিশ্লেষণ করতে পারে । ১৯৯২ সালে কম্পিউটার ইনস্টিটিউট কমিউটার বিষয়ে তৈরি করে । সে ১০ টি নির্দেশনাগুলো হল-

  • অন্যের ক্ষতি করার জন্য কম্পিউটার ব্যবহার না করা । 
  • অন্য ব্যক্তির কম্পিউটারের কাজের উপর হস্তক্ষেপ না করা ।
  • অন্য ব্যক্তির ফাইলসমূহ হতে গোপনে তথ্য সংগ্রহ না করা ।
  • চুরির উদ্দেশ্যে কম্পিউটার ব্যবহার না করা ।
  • মিথ্যা সাক্ষ্যপ্রমাণ বহনের জন্য কম্পিউটার ব্যবহার না করা ।
  • যেসব সফটওয়্যার এর জন্য অর্থ প্রদান করা হয়নি সেগুলোও ব্যবহার বা কপি না করা ।
  • অনুমতি ব্যতিরেকে অন্যের কম্পিউটার রিসোর্স ব্যবহার না করা ।
  • অন্যের বুদ্ধিবৃত্তি সংক্রান্ত ফলাফল কে আত্মসাৎ না করা ।
  •  প্রোগ্রাম লেখার পূর্বে সমাজের উপর তা কি ধরনের প্রভাব ফেলবে সেটি চিন্তা করা ।
  • কম্পিউটারকে ওইসব উপায়ে ব্যবহার করা যেন তা বিচার বিবেচনা ও শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে ।
সফটওয়্যার পাইরেসি ,সাইবার ক্রাইম ও আক্রমণ , হ্যাকিং , স্পেলিং , সাইবার সন্ত্রাস , প্রতারণা বা স্পুফি , ফিশিং ও ফিশিংভিশিং , স্নিকিং , প্লেজিয়ারিজম প্রভৃতি নৈতিকতা বিরোধী কাজ গুলো তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করছে ।

বিনোদন এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ঃ বিনোদন দুনিয়ার নতুন  দ্বার খুলে গেছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যাপক উন্নয়নের জন্য। এ ঘটনাটি ঘটেছে সাধারণত দুইভাবে । প্রথমত, বিনোদনটি কিভাবে মানুষ গ্রহণ করবে সে প্রক্রিয়াটিতে একটা মৌলিক পরিবর্তন হয়েছে । দ্বিতীয়ত, বিনোদনের ভিন্ন ভিন্ন মাধ্যমগুলোতে একটা গুণগত পরিবর্তন হয়েছে । একটা সময় ছিল যখন বিনোদনের জন্য মানুষকে ঘরের বাইরে যেতে হতো। সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমা দেখতে হতো খেলা দেখতে হলে খেলার মাঠে যেতে হতো গান শুনতে হলে গানের জলসায় যেতে হতো। এখন এ ধরনের বিনোদনের জন্য মানুষ আলভার থেকে বের হয় না। 

প্রথমে রেডিও তারপর টেলিভিশন হয়েছে তারপর এসেছে কম্পিউটার একসময় কম্পিউটার সংযুক্ত হয়েছে । তথ্যপ্রযুক্তির কারণে বিনোদন গ্রহণের প্রক্রিয়াটিতে যে রকম পরিবর্তন এসেছে ঠিক সেরকম পরিবর্তন এসেছে বিনোদনের বিষয়গুলোতে । সংগীত কে ডিজিটাল রূপ দেয়া হয় এখন আমরা কম্পিউটারে গান শুনতে পারি । ঠিক একইভাবে আমরা ভিডিও বা চলচ্চিত্র দেখতে পারি । তথ্যপ্রযুক্তির কারণে শুধু যে নতুন নতুন জন্ম নিচ্ছে তা নয় , সে বিনোদন গুলো এখন সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে । সবচেয়ে বড় কথা এটি মাত্র শুরু ভবিষ্যতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নির্ভর বিনোদন কোন পর্যায়ে যাবে সেটি কল্পনা করা অসম্ভব ।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সুবিধা সমূহঃ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের উল্লেখযোগ্য সুবিধাসমূহ হলো -
  1. Access to Information বা তথ্য পাওয়া সহজ হয়। 
  2. পৃথিবীকে হাতের মুঠোয় চিন্তা করা সম্ভব অর্থাৎ যে কোন স্থানের সাথে তাৎক্ষণিক যোগাযোগ সম্ভব হয় । 
  3. তথ্যের খরচ কমে যায় এবং ব্যবস্থাপনায় ভাই সংকোচন হয়। 
  4. জীবনযাত্রার মান উন্নত হয়। 
  5. দক্ষতা ও কাজের গতি বৃদ্ধি পায়। 
  6. মনুষ্য শক্তির অপচয় রোধ হয় এবং মানবসম্পদ উন্নয়ন সহজ হয়। 
  7. ই-কমার্স হয় বিজনেসের মাধ্যমে ব্যবসা-বাণিজ্যে লাভজনক প্রক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। 
  8. কি গভর্নমেন্ট চালুর মাধ্যমে দেশে সামগ্রিক উন্নয়ন সাধিতে হয় ইত্যাদি। 
  9. মানুষের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সংক্রান্ত বিভিন্ন সেবা পাওয়া  সহজতর হয়। 
  10. শিক্ষা ব্যবস্থায়ী শিক্ষা গ্রহণ করা বা প্রদান  করা  সহজতর হয় । 
 
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির কুফলঃ তথ্য ও প্রযুক্তির হাজারো সুফলের  সাথে সাথে কিছু খুব ভালো পরিলক্ষিত হয় -
  1. টেলিভিশন ইন্টারনেটে অনেক অশ্লীল ও নগ্ন প্রচারণায় মানুষের নৈতিক চরিত্রের উপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হচ্ছে। 
  2. তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যাপক ব্যবহারের ফলে ব্যক্তিগত গোপনতা অনেক ক্ষেত্রে প্রকাশিত হয়ে যাচ্ছে যা মোটেই কাম্য নয় 
  3. তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে সর্বোচ্চ অটোমেশনের ছোঁয়া লেগেছে। হলে বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে বেকারত্ব বাড়ছে। 
  4. তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি যন্ত্রপাতি বিশেষ করে কম্পিউটার কে বিভিন্ন প্রকার স্বাস্থ্য সমস্যা জন্য দায়ী করা যায়- চোখের উপর চাপ,কব্জির ক্ষত,  পিঠের সমস্যা প্রভৃতি। 
  5. তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি বিকাশ সংস্কৃতি মিথ্যা প্রচারণা ইত্যাদি মানুষের জীবনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করছে।
  6. সামাজিক যোগাযোগ সাইট যেমন facebook , twitter ইত্যাদির ব্যবহারের ফলে বিবাহ বিচ্ছেদ, পরকীয়ার প্রেমের  বলি হয়ে হত্যা কিংবা আত্মহত্যার মতো ঘটনাও ঘটছে।  

উপসংহারঃ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির এই সফলতা দেখে কেউ যদি মনে করে থাকে আমরা ইতিমধ্যে আমাদের লক্ষ্য অর্জন করে ফেলেছি তাহলে সেটি একটি ভুল ধারণা । এই পথে আমাদের আরো দীর্ঘ পথ অতিক্রম করতে হবে। যেহেতু আমাদের দেশের বেশিরভাগ মানুষই গ্রামে থাকে তাই ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার প্রথম ধাপ হচ্ছে এই গ্রামের মানুষকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সেবার আওতায় নিয়ে আসা। তথ্যপ্রযুক্তির পুরো সুবিধা পেতে হলে এক্ষেত্রে দক্ষ জনশক্তির প্রয়োজন। ইস্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় লেখাপড়ার মান বাড়াতে হবে, আরো বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থীকে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। ই-গভর্ন্যান্স এর মাধ্যমে সকল কাজের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে । নতুন প্রজন্মকে তাদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা কাজে লাগাতে উৎসাহী করতে হবে। তাহলে আমরা প্রকৃত ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারবো। 

LLL2তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (ICT) রচনা Pdf । তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি রচনা

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির এই যুগে সর্ব ক্ষেত্রে তথ্য ও প্রযুক্তি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা পর্যালোচনা চলছে । স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পর্কে জ্ঞান অর্জনের উৎসাহিত করা হচ্ছে । এজন্য বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ল্যাব প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে , যা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির উন্নয়নে বিস্তার প্রভাব ফেলবে । এজন্য স্কুল-কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষার্থীদের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি রচনা জানা দরকার । যাতে তারা পরীক্ষা এবং বিতর্ক প্রতিযোগিতায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি নিয়ে আশানুরূপ ফলাফল আনতে পারে ।
আপনারা তথ্য   যোগাযোগ প্রযুক্তি রচনা খুঁজে বেড়ান । আপনাদের সময় বাঁচাতে এবং কাজের সুবিধার্থে আমরা নিয়ে এসেছি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি রচনা পিডিএফ । যাতে করে মুহূর্তের মধ্যেই আপনারা রচনাটি ডাউনলোড করে পরীক্ষা এবং যেকোনো বিতর্ক  প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারেন । তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি রচনা pdf  এই লিংকে ক্লিক করে আপনি রচনাটি ডাউনলোড করতে পারেন ।

লেখকের শেষ বক্তব্য। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (ICT) রচনা এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি রচনা Pdf ।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি রচনা Pdf আকারে নিয়ে আসার আমাদের একটাই উদ্দেশ্য যাতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি রচনাটি সংগ্রহ এবং সংরক্ষণ করা  জন্য আপনাদের জন্য অনেক সহজ হয়। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি রচনা Pdf  ফাইলটা ডাউনলোড করে আপনি সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় যেকোনো পরীক্ষা,  ক্লাস কিংবা রচনা লিখার প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারেন। এতে আপনি আশানুরূপ ফলাফল পাবেন।  

 তথ্যগুলো সংগ্রহ করে আপনার সামনে উপস্থাপন করেছি যাতে আপনি উপকৃত হতে পারেন। আমাদের লিখা যদি আপনার কাজে আসে তাহলে আমাদের লিখা সার্থক । লিখাটি পড়ে যদি আপনার ভালো লেগে থাকে বা উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্টে জানাবেন। আর যদি লিখায় কোনো ভুল ভান্তি হয়ে থাকে সেটাও জানাবেন কমেন্ট বক্সে,  ভুল শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করবো । 


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ট্রাসটেডএয়ার্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ১

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪